বড্ড অদ্ভুত এক তুমিহীনতায় ভুগছি আজকাল।
মনে হচ্ছে আমার সবকিছুতে তুমিত্ব ছড়িয়ে গেছে।
আমার রক্তে তুমি,আমার স্নায়ুকোষে তুমি,
আমার শিহরনে তুমি,প্রত্যেকটি নিউরনে তুমি।
শুধু তোমার জন্য আমার প্রতিনিয়ত একবার করে পুনঃপুন জন্ম হয়। আমি শুধু তোমার প্রিতিনিধিত্ব করি।তুমিহীনা ভাবতেই কেমন যেন অগোছালো আর অচ্ছুৎ হয়ে যাই।
আমার সবকিছুতে তুমি আছো শুধু,শুধু তুমি।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল তুমি,
উজ্জল রবির কিরণ তুমি,
তুমি আমার হেমন্তের নবান্ন,নতুন ধানের উৎসব তুমি।
কূলবধুর কামনা মেশানো পরশ তুমি,
নওজোয়ানের লাঙলের ফলা তুমি,
শাখাহীন বটবৃক্ষ তুমি,
অযত্নে বেড়ে ওঠা প্যাচানো সুবর্নলতা তুমি।
আমার চারিদিকে তুমি আছো শুধু, শুধু তুমি।
জানলার ফাঁক দিয়ে দেখা রক্তিম আকাশের আভাস তুমি,নীলাভ আকাশের তীখনতায় তুমি,
একখন্ড ঘনকালো মেঘের ছায়া তুমি,
প্রশান্ত মহাসগরে উত্থিত হওয়া উচ্ছল,অন্তহীন ঢেউগুলি তুমি,
তুমি সাইক্লোন, ধ্বংস করো তুমি,
সবুজ তুমি,লাল তুমি,তুমি বর্নহীন।
শীতের রুখনতায় তুমি,গ্রীষ্মের উষ্ণতা তুমি,এপ্রিলের বসন্তে তুমি,
আমার চারিপাশে শুধু তুমি আছো, শুধু তুমি।
আমার আজকাল কিছুতেই মন বসে না।আজকাল সবকিছুতেই তোমাকে খুঁজে পাই।সকালে তুমি,সন্ধ্যেতে তুমি,পরশে তুমি, ছোঁয়াতে তুমি।
তুমি আছো বলেই আমি স্বপ্ন দেখি,তুমি আছো বলেই আমি দুঃখসাগর পাড়ি দিই,।
তুমি আছো বলেই আমি মেসিডোনিয়ার হলুদ প্রান্তর পাড়ি দেই,তুমি আছো বলেই আমি হিমালয়ের শ্বেত শুভ্র চূড়া থেকে ঝাঁপ দেই।আছো তো তুমি,থাকবে আজীবন,হাতে হাত ধরে,আমি নামক শতাব্দীর প্রহরী হয়ে।
তুমি আছো আমার পাশে,আমার চিন্তার খোরাক হয়ে,চেতনার উদাহরণ হয়ে,থাকবে রাজ সাক্ষী হয়ে যুগ যুগান্তর ধরে।
তাই আজ আমি পরম নিশ্চিন্ত, পরিতৃপ্ত, আজ আমি তোমাতে বিলীন,তোমাতেই সমর্পিত।