আমাদের স্বাধীনতার পর আমরা মগজওয়ালা কোন অর্থমন্ত্রী পায়নি! কোন অর্থমন্ত্রীর আমলেই দেশের অর্থনীতি কখনো স্থিতিশীল ছিলো না সেভাবে! সবসময়ই রাক্ষসদের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে সাধারণ জনগণ সামান্য কিছু পেয়েছে, না পেলেও অশিক্ষিত জনগনের বুঝার উপায় নেই কেন তারা পাচ্ছে না! বর্তমান অর্থমন্ত্রীর অনেক কিছুই দেখা হয়েছে উনি সম্ভবত গিনিজ বুকে নাম লিখাবেন সবচেয়ে বেশি বয়সী অর্থমন্ত্রী হিসেবে। লোকটাকে আমার কাছে সার্কাসের জোকার মনে হয়। রাগি রাগি কথা বললেও উপরওয়ালেদের কাছে গেলে মুরগী হয়ে যায়।
এই লোকটি ঘুষকে স্প্রীডমানি বলেছে! ঘুষ দিলে নাকি কাজ দ্রুত হয়, দ্রুত সেবা পেতে নাকি ঘুষ দিলে দোষের কিছু না। ব্যাংকখাত চরম অস্থিতিশীল এগুলি ঠিক করতে এ লোকের কোন উদ্যোগ নেই। ব্যাংক মালিকদের পারিবারিক মালিকানা বৃদ্ধি করে পরিচালনা পর্ষদে সদস্য বাড়িয়েছে, সময় বাড়িয়েছে, এগুলি ব্যাংকে দুর্নীতিতে অবদান রাখে স্থিতিশীল রাখে না।
কালো টাকা দেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ না দিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ বাড়িয়েছে। ৪হাজার কোটি টাকা তেমন টাকা না এমন কথাও বলেছে! ৭টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি প্রায় ১০হাজার কোটি টাকা! ৭টি ব্যাংকের মধ্যে অবশ্যই চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বাকীগুলির নাম উনি বলেননি! এই মূলধন কই গেছে এগুলি কখনো জনসম্মুখে আসবে না। এদের মূলধন দেওয়ার জন্য বাজাটে একটা অংশ থাকে সেখান থেকে তাদের টাকা দেওয়া হয়। রিজার্ভের টাকা চুরি হয়ে যায় উনি কিছুদিন দৌড়ঝাঁপ করে এখন ক্লান্ত হয়ে গেছে। সে টাকা গুলির কি হয়েছে জা তিনি এখন আর আপডেট দেননা!
শেয়ারবাজারের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে আমি শেয়ারবাজার বুঝি না, অবস্থা বুঝছেন? অর্থমন্ত্রী বলে শেয়ারবাজার বুঝে না! আমাদের এই অর্থমন্ত্রীকে দেশের অর্ধেক সম্পদ দখলকারী, মারাঠাদের পছন্দ হয়েছে তাই উনি দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী হতে পেরেছেন! যাক আজ উনি ব্যাংক মালিকদের সাথে বৈঠক করেছেন উনার একপাশে বসে ছিলো সালমান রহমান আরেকপাশে ম.খা. আলমগীর সামনে ছিলেন ইকবাল সাহেব। বৈঠক শেষে উনি জানালেন এখন থেকে সরকারি আমানতের ৫০ভাগ বেসরকারি ব্যাংকে জমা রাখা হবে আর বেসরকারি ব্যাংক আমানতের যে একটা অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখে সেটা ১ভাগ কমানো হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০হাজার কোটি টাকা বের হয়ে যাবে যা গ্রাহকের আমানতের নিশ্চয়তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা রাখতো ব্যাংকগুলি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪