বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটররা জনগণ ও তাদের টাকায় এত ব্যয়ে গড়া তোলা এত শক্তিশালী নেটওয়ার্কে শুধু ভয়েস কল ও এসএমএস ছারা এত বছরে কোন নতুন ভ্যালু এড করতেই পাচ্ছে না। আমাদে সামরিক শাসকের চেয়ে বড় জনবিরোধী গণতান্ত্রী সরকারগুলো জনগনকে তাদের স্বাধীনতার নেটওয়ার্কে আরও হাজারটা কাজের একটাও দিচ্ছে না। আজ দেশের ৮ কোটির উপর গরীব জনগণ এত কষ্টে ও এত সম্পদ ব্যবহার করে কেনা মোবাইল আইডেন্টিটি অর্জন করলেও শুধু সরকারের মূর্খতা ও গণবিরোধীতার কারনে সাধের এই মোবাইল তার ৫% সুবিধাও ইউজারকে দিতে পারছে না, এখনও পরে আছে নব্বুই দশকের শুরুর মোবাইল কমিউনিকেশন নিয়ে ।
এই যেমন ধরুন নেটওয়ার্ক ব্যাংকি এর কথাই। দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো নেটওয়ার্ক ব্যাংকিং এর অনুমোদন চেয়ে ২০০৫ সালে আবেদন করে রেখেছে। সরকার মনে করছে এতে জনগণ কিছুটা স্বাধীনতা পেয়ে যাবে সেই সাথে প্রাইভেট ব্যাং, এসএ পরিবহন ও কুরিয়ার কম্পানীগুলোর বিরোধিতার কারনে দিচ্ছে না। মনে আছে এক সময় আপনার মোবাইল এ্যাকাউন্ট থেকে লোড ট্রান্সফার করা যেত ? সেই ফিচারটিই আজ বড় ও আধুনিক হয়ে আপনাকে ছোট খাটো পাঁচ দশ হাজার টাকা ট্রান্সফার ও দেশ জুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিপির অসংখ্য বুথ থেকে ক্যাসও করার সুজোগ দিত।
চিন্তা করতে পারেন সাধারন মানুষের দৈনন্দিন কাজে এরকম ব্যাংকিং কত উপকারে আসতো ? এসএ পরিবহন, কুরিয়ার ইত্যাদীতে দেশে প্রতিদিন কি পরিমান টাকা ট্রান্সফার হয় আমাদের আন্দজ আছে ? ধরুন আপনার বাসার কাজের মেয়েটির মাকে ঈদে এক হাজার টাকা পাঠাবেন ! নো প্রবলেম, ফ্লেক্সী মানি করে দেন। প্রতি বাজেটে আমরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা ৮৫ টি সেফ্টিনেটে রাখি তার অধিকাংশই হত দরিদ্রের আর্থিক সাপোর্ট বা ভাতা। এই টাকা সরাসরি ব্যাক্তির এ্যাকাউন্টে না দিতে পারার কারনে অফিসার, চেয়ারম্যান, ম্যামবার, ব্যাংক মিলে চেটেচুটে সামান্যই বাকি রাখে।
মোবাইল সীমে ডিস টেলিভিশনের লাইন দেয়ার অনুমোদন দিলে ভারতের স্কাই টাটার ডিস ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যাবে বলে এটাও ৬ বছর আগের একটা আবেদন বিটিআরসিতে পরে আছে।
যাহউক গত তিন বছরে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সামান্য অগ্রতিও দেখিনি। অথচ ডিজিটাল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার সোল দায়িত্ব ড. আতিয়ার রহমানের ঘারে - ঘারের মোভম্যান্ট জিরো। এই আহাম্মক গভর্নরের বিচার চাই, নিজামী মুজাহিদের আগে।
World's funniest Idiot - Digital* Bangladesh