ঘোড় সওয়ার সবুজ নকসা কাটা মাটির দেয়াল ঘেরা তার গ্রামের বাড়ির সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমার ছবি তোলা দেখে হাসছে।
উপরের ঘোড়াটিই তার প্রতিযোগীতার ঘোড়া।
দিনাজপুর সদর থানার সালকি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঘোড় সওয়ার সবুজের সাথে দেখা। কথা হলো তার সাথে। সে এবছর ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অনেকগুলো পুরুষ্কার জিতেছে। নিজের এলাকা ছাড়াও অনেক দূরের খেলাতেও অংশগ্রহণ করে জিতে এনেছে প্রথম পুরুষ্কার।
এবার ঘোড় দৌড়ে প্রথম পুরুষ্কার হিসাবে পেয়েছে দুইটি গরু, একটি ছাগল, দুইটি মোবাইল ফোন। আরো অনেক পুরুষ্কার হয়তো পেত কিন্তু বিধি বাম হওয়ায় আর সম্ভব হয় নাই, দিনাজপুর পাঁচকুড় এলাকায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে তার ঘোড়া পায়ে ব্যথা পায়, যে কারণে বিভিন্ন এলাকায় পরের খেলাগুলোতে আর যোগদান করা সম্ভব হয় নাই।
সবুজ হাসি মুখেই আমাকে তার বড় সাফল্যের কথা জানালো। বগুড়ার মেয়ে ঘোড় সওয়ার মারিয়াকে সে পরাজিত করে প্রথম পুরুষ্কার নিয়েছে। মারিয়া এই প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় হয়েছিল। এটা তার বড় সাফল্য।
কিন্তু এত সাফল্য যার ঘোড় দৌড় খেলায়, সেই সবুজের নিজের ঘোড়া নেই। তার গ্রামেরই শহীদ মেম্বারের ঘোড়ায় সে ঘোড় সওয়ার হিসাবে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। বিনিময়ে পায় কিছু অর্থ।
সবুজ এবছর গ্রামের স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ে। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে ঘোড়া পেলেই পিঠে চড়ে উর্ধ্বশ্বাসে মাঠের পর মাঠ দৌড়ে বেড়ায়। এতটুকু বয়সে সওয়ার হিসাবে বেশ নাম করেছে। ঘোড়াটি তার অবাধ্য নয়, যেভাবেই নির্দেশ করে সেভাবেই ছুটে চলে। তার ঘোড়ায় চড়া আর দ্রুতবেগে ছুটে চলা দেখে আশ্চার্যই হয়েছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪