অবিশ্বাসিদের প্রতি বলছি, আজ তরুণদের এই নব জাগরণ যারা কটু দৃষ্টিতে দেখছেন, অন্ধবিশ্বাসের গন্ডি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্ঠা করুন। টিভির পর্দায় দেখে বিশ্বাস আবিশ্বাসের ঝড় না তুলে এখানে এসে এই মুখগুলো দেখুন না তারা কি পথভ্রষ্ঠ। উত্তর হচ্ছে না। পথভ্রষ্ঠতা মানুষ কে ক্ষণিকের জন্য অন্ধ করে রাখে, বিশৃঙ্খলিত করে, দূর্ণিবিত করে তোলে। এখানে কি আপনারা একটিও বিশৃঙ্খলার চিহ্ন দেখাতে পারবেন। যে কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে বসার স্থান নিয়ে নেতায় নেতায় গন্ডগোল হয়, এই জাগরণে তার কি একটা উদাহরন দিতে পারবেন। কনসাটে মেয়েদের উকক্ত করা হয়, আর এখানে রাতের পর রাত একটিও মেয়েও কি নিরাপদহীনতা বোধ করেছে। উত্তর হচ্ছে না। এখানে বড়দের কে কি কেউ অম্রদ্ধা করছে।
উত্তর হচ্ছে না। কারন যারা এখানে আসছে তারা সবাই একটি চেতনার বিশ্বাসী। মূল্যবোধের বিশ্বাসী। ক্ষণিকের আত্মচাহিদার তাড়নায় তারা পরিচালিত নয়। যুগ যুগান্তের জয়ের বরণ মালা তাদেরই।
জ্ঞানপাপীদের প্রতি বলছি, আপনারা যারা এই নব জাগরণ কে রাজনৈতিক আন্দোলনের লেবাসে চালিয়ে দিতে চ্চাছেন, একটু চোখ খুলে দেখুন এই নব জাগরণ একটি সামাজিক আন্দোলন। এখানে যেমন ৫ বছরের শিশু তার বাবা মার হাত ধরে আসছে তেমনি ৭০ বছরের বৃদ্ধ ও তার ভাঙ্গা কন্ঠে স্লোগানে শাহাবাগের প্রান্তর মুখরিত করে তুলছে। এটা কি রাজনৈতিক আন্দোলনের বৈশিষ্ঠ। তর্কের খাতিরে তর্ক না করে কি আপনারা মেনে নিতে পারেন না যে, এ আন্দোলন এক দল আত্মস্বীকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে। আপনারা তো একথা স্বীকার করবেন, রাজনীতি করে বলে যে কেউ আইনের ঊদ্ধে চলে যেতে পারেনা। বিচারের সম্মুখে তাকে আসতেই হবে ( আর তারা কোন দেশে থেকে কোন দেশের রাজনীতি করে তার কথা তো বাদই দিলাম )। যা ১৯৯২ তে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম শুরু করেছিলেন তা শেষ ২০১৩ হবে তা বলছি না কিন্তু এক দিন আসবেই সংঘঠিত অপরাধের বিচার হবেই, অপরাধীরা জীবিত থাক না থাক। ইতিহাস যেমন তাদের কে অপরাধী বলে সাক্ষী দেয়, তেমনি আইনও তাদের কে অপরাধী বলে সাক্ষী দেবে। সেই দিনের আশায় রইলাম।
নন্দলালদের প্রতি বলছি, আর কত কাল ঘরে বসে থেকে দেশের তথা আপন সেবা করবেন। আজ একটু মাথা তুলে দাড়ান। চেতনা যদি না থাকে তবে মানুষত্ব্য থাকবে না । যদি একবারের জন্য মনে হয় এখানে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হচ্ছে তবে আওয়াজ তুলুন আমাদের কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে ' তুই রাজাকার তোর ফাসিঁ চাই'।
স্যার আপনাকে বলছি, ছেলেপেলেরা যেন অকাজ করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন বাধা থাকার সর্তেও মিড-র্টাম পরীক্ষা ঘোষনা করেছেন, যেন ছেলেমেয়েদের ক্যম্পাসে বদ্ধ থাকে। কিন্তু তা ক্ষনিকের জন্য। হ্যাঁ, বাবার গাঁটের পয়সা খরচ করে পড়ি বলে, আমার সে গাঁট নেই যে তা ত্তুছ করব, কিন্তু মন তো পরে থাকবে সেখানে। মনের জানালা তো কখনো আবদ্ধ হয় না।
শেষ করছি একটি সত্য ঘটনা দিয়ে। সেদিন রাতে উত্তরা থেকে বাসায়ে ফেরার জন্য বাস স্টপে যেতেই দেখি একটি বাস চলে যাচ্ছে। তো বাসটি ধরতে আমি দৌড় দিলাম, এই সময় দেখি একজন মধ্যবয়সি ভাইয়া 'রাজাকারের বিচার চাই' আওয়াজ তুলে বাসটি ধরার জন্য দৌড় দিলেন। আজ আমাদের শক্তি Glucon-D থেকে আসে না , আসে চেতনা থেকে। চেতনার জয় হোক এই আহ্বান জানাই।
বি. দ্র : আজকের সন্ধ্যা ৭টার মমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি সার্থক করার আহ্বান জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০