কিছুক্ষণ আগে ব-দ্বীপ প্রকাশন স্টল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। জব্দ করেছে ৫টি বই । তবে শুধু স্টল বন্ধ করলেই হবে না। প্রকাশনীর মালিককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কারণ এর আগে গত বছর রোদেলা প্রকাশনীর স্টলকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারণে বন্ধ করা হয়েছিলো। বাংলা একাডেমীর বইমেলার নীতিমালা ১৩ এর ১৩ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে- অশ্লীল ও রুচিগর্হিত বই প্রকাশ করলে স্টল বরাদ্দ বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে আর কোনো সময় সেই স্টলকে বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
অর্থাৎ রোদেলা প্রকাশনী বাংলা একাডেমীর নীতিমালা অনুযায়ী স্টল বরাদ্দ পায় না। কিন্তু তারপরও তাদেরকে ১৫৩,১৫৪, ১৫৪ নং স্টল অর্থাৎ তিনটি পজিশন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটা অবশ্যই বাংলা একাডেমীর নীতিমালা বিরোধী। অর্থাৎ স্টল বন্ধ করা যাস্ট আইওয়াশ।
তাই অবিলম্বে রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ বাতিল করতে হবে এবং ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টল ও প্রকাশনীর বন্ধ করে, শামসুজ্জামান মানিকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এবারের অমর একুশের বইমেলা-২০১৬ উপলক্ষে ব-দ্বীপ প্রকাশনী রাসুল (সা) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বই প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য বইমেলার নীতিমালা নীতিমালা ১৩ এর ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ধরনের বই বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একইসাথে বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোন প্রকাশনী এ ধরনের বই বের করতে পারে না। তারপরেও কিভাবে এ ধরনের প্রকাশনী বই বের করে এবং প্রকাশ্যে বইমেলায় বিক্রি করে তা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলটি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। একইসাথে তারা ওই প্রকাশনীর বেশ কয়েকটি বই জব্দ করেছে।
সোমবার বিকেলে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলে পুলিশ অভিযান চালায়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক থেকে পুলিশ জানতে পারে, ব-দ্বীপ থেকে প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলন ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটিতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো লেখা আছে। বইটি সম্পাদনা করেছেন শামসুজ্জোহা মানিক। এ সময় স্টলে থাকা ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটির ৬ কপি পুলিশ জব্দ করে।
এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো লেখা আছে কি না তা অনুসন্ধান করতে একই প্রকাশনী থেকে আরও পাঁচটি বই জব্দ করেছে পুলিশ। বইগুলো হলো- শামসুজ্জোহা মানিক ও শামসুল আলম চঞ্চল রচিত ‘আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা’, এম এ খান অনূদিত ‘জিহাদ : জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার’, শামসুজ্জোহা মানিকের ‘ইসলামের ভূমিকা ও সমাজ উন্নয়নের সমস্যা’, একই লেখকের প্রবন্ধ সংকলন ‘ইসলামে নারীর অবস্থা’ এবং ‘নারী ও ধর্ম’। ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলে প্রদর্শিত এ বইগুলোর সব কপি জব্দ করে পুলিশ।
বইমেলার নীতিমালা নীতিমালা ১৩ এর ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ধরনের বই বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একইসাথে বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোন প্রকাশনী এ ধরনের বই বের করতে পারে না। তারপরেও কিভাবে এ ধরনের প্রকাশনী বই বের করে এবং প্রকাশ্যে বইমেলায় বিক্রি করে তা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১