আজ আমি বাইরে বের হয়েছিলাম । কিছু কাজ ছিল তাই । অফিস থেকে ছুটিও নেয়া ছিল । সকালে বের না হলে যেতে পারব না । ধারনা এমন ই ছিল । হ্যা এটা সত্য আমি জানতাম ছেলে মেয়েরা বের হবে ।
যাই হোক, মোঃপুর বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দাড়ালাম । শুধু মানুষ আর মানুষ । ভাবলাম পাঠাও বা উবার ঢাকি । দিলাম কল । কেউ উঠায় না । রিকাশায় করে গেলাম আসাদ গেট । গিয়ে বৃষ্টিতে পরলাম । দিলাম আবার পাঠাও তে কল । এবার একজন ধরল ।
কিন্তু সে আসার আগেই আসাদ গেট পোলাপান চলে এসেছে । এবার সব বন্ধ । খারাপ লাগছিল না । এক বার ভাবলাম ইশশ কে যে ভার্সিটি ও শেষ হয়ে গেল ওদের সাথে দাড়াতাম । আন্দোলনের মজা নিতাম । সেই গনজাগরনের কথা মনে হল । আহা কি ছিল সেই সব দিন ।
পাঠাও তে করে গেলাম মালিবাগ । সেখানে কাজ সেরা আসলাম মগবাজার । তবে এটা হেটে হেটে কারন স্কুলের সব ছেলে মেয়েরা রাস্তায় চলে এসেছে । আমি ভিডিও করিনি । কারন এক বড় ভাই বলেছিল সময় টা উপভোগ কর । তাই করলাম ।
তারপর রামপুরা গেলাম । রিকাশায় । রাস্তা ফাকা বাহ । ঢাকার রাস্তায় চলতে কি ভাল লাগে । তাছাড়া গাড়ির আর রিকশার আলাদা লাইন । এম্বুলেন্স এর জন্য আলাদা লাইন । মনে হচ্ছে আমি ইউরোপের কোন দেশে আছি । ট্রাফিক ব্যবস্থা এত সুষ্ঠ ।
লাইসেন্স আছে তো ছাড় নয়ত বসে থাকুন । ভাল লাগলো । রামপুরার কাজ ও শেষ । এরপর উত্তরা যাব কিন্তু দেখলাম কাজ হবে না । তারপর কি আসলাম মহাখালি । আসলেই খালি । সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ডিসিপ্লিইন শিখিয়ে দিচ্ছে পুরো দেশ কে ।
সেখানে ছোট একটা কাজ ছিল । তারপর উবার নিলাম । আংকেল আসল । আমাকে রেইন কোট দিল । তারপর আসলাম বাসায় ।
ঘুনে ধরা এক সিস্টেম কে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় দেখিয়ে দিয়েছে এই ছাত্ররা । এই ধাক্কার প্রয়োজন ছিল । একটা সুনামীর দরকার ছিল । এই সুনামী না হলে হয়ত এক দিন এই সিস্টেম পুরো জাতিকেই খেয়ে ফেলত ।
ঘুনে ধরা এক সিস্টমের প্রতি লোকজনের আক্ষেপের শেষ নেই । তাই আজ তারা নিজেদের শুধরে নিচ্ছে । সব গাড়ির সামনে লাইসেন্স রেখে গাড়ি চালাতে হচ্ছে । সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে এই ছাত্রদের সাথে যোগ দিচ্ছে ।
যে যেখান থেকে পারছে হেল্প করে যাচ্ছে । সিস্টেম তুমি শুনছো কি । তোমার পূর্নজন্ম হচ্ছে । এরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ । এরাই আগীম দিনের দেশের ভবিষ্যত । শুনছ কি? আসছে নতুন ভোর । তৈরি তো সবাই ?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬