১. বিপ্লব কান্তি বলেছেন: আপনি জানেন আপনার দাবিটি পুরোপুরি অযৌক্তিক ও অবাস্তব ?
২. বিপ্লব কান্তি বলেছেন: ভাই, হাস্যকর পর্যায়ের কোন দাবি ঠিক নয় । আপনি এখন ও বুঝে উঠতে পারেননি আই-টি নিয়ে সরকারের কাছে কি চাওয়া উচিত আর সরকারের ই বা কি করা উচিত ।
৩. বিপ্লব কান্তি বলেছেন: আপনার দাবি যুক্তিসংগত ছিলো না, ৪০০-৫০০ টাকায় ৫১২ BW দেয়ার মত ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাংলাদেশে এখন ও তৈরি হয়নি ।
৪. রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: ৩০০ টাকায় আনলিমিটেড ইন্টারনের!!
একবারেই অযোক্তিক এবং অবাস্তব। সত্য কথা শুনেন........কেউ আপনাকে মাগনা ইন্টারনেট দিবে না। টেকনলজি, মার্কেটিং এসবের পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়..........সম কিছু হিসাব করে তারপর পোষ্ট দেওয়া লাগে........।
৫. সন্ধা তাঁরা বলেছেন: সব কিছু ফাউ পেতে মন চায়?
৬. হিজাব বলেছেন: এক মিটার underground fiber cable cost কত আপনি জানেন ??? এর মেইটেন্যান্স ?
আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ হয় আপনারা বিষয়টি গভীর ভাবে ভেবে দেখননি অথবা আপনাদের কারও কারও মতলব ভিন্ন।
৩০০/- টাকায় আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ @ ৫১২ কিলোবিট-kbps খুবই সম্ভব এবং বাংলাদেশের জন্য এটাই হওয়া উচিত "গণতান্ত্রিক ব্যন্ডউইথ-মূল্য", এই কথাটা যদি দেশের ১৫ কোটি জনগণের কাছে জানতে চাওয়া যায় তাহলে ৯৫% এর উপরে লোকজন বলবে সরকারের এই কাজটিই করা উচিত। যেমন এই পোষ্টেও ৯৫ শতাংশের উপরের মতামতও তাই বলছে। আমাদের হাইকোর্ট দেখিয়ে মূর্খ নাবালক বলতে পারেন কিন্তু এটাই বাস্তব।
তাহলে সরকার করছে না কেন ? কারন সরকার অতীতের সকল সময়ের মত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, সাধারন মানুষের কন্ঠস্বর মুক্তি পেয়ে মূল ধারায় আসুক চায় না।
কিভাবে সম্ভব ? তার আগে বলবো ৫১২ কিলোবিট গতির নিচে গতিতে টেলিকমিউনিকেশনে স্বাধীন বলা যাবে না। তাই ৫১২ কিলোবিট এর নিচে গতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড বলা যাবে না ! আর এই ব্রডব্যান্ড গতি গণতান্ত্রীক সুযোগে যেকোন নাগরীককে একমাত্র মোবাইল ওপারেটর ছাড়া, ওয়াইম্যাক্স ও অপটিক ফাইবার দিয়ে পেতে সর্বনিম্ন ২০৩০ সাল লাগবে তবুও ১০০ ভাগ কভার করতে পারবে না। যেমন ২০০৮ সালে লাইসেন্স পাওয়া ওয়াইম্যাক্স তিন বছরেও শুধু ঢাকা সিটিই কভার করতে পারেনি। ঐ দিকে ২০০৯ সালের শুরুতে সারাদেশে অপটিক ক্যবল স্থাপনের টেন্ডার অপটিক @হোম নামক একটি মাত্র কোম্পানী পেয়ে দুই বছর সময়ে ৫৬,০০০ বর্গমাইলের বাংলাদেশের মধ্যে শুধু ঢাকার ৪৮ কিলোমিটার স্থাপন করেছে। আমি যে ভাই সুনামগঞ্জ শালায় থাকি আমার কাছে ২০৩০ সাল আরলি বলে ফেললাম নাতো ?
অথচ বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের এই মুহুর্তে ৯৯% কভারেজ আছে। সুন্দরবন সহ সরকারের রেস্টিকটেড কিছু এলাকা ব্যতিত দেশের প্রত্যন্ততম এলাকায় বসবাসরত নাগরীকের কাছেও চলে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। আজ সারাদেশে সবগুলো মোবাইল অপারেটর মিলিয়ে ২৫ হাজারেরও বেশি বিটিএস/টাওয়ার এদেশের জনগণের পকেট থেকে নেয়া টাকায় এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য জালের মত ছড়িয়ে আছে।
এই মোবাইল অপারেটরগুলিকে এই মুহুর্তে যদি থ্রীজি নেটওয়ার্ক অপারেট করার লাইসেন্স দেয়া যায় তাহলেও কেউ কেউ তিন ঘন্টার মধ্যে ঢাকা সিটিতে থ্রীজি সাপোর্ট দেয়ার মত আপগ্র্রড করে রেখেছে বাকি দেশ করতে সর্বোচ্চ ১ বছরের কম সময় লাগবে।
তবে সরকারকে শুধু জনগণের ব্যবহারের/স্বাধীনতার এই যোগাযোগ মাধ্যম থ্রীজি লাইসেন্স বিনা-লাইসেন্স ফি-তে সব অপারেটরকে গণতান্ত্রীক নীতিমালায় দিতে হবে। কেননা লাইসেন্স ফি হিসাবে যা নেয়া হবে তা এরা এই জনগণের পকেট থেকে কয়েকগুনে বের করে নেয়। এতে লাইসেন্স ফি না নেয়ায় মোবাইল অপারেটরদের বেঁচে যাওয়া হাজার কোটি টাকার সাথে তাদের ২০০৬ সাল থেকে অপেক্ষায় থাকা থ্রীজি নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্টের ইনভেস্টমেন দিয়ে এক বছরের মধ্যে নেটওয়ার্ক কমপ্লিট করার শর্ত, সেই সাথে লাইসেন্সফি না লাগায় এবং সরকার পর্যাপ্ত ব্যন্ডউইথ নিশ্চিত করায় এবং দাম কমে যাওয়ায় ব্যবহারকারী বহুগুন বেড়ে যাওয়ায় ও একমাত্র বাংলাদেশে এত কম বিটিএস দিয়ে ১৫ কোটি জনগণনের মার্কেট পাওয়ায় - অস্ট্রেলিয়ার ২.৫ কোটি মানুষের জন্য অনেক বেশি বিটিএস লেগেছে - ৩০০/- টাকায় আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ @ ৫১২ কিলোবিট-kbps খুবই আনন্দের সাথে দিতে থাকবে।
মাগনা থ্রীজি আইডিয়াটা ভাববেন না আমি আবিষ্কার করলম। আজ থেকে ৬ বছর আগে শ্রীলংকা টেলিকম সেক্টরে এই রকমই আইডিয়া ইমপ্লিমেন্ট করে ছিল। আর আজ বাংলাদেশে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বর্তমান যুগে দেশে যেখানে ন্যশনাল অপটিকেল বেক বোনের কাজই শুরু করেনি - মাত্র ৪৮ কিলোমিটার তাড় স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে তথ্য সূত্র সাতটার সংবাদ - আর একটি ব্রডব্যান্ড ওয়াইম্যাক্স বেচারা ! তবে ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স ফি পৃথিবীর সর্বোচ্চ আদায় করতে গিয়ে জনগণকে একটা যোগাযোগ অবকাঠামোর আশির্বাদ নেয়া থেকে বঞ্চিত করেছি যা ওয়াইম্যাক্স ঢাকাই থাকবে ওয়াম্যাক্স শাল্লা হই কালে সম্ভব না যদিও লাইসেন্সের টাকা শাল্লার মানুষের পকেট থেকেও যাবে।
জনগণের ও গণতন্ত্রের ক্ষমতায়নের হাতিয়ার টেলিমিউনিকেশনের ফ্রি লাইসেন্স দেয়ার অভিজ্ঞতা সর্বত্র গণমানুষে এ্যাক্সপ্লয়েট করার তালিকায় শীর্ষ স্থানীয় দেশ হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে। পৃথিবীতে ১৯৭৯ সালে ফিনল্যান্ডে প্রথম কমার্শিয়াল মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক জন্ম গ্রহনের ১০ বছর পর ১৯৮৯ সালে সামরিক সরকার এরশাদের আমলেও বর্তমান সিটিসেলের পূর্ব পুরুষকে ফ্রি-তেই দেয়া হয়ে ছিল। যা পরবর্তীতে মোরশেদ খান কিনে নিয়ে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত একাই জনগণকে দিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সংযোগ কিনিয়েছে। এরপর গ্রামীন, বাংলালিংক, একটেল, টেলিটকে ফ্রিতেই লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। সবশেষ ওয়ারিদে শুধু ব্যপক লাইসেন্স ফি ও দুর্নীতি দুইই ছিল।
সুতরাং তবে সরকারকে শুধু জনগণের ব্যবহারের/স্বাধীনতার এই যোগাযোগ মাধ্যম থ্রীজি লাইসেন্স বিনা-লাইসেন্স ফি-তে সব অপারেটরকে গণতান্ত্রীক নীতিমালায় দিতে হবে। তাতেই লাইসেন্সফি না লাগায় এবং সরকার পর্যাপ্ত ব্যন্ডউইথ নিশ্চিত করায় এবং দাম কমে যাওয়ায় ব্যবহারকারী বহুগুন বেড়ে যাওয়ায় ও একমাত্র বাংলাদেশে এত কম বিটিএস দিয়ে ১৫ কোটি জনগণনের মার্কেট পাওয়ায় মোবাইল অপারেটররা ৩০০/- টাকায় আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ @ ৫১২ কিলোবিট-kbps খুবই আনন্দের সাথে দিতে থাকবে।
সেই সাথে সরকার যদি গণতন্ত্রের/গণমানুষের ব্যান্ডউইথ উৎপাদনের কোম্পানী বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানীকে আগামী বিশ বছরে এক হাজার কোটি টাকা সাবসিডি দেয় তাহলে দেশের ১৫ কোটি মানুষের স্বার্থে বিনা মূল্যে আগামী বিশ বছর আইএসপিদের ব্যন্ডউইথ দিতে পারবে সরকার। তখন পরিবহন করেও ফ্রি থ্রীজি অপারেটরেরা ৩০০/-টাকা না ২০০/- টাকায় আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ @ ৫১২ কিলোবিট-kbps খুবই আনন্দের সাথে দিতে লাইন লাগাবে। ১৫ কোটি জনগণের জন্য মাত্র এক হাজার কোটি টাকা তাও বিশ বছরে ! অথচ ৩৪৫ জন এমপিকে ৮০০০ সিসি জিপ বাবদ পাঁচ বছরে জনগণ ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছে, শুল্ক ছাড়। বিমান বন্দরের নাম বদলাতে জনগণ ১৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে আর এদিকে প্রতি বছর ভুর্তুকি হিসাবে কত কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানকে কত হাজার কোটি টাকা এই জনগণই দিচ্ছে তার হিসাব কে রাখে ?
অবশ্য সরকারের এই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এসব কথার সামান্যই তোয়াক্কা করছে। সে আছে আরও দূরভীসন্ধি মাথায় নিয়ে। তা বিস্তারিত আলোচনার আশা রাখি ... এই মন্ত্রনালয়ের অতীত বর্তমানের সমস্ত কর্মকান্ড পাবলিক ডোমেইন হিসাবে পাবলিশ করা হউক। কাল থেকে এর দৈনন্দিন কর্মকান্ড জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রকাশ্য করার ব্যবস্থা করা হউক।আমরা না হয় কিছু বুঝি না তবে পাবলিক বুঝবে আর পাবলিকের চেয়ে জ্ঞানী কেউ হউক তা কাম্য নয়।
পূর্বের পোষ্টের লিংককে টেলিকমের সমগ্র ইতিহাসের কিছু জানতে এখানে দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫২