২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাল। বরাবরের আমি আবহানি মাঠে গেছি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিতে। প্রশিক্ষণ শেষে যখন বের হচ্ছি, ঠুসঠাস কিছু শব্দ শুনলাম। আমি মনে করলাম কোন চতুর বালক পটকা ফোটাচ্ছে। সংকরের ১৩ নম্বর বাসায় ফিরে দেখি, বিডিআর এ বিদ্রোহ হয়ে গেছে। অবাক হলাম না, বিডিআরকে যখন সিমান্ত রক্ষার জায়গায় দোকানদার বানিয়ে ফেলেছিল, তখনি বুঝেছিল ওখানে দুই নম্বর কিছু হবে। আবার, আলু খাওয়ানো সেনাপতি দেশে রাজনীতি বিদদের থেকে শুরু করে সকল মানুষের জীবনকে যেভাবে তছনছ করেছিল, সাধারন মানুষ ছেড়ে দিলেও রাজনীতিবিদরা ঠিকই প্রতিশোধ নিবে।
কে কিভাবে কি করেছে, জানি না। জানতে চাইও না। এতো মিথ্যার আড়ালে সত্য কক্ষনো প্রকাশ পাবে না। ৫৭ জন অফিসার মারা গেছে। অফিসারদের পরিবারবর্গদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বিদ্রোহীদের বিচার হয়েছে বা হচ্ছে। যারা পিছন থেকে লাঠি ঘুরিয়েছে, তারা এখনো ঘুরাচ্ছে। আমি সেই তিনদিন বাসায় ছিলাম। এক বিকালে একটু বের হয়েছিলাম, হইচই শুনে আবার গর্তে ফিরে গেছি।
আজ ৯টা বছর চলে গেল। কতগুলো পরিবার, কত স্বপ্ন, কত কি? ক্ষমতার জন্য মানুষ কত নিচে নামতে পারে, প্রতিটি ঘটনা রটনায় প্রমানিত হচ্ছে। অসুস্থ এক দেশে থেকে আমরা দিন দিন সব ক্ষেত্রে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। প্রতিবাদের প্র উচ্চারিত হচ্ছে না। তাও আশা বুক বেঁধে আছি, নতুন সূর্য উদয়ের।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৭