চিঠির লিংক
এই প্রথমবার সরকারী এমন গোপন ও নীতি নির্ধারনী চিঠি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হলো। এত বছর এসব চিঠি অতি গোপন রাখা হয়েছে। আমরা সামান্যতম সচেতন হওয়া এবার প্রকাশ করলো। এখানে এবার প্রমান সহ দেখুন বাংলাদেশের সরকার তার জনগণকে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় কোথায় রাখার চেষ্টা করছে ? বাংলাদেশের মত দরিদ্র একটা দেশের সরকার তার ব্যপক জনগণ যেন গণতান্ত্রীক অধিকারে ও গণতান্ত্রীক মূল্যে তথ্য প্রযুক্তির সুজোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় তার জন্য সরকার এখানে প্রতিমেগাবিট ব্যন্ডউইথের মূল্য ১২,০০০ টাকা যোগ ভ্যট ১৩৫০০/- টাকা নির্ধারন করে। ১ মেগাবিট সরকরী মূল্য ১৩৫০০/-টাকা। বাংলাদেশের একজন সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করুন আর সরকারী মূল্য নির্ধারন দেখুন ? জাপানে সাধারন নাগরীক সাধারন ক্রয় ক্ষমতায় যে ১জিবি বা ১০০০ মেগাবিট ব্যন্ডউইথ পায় তাদের সরকার ব্যন্ডউথের দাম কেমন রাখে মনে হয় ? স্কেন্ডিনেভিয়ার দেশের সাধারন নাগরিক যখন ২০০ মেগাবিট ব্যন্ডউইথ পায় তাদের সরকার আইএসপিদের কাছে প্রতিমেগাবিট ব্যন্ডউইথ বিক্রি করে ?
সরকার আসলে দেশের কোন শ্রেণীর মানুষ/জনগণের কথা মাথায় রেখে প্রতি মেগাবিট ব্যন্ডউইথের দাম ১৩৫০০/- টাকা রাখে ?
সরকার যদি বাংলাদেশে জনগণের সরকার হতো তাহলে এই মূল্য ভ্যট সহ সর্বোচ্চ ২০০০/- দুই হাজার টাকা হতে পারতো। এবং ৬ মাসের মধ্যে তা ১০০০/- টাকা ভ্যট সহ করার পরিকল্পনা থাকতে হতো।
তাহলে হয়তো সরকারের পরিকল্পনা থাকতো ১০০০/- টাকায় ১ মেগাবিট নূন্যতম ২৫৬কিলোবিট করে ৪ জন ডেডিকেট করলে ২৫০ টাকা মূল্যে। ঠিক আছে এর গতিটা গণতান্ত্রীক না হলেও দামটা গণতান্ত্রীক, ২৫০- টাকা। আর আইএসপি না হয় ৮ জন সেয়ার্ড করলো।
অথচ বর্তমান দাম কমানোর পরও এই ২৫০/- টাকাকে সরকার ৩৪০০/- টাকায় রেখেছে। তাহলে বুঝুন সমাজের কোন লেভেলটার তথ্য প্রযুক্তিতে সংযুক্ত হতে পারার সামর্থ থাকুক, সরকার চাচ্ছে তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। যদিও বঞ্চিত জনগণের সংখ্যই হবে ১৪ কোটি মোট ১৫ কোটির মধ্যে।
চিঠির লিংক
এখানে একটা কথা প্রণিধান যোগ্যঃ সরকারের ব্যন্ডউইথের কোম্পানী সাবমেরিন ক্যবল কোম্পানীর এই ব্যন্ডউইথ বিক্রি করে বাংলাদেশ চালাতে হয় না। ওখানের বর্তমান প্রায় ৫০ জিবিও আছে যদি ১০০০/- টাকা প্রতি মেগা দরে বিক্রি করা হয় তাহলে হয় ৫০,০০০ x ১০০০ সমান ৫,০০,০০,০০০ মাত্র পঁচ কোটি টাকা । অবশ্য শোন যায় মাত্র ১১ জিবি বিক্রি করা হয়। আবার এও শোনা যায় আমাদের বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করতে নাকি ১৪০০ চৌদ্দশত কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাহলে সে টাকা দিয়ে ১৫ কোটি জনগণকে ২০ বছর ফ্রী ইন্টারনেট দেওয়া যেত।
সরকারের এখানে টাকাটা বিষয় না । ব্যন্ডউইথ যেন সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না আসে তাই নূন্যতম ২৫৬ কিলোবিট ব্যন্ডউথের জন্যও এদেশের গড় মানুষের সামর্থ ২৫০/- টাকা ধরার দাবি রাখলেও সরকার তা ৩,৪০০/- প্লান করে। বাংলাদেশটা কয়েক লাখ বড়লোকের জন্য। আমাদের একটু সচেতন হওয়ার অভাবে।
তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে জোর করে চেপে কোথায় রাখা হচ্ছে তা আরও জানতে নিচের লেখা দেখতে পারেনঃ
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিয়েও তথ্যপ্রযুক্তির সামর্থে বাংলাদেশের জনগণকে পৃথিবীর সর্বশেষ ২০৪ নম্বর করে রেখেছে !!!!!
বাংলাদেশে আনলিমিটেড ইন্টারনেটের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা করা হউকঃ দৃষ্টি আকর্ষন প্রধানমন্ত্রী
যারা বলে ৩০০/- টাকায় আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ @ ৫১২ কিলোবিট-kbps অবাস্তব দাবী ! তাদের উদ্দেশ্যে !
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৭