বাংলায় প্রবাদটির ("জাস্টিস ডেলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড") জুতসই প্রতিবাক্য তৈরি হয় নি। তবে আমরা ‘বিলম্বিত বিচার, বিচার অস্বীকারেরই নামন্তর’- এ রকম অনুবাদ করতে পারি। বাক্যটির ব্যাখ্যা করলে এ রকম বলা যায়, "কোনো দল বা পক্ষ যদি তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিকার না পায়। তাহলে তা তার জন্য কোনো প্রতিকার, প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ সৃষ্টি করে না। বরং সময়ান্তরে (সময়ক্ষেপণ) প্রতিকার, ইচ্ছা, প্রতিবেদন আলামত এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়। প্রতিপক্ষ এ অবস্থাকে নানা কায়দা কৌশল, ঘুষ-দুর্নীতি এবং তদবিরের মাধ্যমে বিষয়টি বিরূপ ব্যাখ্যা করেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কেসটির কোনো বিচার বা প্রতিকার করা হয় না।"
যা চেইন রিয়্যাকশনের মত অপরাধকে বাড়িয়ে তোলে।।
পরিসংখ্যানটা খুবই হতাশাজনক।
প্রতিবছর জিংজিং(শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীর ডায়লগ) যেই হারে বাড়ছে; তাতে মনে হয়, এইডসও ঐ হারে ছড়াচ্ছে না। এর কারন যেমন একটা নয়, তেমনি শুধুমাত্র একটা ওষুধে কাজও হবে না। এটা মনে রাখা দরকারঃ
"Injustice anywhere is a threat to justice everywhere." -- -- Martin Luther King.
চলুন ত্যানা না পাকিয়ে, প্রিয় নেতার কিছু কথা শুনিঃ
"---- ---- ---- আর একটি কথা বলতে চাই।
বিচার, বিচার। বাংলাদেশের বিচার, ইংরেজ আমলের বিচার। আল্লার মর্জি, যদি সিভিল কোর্টে কেস পড়ে, সেই মামলা শেষ হতে লাগে ২০ বছর। আমি যদি উকিল হই, আমার জামাইকে উকিল বানিয়ে কেস দিয়ে যাই। ঐ মামলার ফয়সালা আর হয় না। আর যদি ক্রিমিনাল কেস হয়, তিন বছর, চার বছরের আগে শেষ হয়ে না। এই বিচার বিভাগকে নতুন করে গড়তে হবে। থানায় ট্রাইবুনাল করবার চেষ্টা করছি। সেখানে যাতে মানুষ এক বছর, দেড় বছরের মধ্যে বিচার পায়, তার বন্দোবস্ত করছি। আশা করি সেটা হবে।।"
শুধু দেখুন। বলার কিছু নাই। লেখক নিরব।
বিচার বিভাগ, দেশের তিন নাম্বর স্তম্ভ। কিন্তু তার ভিতটা এখনো মজবুত হল না। পঁচাত্তরের হেলে পড়া গাছটা, বাঁকা হয়েই বৃদ্ধি পেতে থাকলো। যদিও দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর কোন কালেই আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। বিশেষত ৭৫'পরবর্তি ঘটনায় তারা যেই ভাবে ক্ষমতাস্বীনদের লেজুড়বৃত্তি করেছে, তা বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছে। যেই ধারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এখনো চলমান।
আধুনিক সময়ে প্রবাদটি এমন হবে, ‘টু ডিলে জাস্টিস ইজ ইন জাস্টিস’।বিচারপতি তোমার বিচার করবে কে? আচ্ছা? গাছটিকে সোজা করার মত কী কেউ নেই??
"--- --- --- ---
আজ নেই বর্গী, নেই ইংরেজ, নেই পাকিস্তানী হানাদার,
আজো তবু কেন আমার মনে, শূণ্যতা আর হাহাকার?
আজো তবু কী লাখো শহীদের রক্ত যাবে বৃথা?
আজো তবু কী ভুলতে বসেছি স্বাধীনতার ইতিকথা?"
এসব পড়তে আর লিখতে গিয়ে মন, মেজাজ দুটোই বিগড়ে আছে। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে পারবো না। বিস্তারিত আর লিখলাম না, বুদ্ধিমানরা বুঝে নিন। আমি এখন গান শুনবো।।
বি. দ্রঃ আমাদের গ্রামে এখনো কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি।
ছবিঃ নেট+ প্রথম আলো পত্রিকা থেকে তোলা।(এপ্রিল, ২০১৮)
আর লেখাটা, নয়াদিগন্ত,(০২ মার্চ ২০১৮, ১৮:২৫) ড. আবদুল লতিফ মাসুম স্যারের (অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) কলাম থেকে আংশিক কপি করা।।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫২