বুয়েটের মহাজ্ঞানী কম্পিউটারবিদেরাও হায়হায় সবগেল সব যাইবো করতেছে। অবশ্য সবগুলো দেখলম বয়সে বৃদ্ধ শ্রেণীর দ্বিপদ জন্তু।
সাইবার ক্রাইম বললে এর দুইটা অংশ ১ম -পাসওয়ার্ড ফ্রডিং, ২য় -পর্নোগ্রাফি। দক্ষিন কোরিয়ায় প্রতিদিন ইলেক্ট্রনিক ইকোনোমিক ট্রান্জেক্শন মানে ইকমার্স হয় বাংলাদেশের মোট জিডিপির চেয়েও বেশি তাও আবার আজ থেকে অন্তত দশ বছর আগে থেকেই অথচ আজও আমাদের গ্রামের ঐ ছোট দোকানদাকে কোন কম্পানী থেকে কোন পন্যের অর্ডার দিতে শহরে এসে ব্যাংকে গিয়ে টিটি করতে হয় যদিও তার ছোট ছেলেটাও কখনও ফ্লাক্সিলোড করতেও ভুল করেনি তবুও সরকার তার বাপকে আজও এসএমএস ব্যাংকিং দেবার যোগ্য মনে করছে না -বাংলাদেশের জনগণকে পৃথিবীর একমাত্র অপদার্থ জনগণ বলবেন তা অবশ্যই আমরা মানতে পারছি না।
২য় সাইবারক্রাইমটা ইন্টারেস্টিং। পর্নোগ্রাফি ! আজকাল বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীতে পর্নোগ্রাফী আছে তেমন বলা যাবে না।কারন এক তথ্যে দেখা যায় বর্তমানে নেটে মোট কন্টেন্টের মধ্যে পর্নোগ্রাফির পরিমান মাত্র ০.৫% এর চেয়ে কম। পর্নোগ্রাফির যুগটা আসলে ছিল ১৯৯৮ থেকে ২০০৩/২০০৪ পর্যন্ত। যখন ইন্টারনেটের বিরাট একটা অংশ জুরে ছিল পর্নোগ্রাফি। আশ্চর্য ব্যপার যতদিন না পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ব্যপক জনগণের কাছে ব্রডব্যন্ড ও ইকমার্স পৌছে যায় ততদিন ইন্টারনেটটা ছিল তাদের অন্ধকার সমাজের রাজ্য।আসলে ইউনিভার্সাল ব্রডব্যন্ড ও ইকমার্স ছাড়া নেট কোন কামের ছিল না, ছিল আকামের। তাড়বিহীন ব্রডব্যন্ড টেকনোলজি ওয়াইম্যক্স ২০০০ সালে ও থ্রিজি ২০০১ সালে আবিষ্কারের পর সবদেশের সাধারন মানুষের কাছে পৌছে গেল ইন্টারনেট। তখন দৈনন্দিন জীবনের কাজের মাধ্যম হয়ে দাড়ালো ইন্টারনেট, পর্নো করার টাইম নাই। তাছাড়া সবাই যখন নেটে চলে আসে তখন নেট ওপেন সমাজ হয়ে যায় আর ওপেন সমাজে কেউ সহসা পর্নগ্রাফি করে।আজকাল নেটে যা পর্নোগ্রাফি আছে তার ১৭% বাংলাদেশের যেখানে নেটে মোট বাংলা কন্টেন্টের পরিমান ০.০০০৫%, আর বাংলাদেশের একযুগ আগে লোস্পীড ইকমার্স ছাড়া হিজরা ইন্টারনেট এর মোট ইউজার ০.৫%, সারা জাতির মোট ব্যন্ডউইথ ব্যবহার ১৫জিবিপিএস - দক্ষিন কোরিয়া ২৫ টেরাবিট।
পর্নোগ্রাফি এখনও হয় বাংলাদেশের মত আর দু একটা দেশ যদি থেকে থাকে সেখানে।কারন এখানকার তথ্যপ্রযুক্তি সরকারী ভাবেই এখনও আকামের জন্য রাখা হয়েছে। নিচের এই পর্নোগ্রাফিক নিউজটি দেখুন -এর জন্যও ১০০% সরকারই দায়ী।
বালিকা বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিসটেন্টের সাথে ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওচিত্র নিয়ে আলমডাঙ্গায় তোলপাড়
আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট সেলিম হোসেনের সাথে এক ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছাড়ার ঘটনায় আলমডাঙ্গা শহরে তোলপাড় হয়েছে। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্তর অপসারণ চেয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইউএনও’র কাছে অভিভাবকদের লেখা ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আমরা অতি উদ্বেগের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, আলমডাঙ্গার সুশীল সমাজসহ সকল শ্রেণীর অভিভাবকের মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপীঠ আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রী উত্ত্যক্ত ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওধারণ করে তা ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। ওই ঘটনা বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রী এবং আলমডাঙ্গা শহর জুড়ে মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কিত এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সকল শিক্ষককে বিষয়টি গোপন করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রত্যেক শ্রেণীতে গিয়ে মেয়েদের নিষেধ করে দিয়েছেন ওই ঘটনা বাড়িতে না জানাতে। এমন লম্পট শিক্ষক যে বিদ্যালয়ে দাপটের সাথে বিচরণ করে সেখানে সচেতন অভিভাবক তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। একইসাথে অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম হোসেনকে অপসারণ করে বিদ্যালয়ের মেয়েদের জন্য নিরাপদ, শান্তিবান্ধব পরিবেশ ও বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে মর্জি হয়।
উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের পক্ষে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন- হামিদুল ইসলাম, ফিরোজ ইফতেখার, খন্দকার আব্দুর রহমান, জাহিদ হোসেন, আমজাদ হোসেন , রফিকুল ইসলাম ও পিকলু হোসেন।
ইউএনও আব্দুস সালাম জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। তিনি বলেন, এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি শাস্তি না পেলে বিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রীদেরও নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হবে। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম হোসেন জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি স্বেচ্ছায় স্কুলের চাকরি ছেড়ে চলে যাবেন এবং কর্তৃপক্ষ যে শাস্তি দেবেন তা মেনে নেবেন। সূত্র
এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৯:০৮