somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিকতা!!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের নিউজ মিডিয়া থেকে তো বিশ্বাস অনেক আগেই উঠে গেছে কারন জার্নালিষ্টগুলো দেশি গাঁজা খেয়ে কি সব উল্টা পাল্টা লিখে তার খবর নিজেরাই রাখেনা। তার উপরে আবার আমাদের মহান পলিটিশিয়ান গুলো তো আছেনই নিউজ বানানোর জন্য। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকেন তখন তার গুনগান শুনতে শুনতে কানের পোকা মরে যাওয়ার জোগাড় হয়। তাই আজকাল দেশের অবস্থা জানার জন্য তালাশ বা তালাশের মত ক্রাইম রিলেটেড প্রতিবেদনগুলো দেখি। জানিনা ওরা কতটা সত্যতার সাথে দেশের অবস্থা তুলে ধরেন তবে তাদের thorough investigation যেভাবে present করেন দেখে আর তেমন doubt হয়না ঘটনার সত্যতা নিয়ে।

যাইহোক!!

আজকাল অনেকের (যারা recently দেশে গেছেন) কাছেই শুনি দেশের অবস্থা নাকি ভাল না। well দেশের পলিটিকাল অবস্থা যে কবে ভাল ছিল তা মনে করাও মুশকিল আর খুন ছিনতাই তো আগেও হত, লোডশেডিং ও নতুন কিছু নয়। তো নতুন করে আবার হলোটা কি? তখন উঠে আসে বিশাল বড় লিষ্ট। কি নেই ওই লিষ্টে?? শুনি দেশের পোলাপান নাকি খুব advanced and (so called) smart হয়ে গেছে। বলি smart and advanced হওয়া তো ভাল, এখানে আপনারা খারাপ কি দেখেন? আজব বেপার.. মানুষ আধুনিক হওয়াকে খারাপ কেন ভাবে? মনে হাজার প্রশ্ন নিয়ে ভাবলাম নিজে একটু ঘেটে দেখিতো কি হচ্ছে। তো যা যা দেখলাম তার একটি ছোট্ট description -- মেয়েরা আজকাল কাপড়চোপড়ের বেলায় অনেক উদার হয়ে গেছে আর টাকাপয়সার তো কোন অভাবই নেই তাদের। বস্তা বস্তা মেকআপ এর নিচে যে তাদের আসল চেহারা কোথায় তা আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা পয়সা যা আছে সব এমনভাবে মেকআপের পিছনে ঢালছে যে কাপড় কিনতে গেলে টাকার টান পরে যাচ্ছে তাই ছোট ছোট কাপড় দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছে কষ্ট করে। এতে করে দুইটা সুবিধা - উদারতা ও প্রকাশ পাচ্ছে, গরম ও কম লাগছে আর নারী স্বাধিনতার ওই concept টা তো আছেই।

এবার আসি ছেলেদের কথায় -- আজকাল ছেলেরা দাড়ি উঠার আগেই এলাকা ভাগাভাগি করছে তাও আবার graffiti মানে দেয়ালে আঁকাআঁকি করে। ছোট ছোট স্কুলের ছেলেরা মারামারি করছে এক এলাকায় আরেক এলাকার ছেলেরা graffiti আঁকা নিয়ে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলো hang out করাও শিখে গেছে তবে সাধারনত hang out দিয়ে আমরা (ছোট্ট মাথার আমি at least) যা বুঝি তা নয়। এই hang out হল কোন চিপায় গিয়ে কয়েকজন মিলে নেশা করা। এরা অনেক স্মার্ট ও নাকি হয়েছে। বাইক, মোটর বাইক সবি চালায় এরা তবে এই চালানো সেই চালানো নয়। এই চালানো হল Dhoom style এ ধুমধাম চালানো। ছোট্ট বাংলাদেশের ছোট ছোট অলি গলিতে যেখানে hardly রিকশা চালানো যায় সেখানে high speed এ Dhoom movie follow করে বাইক চালিয়ে হাত পা ভাঙে আর সাধারন মানুষগুলোকে heart attack দেয়। এরও সুবিধা আছে -- মেয়ে পটানো সহজ হয়ে গেছে আর ছিনতাই করে পালানো ও। **dhoom দেখে শিক্ষা নেওয়ার তো কোন মানে নাই যদি চুরি ছিনতাই ই না করলো।

ছেলেদের আরো একটা অদ্ভুত প্রতিভা হল underwear বের করে প্যান্ট পরা। এই প্রতিভাও পশ্চিমা দেশগুলু থেকেই ধার করা। কষ্ট লাগে এই ভেবে যে এই অভাগা গুলু তো এইটাও জানে না যে এভাবে প্যান্ট পরার শুরুটা কোথায় এবং কিভাবে হয়েছে!!!

আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই কোত্থেকে এই so called trend এর শুরু.....
বাবাজীরা ঠিক ধরেছ, শুরুটা হয় পশ্চিমা (USA) দেশেই আরো অনেক বছর আগে, তবে জেল খানায়। তখন জেলে এক prisoner এর বেল্ট আরেক prisoner জোর করে নিয়ে নিত। নেওয়ার কারন শারীরিক চাহিদা পুরন করা যেহেতু জেলে নারী পুরুষ আলাদা থাকে। তাই তাদের অনেকেই নিজেদের দিয়েই শারীরিক চাহিদা মিটাত। যারা এই কুকর্মে সামিল হতে না চাইত তাদের বেল্ট জোর করে নিয়ে নেয়া হত ফলে তাদের প্যান্ট কোমরে ঠিকমত থাকত না আর underwear দেখা যেত। পরে এই torture কে fashion এর নাম দিয়ে সমাজে বাস করা gay লোকেরা বোঝাত he is open for other guys to take who are also gay. আর এখনকার অতি বুদ্ধিমান পোলাপান (আসলে মুর্খ) কিছু না জেনে আন্দাজেই fashion মনে করে ভিতরের সব দেখানো শুরু করে দেয় সারা দুনিয়াকে। দুক্ষ তখন বেশি লাগে যখন দেখি বাঙালি ছেলেরাও জুগের এই নোংরামির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে।

এবার আসি ছেলে মেয়ের আধুনিক হওয়ার যৌথ উদ্যোগের কথায়। আজকাল স্কুলের বাচ্চারাও নেশা করে। boyfriend/girlfriend বানান করা শিখার আগেই দুই চারটা bf/gf বদলে ফেলে। বলিউড আর হলিউড মুভি দেখে জীবন কি আর তাকে কিভাবে চালাতে হয় তার শিক্ষা গ্রহন করে। এদের আইডল হল হলিউড বলিউডের actors/actresses. মেয়েরা আজকাল sunny leone হওয়ার আপ্রান চেস্টায় রাতের ঘুম হারাম করছে আর ছেলেরা sunny leone কে অথবা তার equivalent কোন বাঙালি মেয়ে কে গার্ল ফ্রেন্ড বানানোর চেষ্টায়। মেয়েরা মনে করে পুতুলের মত সেজে শরীর show off করতে পারাটাই আধুনিকতা আর ছেলেরা মনে করে সাথে একটা মেয়ে (তবে ওদের ভাষায় মাল) নিয়ে ঘুরতে পারলেই আধুনিক হতে আর তাদের ঠেকায় কে? ওদের কাছে আধুনিকতা মানে হল Westin এ গিয়ে ছেলে মেয়ে একাসাথে নেশা করে নাচানাচি করা আর এর পরের ঘটনাতো সবাই জানেন। ছেলেদের পকেট খালি হচ্ছে (তবে মন ভরছে সুখে), মেয়েদের আরো কিছু মেকআপ কিনার টাকার জোগান হচ্ছে (মনের সুখ included) আর Westin এর মালিকের bank aaccount টাকায় লাল হয়ে যাচ্ছে। পোলাপান গুলা উচ্ছন্নে গেলেও Westin এর ব্যবসা কিন্তু জমেছে। আর এসবের নামই হচ্ছে আধুনিকতা।

এইসব টাকা জোগাড় করতে দেশে ক্রাইমও বাড়ছে। সাধারনত এসব ক্রাইমের শুরু হয় নিজের বাসায় চুরি করা থেকে আর শেষ হয় পাইকারি হাড়ে চুরি, ছিনতাই, কিডন্যাপ sometimes murder দিয়ে। তবে ক্রাইম যেমনি হোক সেটা নিয়ে ছেলে মেয়েদের মাথা বেথা নেই, আসল কথা হল আধুনিক life style maintain করা হচ্ছে কিনা।

ভাষার কথাতো বলাই হয়নি আপনাদের। আধুনিক ভাষা হল ইংরেজি সে যতই ভুল হোক। আর বাপরে বাপ গালি কি জিনিস ওদের কাছে শিখা যায়। মোটকথা হলিউড বলিউডের মুভিতে যা যা গালি শোনে immediately খাতায় লিখে ফেলে, তারপর দিনে রাতে ওগুলা মুখস্ত করে সমানে প্রয়োগ করতে থাকে। এদের অবস্থা এমন হয়েছে যে (আমার মনে হয়) সেই দিন আর বেশি দুরে নেই যেদিন সালাম দিলে সালামের উত্তরের সাথে গালি ফ্রি আসবে।

Demonstration -
You * Assalamualaikum
Them * Walaikum- fu**ing- assalam


এই ছেলেপেলে গুলা আবার অনেক প্রতিবাদীও। ওরা প্রতিবাদ করে পুরাই ভিন্ন স্টাইলে। Rap গান গেয়ে প্রতিবাদ করে। কি ভয়ংকর gesture আর গান গাওয়ার স্টাইল। গানের কথায় মনের ভাব প্রকাশ করছে না সারা দেশকে হুমকি দিচ্ছে কে জানে। যেহেতু rap song so আমার মত সাধারন মানুষের subtitle ছাড়া বুঝার কোন উপায় নেই বেচারারা আসলে গলায় এত্ত pressure দিয়ে হাত পা সব ছোড়াছুড়ি করে কি বলার চেষ্টা করছে। আর সে কি body gesture, সোজা হয়ে দাড়াতে পারে না কুঁজো হয়ে যায় আর হাত বার বার প্যান্টের বেল্টের সামনে। দেখলে মনে হয় ওই precious বস্তুটি ধরে না রাখলে বুঝি খুলে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আমি বলি কি বাবাজীরা, তোমরাই তো দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের ভালমন্দ নিয়েতো তোমরাই চিন্তা করবা। তবে বাবাজীরা এমনভাবে প্রতিবাদ করলে ভাল হত না যেভাবে করলে আসলে মানুষের ভক্তি আসবে তোমাদের প্রতি আর কি বলতে চাইছ তাও শুনবে মন দিয়ে কোনো ভয় ভিতী ছাড়া? এভাবে হাত পা ছুড়ে চিৎকার করলেতো মুরুব্বীরা ভয়ে কেউ কাছে আসবেন না।

জানিনা কেমন বাবা মায়ের ঘরে এমন ছেলে মেয়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা, শুধু জানি কোন ভদ্র ও সুস্থ সমাজে বাস করার যোগ্যতা এদের নেই। এসব ghetto style এর লাইফ কোন ভদ্র সুশিক্ষিত সমাজের মানুষ lead করে না। যেই ছেলে মেয়েরা হিন্দি ফিল্ম দেখে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে তাদের ভবিষ্যৎ কি?? এদের কাছে নেশা করে পাইকারি হারে s*x করার নাম জীবন এনজয় করা। এরা নিজেরাই নিজেদের সম্মান দেয় না অন্য কেউ দিবে কোন দুক্ষে?? সারাদিন বস্তাপচা হিন্দি সিরিয়াল আর উল্টা পাল্টা মুভি দেখে মস্তিষ্ক বিক্রিত হয়ে গেছে ওদের (including parents)। যতদিন দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলু থাকবে ততদিন এই দেশের আর কোন উন্নতি হবে না।

কাপড় খোলা আর গালি দেওয়ার মাঝে কোন আধুনিকতা নেই বরং এতে করে কে কোন নর্দমার কীট শুধু তারই প্রকাশ পায়। পশ্চিমা দেশ থেকে শিখার মাঝে ভুল কিছু নেই। ভুল হল একটা কালচার থেকে বেছে বেছে খারাপ জিনিষগুলু শিখা আর ভালগুলু overlook করা। West থেকে শিখার অনেক ভাল কিছুও আছে। আশা করব বাঙালিরা ভালটা শিখবে আর মন্দটা বর্জন করবে।

৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×