মোঃ মাসুদ আলম॥
রাস্তার দুই পাশে গড়ে উঠা ড্রেন গুলো গভীর ও সমতলের না হওয়ায় ড্রেনের পানি জমে নগরীর সড়ক গুলোতে অধিকাংশ জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক গুলো। গর্ত ও খানাখন্দে পূর্ণ সড়ক গুলোতে গাড়ি চলাচলের কারণে গর্তের আকার আরো দীর্ঘ ও গভীর হচ্ছে, ফলে পরিবহন চলাচল দূরের কথা সাধারণ মানুষ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এমনকি সাধারণ বৃষ্টিতে রাস্তার জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে রাস্তার বড় বড় গর্ত গুলো দেখা যায় না, ফলে অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে ।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কান্দির থেকে রানীরবাজার হয়ে ধর্মপুর রোড, ভিক্টোরিয়া ডিগ্রি শাখা রোড, শাসনগাছা থেকে ধর্মপুর রোড, কালিয়া ঝুড়ি রোড, দক্ষিণচর্থা থেকে ইপিজেড রোড ও নগরীর বাগিচাগাঁও সহ প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে ড্রেনের পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। এতে সড়ক গুলোতে ড্রেনের ময়লা পানি অন্য দিকে গর্ত ও খানাখন্দে যেন পুরো নগরটা বর্ষার বৃষ্টিতে জলাশয় সৃষ্টি হয়ে আছে। এতে করে দুর্ভোগে জীবন কাটাচ্ছে নগরবাসী ও সাধারণ মানুষ। আরো দেখা যায় নগরীর নজরুল ইভিনিউর সামনে ড্রেনের ময়লা পানি রাস্তা উপর দিয়ে গঠিয়ে পুরো রাস্তা জলাশয়ের আকার ধারন করে আছে।
সাধারণ যাত্রী মাঈন উদ্দিন বলেন, সিটি কর্পোরেশন যদি বর্ষার আগে ময়লার ড্রেন ও রাস্তা গুলো সংস্কার করতো তাহলে আমাদের এই দূর্ভোগ পোহাতে হতো না। ড্রেনের ময়লার পানির কারণে আমাদের পারাপার হতে কাপড় উঠাতে হয়। রাস্তা গুলোতে যে প্রকার গর্ত তাতে পানি জমে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে থাকে।
আরেক যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, যে ভাবে ময়লা ড্রেনের পানি গুলো রাস্তায় এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে তাতে গাড়ি ছাড়া যাতায়াত করা খুব কষ্ট কর। তাই আমাদের অতিরিক্ত ভাড়া গণতে হয়। তাই সামান্য একটু জায়গার জন্য গাড়িতে উঠতে হচ্ছে।
নগরীতে যাতায়াতের প্রধান বাহক অটোরিক্সা চালক শিপন বলেন, রানীরবাজার রোড, কান্দির পাড় থেকে পুলিশ লাইন রোড, ধর্মপুরসহ রোড গুলোতে গাড়ি চালানো খুবই কষ্টকর। এমনকি সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে, ফলে রাস্তার বড় বড় গর্ত গুলো দেখা যায় না। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৩