somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উবুন্টুর সার্বজনীন ব্যবহার বাড়ানো: কয়েকটি বাস্তব সমস্যা

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মাস দু’য়েক আগে আমার জোরাতালি দেওয়া একটা ডেস্কটপ পিসিতে উবুন্টু লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করেছিলাম । তখন থেকে উবুন্টু নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি। যেহুতু আমি এর আগে উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলাম তাই উবুন্টুতে আসার পর প্রথম প্রথম বেশ খটকা লেগেছে। একবছর আগেও লিনাক্স সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না। আমি মনেকরি আমার এই না জানার পেছনে আমি খুব বেশী দায়ী নই।*

এখন আমি উবুন্টুর পরিবেশের সাথে অনেকটাই অভ্যস্ত তবুও উইনডোজের কতগুলো অ্যাপ্লিকেশনের কোন বিকল্প আমি এখনো পাইনি। উবুন্টুর নতুন ব্যবহারকারী হিসেবে যেসব সীমাবদ্ধতা উবুন্টু লিনাক্সে আমার চোখে পড়েছে এবং যে সীমাবদ্ধতা কাটানো না গেলে উবুন্টু সার্বজনীন ব্যবহার বাড়ানো আসলেই মুসকিল- তাই নিয়ে আজকের পোস্ট।

আমার জোরাতালি পিসির হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন মোটামুটি এরকম:
প্রসেসর: ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪ (পিন প্রসেসর) ২.২৬ গি.হা., র্যাম: ৬৪০ এমবি (সম্প্রতি ৫১২ এমবি একটি র্যাম যোগ করেছি; আগে ১২৮×২=২৫৬ এমবি ছিলো), মেইনবোর্ড: ইসনিক ৮৪৫ জিভি সিরিজ। মনিটর: ডেল ১৫ ইঞ্চি এলসিডি। বুঝতেই পারছেন কতো ভালো হার্ডওয়ারের পিসি!! যখন আমার প্রতিবেশী ছোটভাইয়ের ডুয়েলকোর ২.৫ গি.হা. প্রসেসর, ইন্টেল জি ৩১ মেইনবোর্ড, এবং ২ জিবি র্যামের পিসিতে মাঝে মাঝে বসি তখন বুঝতে ‍পারি আমার পিসির গতি আসলে কেমন!!

১. প্রথম সমস্যা বাংলা টাইপিং! হ্যাঁ বাংলা টাইপিংয়ের জন্য আমি বিজয় ছাড়া নিতান্তই অসহায়, কারণ যখন বিজয় শেখা শুরু করি তখন ওটাকেই বাংলা টাইপিংয়ের একমাত্র সফটওয়্যার জানতাম ! পরে ন্যাশনাল কীবোর্ড শিখতে চেয়েও আর হয়নি। আমার মতো অনেকেই বিজয় ব্যবহার করেন নিতান্তই অভ্যাসের কারণে। এখন অবশ্য বুঝি বিজয়ের কারণেই এতোকাল পরেও বাংলা লেখার একটা কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়নি। আমার গড় টাইপিং স্পিড ২৫-৩০ শব্দ প্রতি মিনিটে, এবং আমি ইংরেজি এবং বাংলা দু’টোই সমান গতিতে টাইপ করতে পারি। আমি আমার এই টাইপিং গতি নিয়ে সন্তুষ্টু। অভ্র, শাব্দিক, প্রভাত, জাতীয়, ইউনিজয়- যেটাই বলুন যেহেতু একবার বিজয় শিখে ফেলেছি তাই অন্য কোন কিছু নতুন করে শেখা যেমন বিরক্তিক তেমনি এটাও ঠিক যেহেতু একটা লে-আউটে আমি পুরোপুরি অভ্যস্ত্য হয়ে গিয়েছি ‍তাই ওটাকে ছেড়ে নতুন একটা কীবোর্ড শেখার সময় এবং ধৈর্য্যটা ঠিক হয়ে ওঠেনা। মোস্তফা জব্বার সাহেব ফিবছর এর জন্য দাম নিলেও আমি বিজয় ছাড়া একদমই অচল!

জাতীয় কীবোর্ড লে আউট বিজয় সদৃশ হলেও এটা দিয়ে আমি স্বচ্ছন্দে বাংলা টাইপ করতে পারিনা, কারণ ওটার কয়েকটা কী বিন্যাস বিজয় থেকে ভিন্নতর এবং কিছু বর্ণ অলটারনেটিভ কী চেপে টাইপ করতে হয়, এটা আমি একদমই পারিনা! অভ্র, প্রভাত ফোনেটিক নির্ভর, আমি ফিক্সড টাইপিয়েং অভ্যস্ত। তাছাড়া আমি বিশ্বাস করি ফোনেটিক টাইপিং কখনোই ফিক্সড টাইপিয়েংর সমান গতি ও স্বাচ্ছন্দ দিতে পারেনা।

ওয়াইন দিয়ে বিজয়ের ২০০৯ এবং ২০১০ সংস্করণ ইনস্টল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দু’টো প্রচষ্টাই ব্যর্থ। একটিতে বলে একসিকিউটেবল ফাইল করাপ্টেড, অন্যটি ডিরেক্টরি খুজে পায় না। ওয়াইন দিয়ে আসলে তেমন কোন কাজ করা যায়না। আমি কেবল ‍অ্যাডোবি ফটোশপ ইনস্টল করতে পেরেছিলাম, পারফর্মেন্স খুবই খারাপ।

মোস্তফা জব্বার সাহেবকে মেইল করেছিলাম জানার জন্য তিনি লিনাক্সের জন্য বিজয় তৈরি করেছেন কিনা। তিনি জানালেন তার পরিকল্পনা ‍আছে, এখনো তৈরি হয়নি, কবে হবে তাও বলতে পারেন না। সম্ভবত: তিনি প্রোগ্রামার পাচ্ছেন না!
উবুন্টু টেকিরা একটা সমাধান দিন দয়া করে!

২. মাইক্রোসফট অফিস: উইনডোজে আমার প্রিয় সফটওয়্যারের একটি এম এস অফিস ২০০৭। এটাতে লিখে যতোটা স্বাছন্দ পাই ওপেন অফিসে তা পাই না। আর ওপেন অফিসে বাংলা টাইপিং করার ক্ষেত্রে বাংলা ফন্ট ( যেমন তন্বী বাংলা ওএমজে ) এবং বাংলা কীবোর্ড নির্বাচন করে টাইপ করলেও ফন্ট নিয়ে ঝামেলা করে, মানে আমি সিলেক্ট করলাম তন্বী বাংলা ওএমজে, দেখা গেলো টাইপ করার সময় ফন্ট এসেগেলো অন্যটি। স্ক্রিণশট দিচ্ছি, দেখুন।


তন্বী বাংলা ওএমজে বাছাই করলাম।

এবার টাইপ করতেই ফন্ট বদলে গেলো! তারপর বদলে যাওয়া ফন্ট সিলেক্ট করে আবার তন্বী বাংলা সিলেক্ট করে টাইপ করলে তখনই কেবল তন্বী বাংলায় লেখা যায়।
এটা কেন হয়, সমাধান চাই।

৩. উবুন্টুর যে ডিস্ক আমি ক্যানোনিক্যাল কর্পোরেশন থেকে পেয়েছি (বা আমরা পেয়ে থাকি) তাতে উইনডোজের মতো ডেস্কটপে মাইকম্পিউটার, হোম, ট্রাশ এইসব আইকন বাই ডিফল্ট দেয়া থাকেনা, ডিস্ক মাউন্ট করা থাকেনা। তাই যেকোন ড্রাইভে যেতে হলে প্রতিবার ডিস্ক মাউন্ট করা লাগে- এগুলো বেশ বিরক্তিকর। বলা বাহুল্য উবন্টুর লিনাক্সের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হলেও এই ডিস্ট্রিবিউশনে ডিস্ট্রিবিউটর উবুন্টুর মূল ডিস্ট্রিবিউশন থেকে কিছু পরিবর্তন করার অধিকার রাখেন এবং এই পরিবর্তীত ডিস্ট্রিবিউশনই আমরা পেয়ে থাকি। সেটাপ দেওয়ার পর ডেস্কটপ ইউজার ফ্রেন্ডলি করে সাজানোর জন্য যতো গুতাগুতি করা লাগে তা একজন নতুন ব্যবহার কারীর জন্য অবশ্যই অনেক ঝামেলার। তাই সহজবোধ্যতার জন্য অনেকেই উইনডোজ বেছে নেয়। স্ক্রিণশট আমার উবুন্টু ডেস্কটপ:


এটি কিন্তু ইনস্টল করার পর এমন ছিলো না! সোজা কথায় ডেস্কটপ ছিলো ধুধু খালি! বাই ডিফল্ট মাই কম্পিউটার আইকনসহ অন্যান্য কিছু প্রোগ্রামের আইকন ডেস্কটপে দেয়া থাকলে অনেক নতুন ব্যবহারকারীর জন্যই তা সুবিধাজনক হবে। উবুন্টু ব্যবহারে আগ্রাহী হবে।

৪. উইনডোজের আর যে অ্যাপ্লিকেশনের ভালো কোন বিকল্প এখনো উবুন্টুতে নেই তা হলো মেসেঞ্জার। হ্যাঁ, হয়তো বলবেন Empathy ব্যবহার করুন। বাস্তবতা হলো উবুন্টুর Empathy মাল্টিপ্রটোকল হওয়ায় জনপ্রিয় প্রায় সব মেসেঞ্জারের টেক্সট চ্যাট সমর্থন করলেও Empathy দিয়ে লগইন করতে বেশ সময় লাগে এবং খুব কম ভয়েস চ্যাট সার্ভিসের ভয়েস চ্যাট সমর্থন করে। যেমন- আমার ইয়াহু কন্টাক্টস লিস্টে থাকা বন্ধুদের মধ্যে মাত্র ১ জনকে ভয়েস চ্যাট করার অপশন পাই, অনলাইনে থাকা বাদবাকি কন্টাক্টসে কেবল টেক্সট করতে পারি, অথচ উইনডোজের মূল ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে ঠিকই সবার সাথে ভয়েস চ্যাট সুবিধা পাই। ইমপ্যাথি দিয়ে গুগলটক এবং স্কাইপিরও একই অবস্থা, এখনো কোন কন্টাক্টসে ভয়েস চ্যাট করতে পারিনি। ইমপ্যাথি দিয়ে ইয়াহু চ্যাটরুমে প্রবেশ করা যায়না। মোট কথা থার্ড পার্টি সফটওয়্যার দিয়ে কখনোই মূল সফটওয়্যারের কাজ হয় না।

অবশ্য সম্প্রতি জানতে পারলাম গুগল লিনাক্স ইউজারদের জন্য ব্রাউজার থেকে ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাট করার জন্য প্লাগইন উন্মুক্ত করেছে। এটা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো আর কি!

ভালো হতো যদি গুগল সরাসরি গুগলটকের লিনাক্স ভার্সন বের করতো। আমি অবশ্য গুগলের এই প্লাগইন আর ট্রাই করার সুযোগ পাইনি। নতুন র্যাম লাগানোর পর সব গড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় মেজাজ খারাপ করে পুরো হার্ডডিস্ক ফরম্যাট দিয়ে তারপর উইনডোজ ইনস্টল দিয়েছি। তবে উবুন্টুর জন্য একটা পার্টিশন করে রেখেছি। কয়েকদিন পর আবার উইনডোজের সাথে ডুয়েলবুটে উবুন্টু ইনস্টল দেবো।

আর স্কাইপির ওয়েব পেজে গিয়ে দেখলাম তারা স্কাইপির লিনাক্স ভার্সন দিচ্ছে। এটা তারা কবে থেকে দিচ্ছে তা ঠিক জানিনা, তবে অনেক আগে থেকে স্কাইপি লিনাক্স ভার্সন দিচ্ছে কিনা তাও ঠিক জানিনা। তবে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে।

তবে এখনো ইয়াহু মেসেঞ্জারের কোন লিনাক্স ভার্সন নেই, অদূর ভবিষ্যতে হবে সে সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ। কারণ বোধহয় লিনাক্স ওপেন সোর্স এবং ফ্রি আর ওয়েব জায়ান্টরা যা কিছু চিন্তা করে তা সবই বানিজ্য নির্ভর। আর যতোদিন এইসব মেসেঞ্জার না হচ্ছে ততোদিন বোধহয় দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো ইমপ্যাথি দিয়ে আসল মেসেঞ্জারের স্বাদ মেটাতে হবে আরকি!

৫. আমার কাছে মনে হয় সোয়াপের কার্যকারিতা খুব কম। আমার নিজের পিসিতে উইনডোজের চেয়ে উবুন্টু অনেক ধীর কাজ করে। আমি সোয়াপ এরিয়া হিসেবে উবুন্টুর জন্য ১.৫ জিবি স্পেস দিয়েছি। আমার পিসির র্যাম যখন ২৫৬ এমবি ছিলো তখন ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার সময় ৫/৬ টির বেশী পেজ খোলা যেতো না, র্যাম মেমোরি ভরে যেতো, তারপর হ্যাং করতো। ৫/৬ টি পেজ খুললেই র্যাম ৮০% -৯০% ( মোট ২৩৬ এমবি’র ১৮০-১৯০ এমবি) ব্যবহৃত হয়ে যেতো, সেখানে সোয়াপ ব্যবহৃত হতো মাত্র ১০০ এমবি বা তার কিছু কম বেশী। তাহলে সোয়াপের কার্যকারিতা কোথায়? আবার আমার প্রতিবেশী ছোটভাইয়ের পিসির র্যাম ২ জিবি, সে সোয়াপ হিসেবে ৫১২ এমবি স্পেস দিয়েছে, সোয়াপতো দূরের কথা তার পিসির র্যামের ২০-৩০% এর বেশী কখনো ব্যবহার হতে দেখিনি। তাহলে তার জন্য সোয়াপ এরিয়ার কোন প্রয়োজন আছে কি?

৬. উবুন্টুর ডেস্কটপ ভার্সনের ডিফল্ট রেজুলেশন অনেক বেশী, প্রায় ১৫০০×৮০০ পিক্সেলের কাছাকাছি। এটা উবুন্টু ইনস্টলের জন্য অনেক সময় সমস্যার কারণ। আমার মনিটর উবুন্টুর ডিফল্ট রেজুলেশন দেখাতে পারেনা। সর্বোচ্চ ১০২৪×৭৬৮ দেখাতে পারে আমার মনিটর, তাই উবুন্টু ইনস্টল দিতে হয়েছে অন্য মনিটর সংযোগ দিয়ে। কারন আমার ডেল ব্রান্ডের ১৫ ইঞ্চি এলসিডি মনিটরে উবুন্টুর সেটাপ স্ক্রিন Can not show this video mode মেসেজ দেখায়, আর কোন কিছুই করা যায় না, মনিটরের অটো রেজুলেশন সিলেক্ট বাটনও এখানে কাজ করেনা। আর উবুন্টু ইনস্টল করার আগে রেজুলেশন পরিবর্তন করার কোন অপশন নেই। এটা একটা চরম দুর্বল দিক।

৭. আমার মতো অনেকেরই সংগ্রহে আছে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাপিডিয়া সিডি সংস্করণ, আনন্দ চলন্তিকা কর্তৃক প্রকাশিত শরৎ রচনাবলী, রবীন্দ্র রচনাবলী ডিজিটাল বুক, ক্যামব্রিজ ডিকশনারীর সিডি সংস্করণ। এগুলোর সবগুলোই উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রোগ্রামিং করা। বিশেষ কায়দায় ফায়ারফক্স দিয়ে শরৎ এবং রবীন্দ্র রচনাবলীর ডিজিটাল সংস্করণগুলো উবুন্টুতে খোলা যায় এবং পড়া যায় ।

কিন্তু বাংলাপিডিয়া এবং ক্যামব্রিজ ডিকশনারী উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রোগ্রাম করা এবং তা পিসিতে ইনস্টল ছাড়া ব্যবহার করার কোন উপায় নেই। এর কি সমাধান দেবেন? যদি সমাধান না থাকে তাহলে উইনডোজ ছাড়বো কিভাবে?

৮. উইনডোজের জন্য অনেক ইংরেজি-বাংলা ডিকশনারী আছে, আমি এখনো উবুন্টুর জন্য এমন কোন ডিকশনারী খুজে পাইনি। এমনকি উবুন্টুতে যে ডিফল্ট ইংরেজি-ইংরেজি ডিকশনারী দেওয়া আছে তা ইন্টারনেট নির্ভর, সার্ভার হতে ডেটা নিয়ে তারপর অর্থ দেখায় অর্থাৎ ডিকশনারিটি স্বয়ংসম্পুর্ণ প্রোগ্রাম করা নয়, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এই ডিকশনারী বিকল!

৯. উবুন্টুতে পেনড্রাইভ, ব্লুটুথ ডিভাইস বা অন্যকোন উপায়ে ডেস্কটপে আনা ফাইল ডেস্কটপ হতে অন্যকোন ড্রাইভে কপি-পেস্ট বা কাট-পেস্ট করা যায়না। এটা চূড়ান্ত বিরক্তিকর একটি বিষয়।


১০. উবুন্টু(লিনাক্স)-এর জন্য এখনো কোন পিসি স্যুইট সাপোর্ট নকিয়া তৈরি করেনি, অথচ নকিয়া ম্যাকের জন্য ঠিকই পিসি স্যুইট বানিয়েছে। যেখানে মোট ম্যাক ব্যবহারকারী শতকরা ৩ ভাগ আছে কিনা সন্দেহের ব্যপার, সেখানে শতকরা ১০%-১২% কম্পিউটার ব্যবহারকারী লিনাক্স ব্যবহার করেন। অথচ নকিয়ার লিনাক্স সাপোর্ট নেই। ব্যাপারটা এরকম লিনাক্সকে তারা পাত্তাই দেয় না। অথচ বাংলাদেশে অনেকেই নকিয়া ফোনকে মোডেম হিসেবে ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাই উবুন্টুতে ফোনকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই আমার মতো ঝামেলা পড়েন।

১১. উবুন্টুতে মিডিয়া ফাইল চালানোর জন্য ভিএলসিসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার আছে। তারপরও কথা থেকে যায়- মুভি প্লেয়ার, রিদম বক্স ডিফল্ট হিসেবে দেওয়া থাকলেও কোডেক নামানোর আগ পর্যন্ত কোনটাতেই কোন ফাইল চলে না। আর উইনডোজ মিডিয়ার প্লেয়ারের মতো ( আমি এর মান এবং ইন্টারফেস দু'টোকেই এগিয়ে রাখছি) বিকল্প কোন সফটওয়্যার এখনো উবুন্টুতে তৈরি হয়নি।

১২. উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইনস্টল করাটা আসলেই কঠিন কাজ। কিছু কিছু সফটওয়্যার সফটওয়্যার সেন্টার হতে ডাউনলোড করলেই ইনস্টল হয়ে যায়। সেটা একদম জলবৎ তরলং। কিন্তু কিছু সফটওয়্যার ইনস্টল করা আসলেই ঝামেলার কাজ, কমান্ড দিতে হয়। অ্যাডভান্স ইউজার না হলে তার পক্ষে সফটওয়্যার ইনস্টল করাটা আসলেই কঠিন। এমনি এক সমস্যায় পড়েছিলাম আমি গুগল আর্থ ইনস্টল করতে গিয়ে। গুগল আর্থ ডট বিন ( GoogleEarth.bin) ফাইল নামালাম গুগলের নির্দিষ্ট সাইট হতে। কিন্তু ডাবল ক্লিকে তা ইনস্টল হয় না ( যেমনটা উইনডোজে .exe ফাইলের ক্ষেত্রে হয়)। তারপর নেট ঘেটে একের পর এক দিতে থাকলাম কমান্ড, কারো কোন কমান্ডেই কাজ হচ্ছে না, একটার পর একটা এরর দেখাতে থাকে! তারপর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ঘন্টাখানেক নেট ঘেটে গুগল আর্থ ইনস্টল করতে সক্ষম হই!
আর এই কমান্ডের পাল্লায় পড়ে অনেক গুতাগুতি করেও বাংলা লেখার সফটওয়্যার অভ্র উবুন্টুতে ইনস্টলই করতে পারিনি!!!

যতোদিন এইসব সাপোর্ট না পাওয়া যাবে ততোদিন উবুন্টুর সার্বজনীন ব্যবহার বাড়ানো আসলেই কঠিন কাজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৫৪
২৪টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×