১.
সেদিন কান্না ছিলো।সন্তান হারা মায়ের কান্না,পিতা হারা ছোট ছেলে টার কান্না,ভাই হারা বোন কিংবা সদ্য বিধবার কান্না।
সেদিন অনেক লাশ ছিলো।পথে পথে।মোড়ের শেষ প্রান্তে,যেখানে আড্ডায় মেতে থাকতো আপাতত কর্মহীন যুবকেরা।আবার যারাই অস্ত্র হাতে নেমেছিলো হানাদার বধে।
সেদিন আমার বোন টিরও লাশ ছিলো।হাজার বার মিনতি করেও যাকে পুড়তে হয়েছিলো নগ্ন আগুনে।
আর সেদিন একটি পতাকা ছিলো।লাল সবুজ।প্রাণের লাল,চেতনার সবুজ।
২.
বিজয় দিবসে একটি কথা ভাবার প্রয়োজন আছে।আমরা কি আসলেই বিজয় পেয়েছি?
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে পানি টানছেন চায়ের দোকানে।আর চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী রা স্বাধীনতাকে বুক পকেটে পুরে ঘরে গিয়ে মেতে উঠছে পরিহাসের হাসি তে।
রিক্সার পেডাল চেপে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধে পরাজিত একজন নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধা।পাশ দিয়েই জোরে ছুটে গেলো একজন রাজাকারের গাড়ি।এমপি হবার সুবাদে গাড়িতে উড়ছে লাল সবুজ পতাকা।
মোড়ে বসে হাত বাড়িয়ে মাথা নামিয়ে বসে আছেন গেরিলা যোদ্ধা।লাল সূর্য এসেছে থাকে পঙ্গু করে।আর ঢাকায় বাড়ি করছে,পল্টনে মিটিং
করছে বদর বাহিনীর প্রধান রা।
আমরা কি আসলেই বিজয় পেয়েছি??
.................................
পিডিএফ ১। ব্লগার নাঈমের লেখা ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিবৃত্ত
পিডিএফ ২। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ফিউশন ফাইভের ই-বুক ফিরে দেখা ৭১ , আন্তর্জালিক পাতায় এর চেয়ে আর কোনো এত সমৃদ্ধ বই নেই।
..................................
লাশকাটা ঘরের ঘুলঘুলিতে বাসা বেঁধেছে চড়ুই
তালপাতায় ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা
ওখানে ওখানে বাতাস বয়ে যাচ্ছে ঝিরঝির
গড়িয়ে গড়িয়ে চলছে মৃতপ্রায় নদী
ক্ষুধাকাতর কুকুর আর কাকের দল চোখ মেলে আছে শুন্যে!!
কলসী কাঁখে বাড়ি ফিরছে সদ্যযৌবনা নারী
রাজপথ কাঁপাচ্ছে তিন আর চার চাকা রা!!
হে বিধাতা,
আজ থেকে অনেক গুলো বছর আগে
কেঁপে উঠেছিলো এইসব দৃশ্যপট!!
রাবণের মত এসেছিলো ওরা,
লুটে নিয়েছিলো প্রাণ,নারীত্বের তাজা ঘ্রাণ!!
ঘুলঘুলির চড়ুই রা উড়াল দিলো প্রাণ ভয়ে
বাবুই ছিন্ন ভিন্ন হলো বুলেটে বাসা সমেত
বাতাসে মিশেছিলো কান্না আর লাশের গন্ধ
খরস্রোতা নদী লাল হয়ে ছিলো
অনেক গুলো ছিন্নমুন্ডু পেয়েছিলো জেলে রা।
কাক দের কোন খাবারের অভাব ছিলো না
ছিলো না কুকুরের দলের ও!!
সদ্যযৌবনা মেয়ে টি সেদিনও বাড়ি ফিরেছিলো
পেছনে রেখে এসেছিলো কলসী আর লাজ!!
তোমার রাজপথে সেদিন কোন চাকা ছিলো না
দানব আর দানবীয় যন্ত্রের চাকায় পিষ্ট লাশ ছিলো!!
গোবিন্দচন্দ্র,মুনীরচৌধুরী,শহিদুল্লাহ কায়সার,সাবের....
আরো কত নাম!!
হারিয়ে গেলো কতজন জহির রায়হান!!!
বিধাতা,সেদিন রাবণ এসেছিলো,অসুর এসেছিলো,বিহারী এসেছিলো
সাথে ছিলো তোমার আমার চেনা জারজেরা....
আমি তোমার কাছে তাদের ফাঁসি দাবী করছি...
হে ভূ-বিধাতা...
যদি না পারো....তবে দাও আমায় ফাঁসি
একমুঠো মুক্ত হাওয়ার জন্য আমি মরতে রাজি আছি।
.................................
একটি ভালোলাগার খবর...একটি নবপদচারণা...
মহান বিজয় দিবসে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,চুয়েট শাখা'র ২০১০-২০১১ কমিটি..
নবনির্বাচিত কমিটি
সভাপতি - হুমায়ুন কবির রাজু (চতুর্থ বর্ষ)
সহ-সভাপতি - ১। সৈয়দ তানভীর আহমেদ (চতুর্থ বর্ষ)
. ২।আল জাবাহ আল সাবাহ উজ্জ্বল (চতুর্থ বর্ষ)
সাধারণ সম্পাদক - মহিউদ্দীন আহসান (চতুর্থ বর্ষ)
সহ- সাধারণ সম্পাদক - ১। মো: রফিকুল ইসলাম (চতুর্থ বর্ষ)
. ২।সুব্রত বিশ্বাস (তৃতীয় বর্ষ)
সাংগঠনিক সম্পাদক - সোহেল মাহমুদ (চতুর্থ বর্ষ)
অর্থ সম্পাদক - ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র দাশ (চতুর্থ বর্ষ)
সাংস্কৃতিক সম্পাদক - আল রাজী সনেট (চতুর্থ বর্ষ)
দপ্তর সম্পাদক - হিমাদ্রী দেব (তৃতীয় বর্ষ)
শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক - আক্কাস উদ্দীন জিসান (তৃতীয় বর্ষ)
ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক - জামিলুর রহমান আরজু (তৃতীয় বর্ষ)
সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক- রুহুল আমিন (দ্বিতীয় বর্ষ)
সদস্যপরিষদ
১। শাকিল (দ্বিতীয় বর্ষ)
২। জনি (প্রথম বর্ষ)
৩। শাওন (প্রথম বর্ষ)
৪। ইভান (প্রথম বর্ষ)
৫। প্রতীম (প্রথম বর্ষ)
৬। সুমন (প্রথম বর্ষ)
৭। পারভেজ (প্রথম বর্ষ)
৮। ইমরান (প্রথম বর্ষ)
অনুমোদনে
রবিউল হোসাইন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
চট্টগ্রাম জেলা সংসদ
অনুমোদন সমর্থনে
অরুনাভ আইচ অভি
প্রাক্তন সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়ন'চুয়েট শাখা।
...........................
ধন্যবাদ ও আবারো শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৭