somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের নোংরা ক্রিকেট রাজনীতি। মৃত প্রায় আইসিসি তার নিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলো তাসকিনের বোলিং একশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের দেশে অনেকেই বলেন খেলার সাথে রাজনীতি না মেশাতে। এতে নাকি ক্রীড়া সৌন্দর্য বিনস্ট হয়। কিন্তু যে জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছে সে জাতি সব কিছুতেই রাজনীতি খুঁজবে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং ধর্ষিতা মায়ের কান্না বুজে চেপে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে না এটাই সত্য। তেমনি সত্য নিজের দেশের পাশাপাশি বন্ধু প্রতিম দেশ গুলোর জন্য অল্প হলেও শুভকামনা থাকবে। খেলার সাথে রাজনীতি জড়িত আছে সেটা ইতিহাসের দিকে তাকালে স্পস্ট প্রতিয়মান। বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকা রাজনৈতিক কারণে বহুকাল আন্তর্জাতিক খেলায় নিষিদ্ধ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো মস্কোয় অনুষ্ঠিত ১৯৮০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক বর্জন করেছিল শুধু মাত্র মাজতান্ত্রিক এবং পুঁজিবাদী বিশ্বের পরস্পর বৈরী অবস্থানের কারণে। ১৯৬৯ সালে হন্ডুরাস এবং এল সালভাদরের মধ্যে যুদ্ধ বেধেছিল এক ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে, যা ইতিহাসে ‘১০০ ঘণ্টার যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। ক্রিকেট, ফুটবল এবং রাগবি খেলা আয়ারল্যান্ডে নিষিদ্ধ ছিলো কেবল মাত্র এইসব খেলার জন্ম তাদের চিরশত্রু ইংল্যান্ডে হয়েছিলো বলে। ব্রিটিশ শাসনামলে ক্রিকেট কী করে ভারতবর্ষের পরিচয় নির্মাণের একটা হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে, তার ইশারা আছে ভারতীয় লগান চলচ্চিত্রটিতে। ১৯৮২ সালের ফকল্যান্ড যুদ্ধের জন্য আর্জেন্টিনা ফুটবলটিমকে ও এখনো ঘৃনা করে রক্ষনশীল ব্রিটিশ ফুটবলমোদীরা।

সুতরাং খেলা এবং রাজনীতি অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত। তবে তা ভারিতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মতো নোংরা রাজনীতিতে পরিনত হোক তা কাম্য নয়। ভারতে ক্রিকেটের মার্কেট অনেক বড়, অনেক অর্থের যোগান রয়েছে। কিন্তু খেলাটা যে বড় মার্কেট কিংবা অর্থের যোগানের উপর নির্ভরশীল নয় সেটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কে বুঝাবে কে ? বিষয়টা অনেকটাই ছোটবেলার ক্রিকেট খেলার নিয়মের মত। যার ব্যাট সে আগে ব্যাটিং করবে এবং ইচ্ছামত নিয়ম পরিবর্তন করবে।

নোংরা রাজনীতির মোহে অন্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড গ্রাস করতে চাইছে আইসিসি নামক এক টুটো জগন্নাথ কে। বছর দুয়েক আগে অর্থবিত্ত আর ক্ষমতার আকর্ষণে কূটনৈতিক শিষ্টাচারটুকুও বোধ হয় হারিয়ে ফেলেছিলেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শ্রীনিবাসন। ক্রিকেট বিশ্বে তিন দেশের (ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) আধিপত্য যেন নিশ্চিত হয়, সেই প্রস্তাব পাস করানোর জন্য নানাবিধ প্রলোভন তো দেখানো হচ্ছেই, সেগুলো দিয়ে কাজ না হলে এমনকি হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন বিসিসিআইয়ের প্রধান। সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান না নিলে ভারত বাংলাদেশে এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে আসবে না বলে হুমকি দিয়েছেন শ্রীনিবাসন।

ক্রিকেট বিশ্বের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্যের যে পরিকল্পনা ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া করেছে, সে জন্য আইসিসির সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশের সম্মতি দরকার। নানাবিধ প্রলোভন, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজেদের পক্ষে আনতে পেরেছে মোড়লেরা। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের বারবার চাপ দিয়েও রাজি না করাতে পেরে নাকি এমন হুমকি দিয়েছেন শ্রীনিবাসন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা গতবার দেখেছি গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিং এবং আইসিসির বিমাতা সুলভ আচরণে বাংলাদেশের হার এবং ভারতের নির্লজ্জ জয়।

কোন সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশ তার ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সময়টা পর করছে। এবছর ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের জয়ের হার ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। খুব কম দেশই তাদের হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশের মত এতটা ধারাবাহিক। আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং পৃথিবীবিখ্যাত ওয়েবসাইটগুলো প্রতিদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের গর্বের খবরগুলো নানা রঙ্গে রঙ্গিন করে তুলে ধরছে। ভারতের মতে, ক্রিকেট বাংলাদেশ এখন আর ‘বাচ্চা’ নয়, তারা বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তিগুলোর মধ্যেই একটি। শুধু কি জাতীয় দল, আমাদের অনূর্ধ্ব ঊনিশ দলটাও তো কিছুদিন আগেই সাউথ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব ঊনিশ দলটিকে হারিয়ে দিল!

পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক শত্রুতা। পাকিস্তান কখনওই বাংলাদেশের বন্ধু ছিল না, এখনও নয়, কোনদিন হবেও না।বিশ্বাসঘাতকের পোষাক বদলালেও রক্ত বদলায় না। তাই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর যখন সরফরাজ নেওয়াজ(সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার) বলে ফেলে, ‘Bangladesh’s win over India a plot to push Pakistan out of Champions Trophy’- তখন আমি একেবারেই অবাক হই না। সত্যি কথা বলতে, আমি এরকমই কিছু একটা আশা করছিলাম পাকিস্তানি সাবেকদের থেকে। এবং সাথে সাথেই তারা আরও একবার তাদের জাত চিনিয়ে দিল আমাদেরকে।কিন্তু, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া- তারা কেন? তাদের সাথে বাংলাদেশের কোন কালেই কোন শত্রুতা ছিল না। ক্রিকেটিও শক্তির বিচারেও আমরা তাদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু তবুও কেন তাদের অসহযোগীতা, এমন বৈরী আচরণ?
আমরা খুব পরিস্কার ভাবেই দেখতে পাই, যখন বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারায়, ইংল্যান্ড তখন বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায়। বাংলাদেশ যখন ভারতকে হারায়, ভারতীয় খেলোয়াড়দেরকে তখন রুঢ় গণমাধ্যম আর তাদের মর্মবিদারক প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়। বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানকে হারায়, তখন ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফিতে পাকিস্তানের অংশগ্রহন অনিশ্চিত হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেক সমস্যার তৈরী করছে। তথাকথিত বড় বড় দলগুলোর দাদাগিরির চিরপরিচিত রূপগুলো ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ নামক ছোট্ট একটি দেশের ক্রিকেটারদের কারনে। এটা কি এত সহজে মেনে নেয়া যায়? বিনে পয়সার সাম্রাজ্য এত সহজে কে হারাতে চায়? তাই, কোনভাবে যদি বাংলাদেশকে সরিয়ে দেয়া যায়, তাহলেই সব সমস্যার ইতি ঘটে। কথাগুলো বলতে সত্যিই খুব জঘন্য লাগছে, কথাগুলো লেখার সাথে সাথে নিজেকে নোংরা বলে মনে হচ্ছে- কিন্তু বর্তমান ক্রিকেটিয় রাজনীতির এটাই সঠিক চিত্র।

টাইগারদের দাপুটে ক্রিকেটের ঝলকানিতে ভয়ে জড়সড় হয়ে অস্ট্রেলিয়া বেছে নিলো এক অভিনব পন্থা। নিরাপত্তার অজুহাতে তারা আসলোনা বাংলাদেশ সফরে। আইসিসি ও কোনো ধরনের রিস্ক এসেসমেন্ট ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে নিলো। বিশ্বজোড়া ধর্মীয় উগ্র আগ্রাসন থেকে মহা শক্তিধর আমেরিকা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত কেউই যেখানে নিরাপদ নয়। অতচ যখন আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ধর্মশালার মুখ্য মন্ত্রী বীরভদ্র সিং জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে তারা নিরাপপত্তা দিতে পারবে না। সেখানে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা ম্যাচ খেলতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে তার কোনো দায় তারা দিবে না। বিষয়টি জানিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এমন চিঠিতে পাক-ভারত ম্যাচ নিয়ে বড় শঙ্কা সৃষ্টি হলো। পাকিস্তান সরকার আগেই মেন ধারণা করেছিল। তাই তারা প্রথমে তাদের ক্রিকেট দলকে ভারতে সফর করার অনুমতি দিতে চায়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো অন্য কোনো দেশে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব নেয়। কিন্তু আইসিসি সেটা মেনে নেয়নি।

নানা ভাবে নানা কায়দায় পুঁজিবাজারের বাহানা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নগ্ন ভাবে গ্রাস করতে চলেছে আইসিসিকে। মৃত প্রায় আইসিসি তার নিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলো বাংলাদেশী তরুণ প্রতিভাবান পেস বোলার তাসকিনের বোলিং একশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্স দিয়ে শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান কে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। তাসকিন মাশরাফিদের বোলিংয়ের তোপে উড়ে যায় এশিয়ার ক্রিকেট পরাশক্তিরা। ফাইনালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতও যে কম নাকানি চুবানি খাননি এই দুই পেসারের হাতে সেটা বলাই বাহুল্য।

আইসিসি’র অর্বাচীন সুলভ সিদ্ধান্তের জন্য কোনো বিশ্রাম ছাড়াই বাংলাদেশ দলকে উড়াল দিতে হলো ধর্মশালার পথে। সেখানে বাংলাদেশে ব্যাটিং এবং বোলিং দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। তারা জানত বাছাই পর্ব থেকে জয় নিয়ে বাংলাদেশ যুক্ত হবে গ্রুপ২ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সাথে। বিশ্বকাপে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ প্রতিশোধ নিতে চাইবে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের। সেই ভয় আর শংকা থেকে ভীত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আবারও নোংরা পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলো। যার ফলাফল আমরা দেখলাম গত সপ্তাহে। হটাত করেই সকল নিয়ম ভেঙ্গে আইসিসি প্রশ্ন তুললো বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম প্রতিভা তাসকিনের বোলিং একশনের বিরুদ্ধে। প্রথমত কোনো সিরিজ চলাকালে কারো বিরুদ্ধে বোলিং একশন নিয়ে প্রশ্ন করা যায়না। দ্বিতীয়ত বিগত দিনে কোনো ধরনের অজুহাত ছাড়া হটাত করে কারো বিরুদ্ধে চাকিংয়ের অভিযোগ তোলা শুধুই বোলারের আত্মবিশ্বাস হরণের কারণ।

আইসিসি যেখানে ক্রিকেট প্রসারণের জন্য কাজ করছে বলে দাবি করছে সেখানে এহেন ঘৃণ্য সিদ্ধান্ত এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নগ্ন এবং নোংরা রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে ক্রিকেটের প্রসারণ কতটা সম্ভব সেটাই এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। ভারতীয় ক্রিকেটের এমন আগ্রাসী রাজনীতি কি ভারতের সাবেক ক্রিকেটীয় কিংবদন্তি শচীন, সৌরভ অথবা কপিলদেব দের লজ্জার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে না ? ভারতের এমন নোংরা রাজনীতি কি বিশ্বজোড়া ক্রিকেটমোদিদের লজ্জার কারণ নয় ? খেলার সাথে রাজনীতির যোগসাজস অনেক পুরানো একটি উপাদান। বহির্বিশ্বে একটি দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে সেই দেশের খেলোয়াড়রা। সুতরাং খেলার সাথে রাজনীতি মিশতে পারে। কিন্তু নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত রাজনীতি কাম্য নয়। বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকে ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র। আশা করছি আইসিসি তার মেরুদন্ড শক্ত করে দাড়াবে। এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আমাদের বাধ্য করবেনা পাকিস্তানের মতো তাদের ও ঘৃনা করতে


( সংগ্রহীত )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×