যদি আপনাকে কোন এক ব্যক্তি বলে এই শহরে একটা কারখানা আছে , যার নাই কোন মালিক , নাই কোন ইন্জিনিয়র , নাই কোন মিস্ত্রি , সমস্ত কারখানা মেসিন পত্র নিজে নিজে হয়ে গেছে , সমস্ত নাট - বল্টু নিজে নিজে লেগে গেছে । সমস্ত মেশিন নিজে নিজে চলছে । আশ্চার্য আশ্চার্য জিনিস পত্র নিজে নিজে বের হচ্ছে ।
এখন আপনিই বলুন যে , আপনাকে যে এই কথা বলবে আপনি তার দিকে আশ্চার্য হয়ে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন ।
এখন আপনি বিচার করুন , একটা কারখানা সম্বন্ধে আপনি কখনো এটা মানার জন্য প্রস্তুত হবেন না যে , এটা কেউ চালানো ছাড়া নিজে নিজে চলছে ? তবে আপনি বলুন পৃথিবী ও আকাশের যে বিশাল কারখানা আমাদের সামনে চলছে , যেখানে চাঁদ ,সূর্য , এবং বড় বড় নক্ষত্র ঘড়ির কাটার মত চলছে ,আপনি এটা কিভাবে মানবেন ? এটা কেউ বানানো ছাড়া নিজে নিজে হয়ে গেছে এবং কারো চালানো ছাড়া নিজে নিজে চলছে ?
মানব জাতি তুচ্ছ বির্য ছিল । কিছু দিন পর বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে খুব সংকৃর্ণ স্হান হতে বের হয়েছে । তার জন্য মায়ের স্তন হতে দুধ উৎপন্ন হয়েছে , কিছু দিন পর ঐ মানবকে বুদ্ধি জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে । এখন আমার প্রশ্ন ? এত সব কিছু কে করলো ? নিশ্চয় আপনি উত্তর দিবেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ করেছেন ।
আল্লাহর একত্ববাদ[/sb
দুনিয়ার মধ্যে যে কোন কাজ চাই ছোট হোক চাই বড় , কখনো সুব্যবস্হা এবং নিয়মিত ভাবে চলতে পারে না । যতক্ষণ পর্যন্ত তার কোন না কোন দায়িত্বশীল না হবে । এক স্কুলের দুজন প্রধান শিক্ষক , এক বিভাগের দুজন ডাইরেক্টর , এক ফোজের দুই কমান্ডর , এক দেশের দুজন রাজা আপনি কি কখনো শুনেছেন ? আর যদি কখনো এমন হয় তবে আপনিই বলুন কি প্রতিষ্ঠান টিকে থাকবে ? এখন আপনি চিন্তা করুন যে , আপনার উপর কোটি কোটি ভারী - ভারী গাড়ি ঘুরছে যা আপনি স্বচোখে দেখছেন , এই পৃথিবী যেখানে আপনি বসবাস করছেন , এই চাঁদ যে রাতে বের হয় , এই সূর্য যে প্রতিদিন বেব হয় । এই সব কিছুর সুন্দর ব্যবস্হায় চলা একথার প্রমান নয় যে , এই পৃথিবীর স্রষ্টা এবং ব্যবস্হাপক কেবল এক আল্লাহ ।
সৃষ্টিকর্তা যদি থাকেন তবে তিনি দেখা দেননা কেন ?
পৃথিবীতে বিভিন্ন জিনিশ আছে যা দেখা যায় না তবে মানুষ তার অস্বিত্ব স্বীকার করে । যেমন :
(১) এক ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত কথা - বার্তা বলে তখন আমরা তার অন্তরে আত্মার অস্তিত্ব থাকার পূর্ণ বিশ্বাস করি । কিন্তু যখন সে যমিনে পড়ে যায় । আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় , শরীর ঢিলা হয়ে যায় , তখন আমাদের তার অন্তর হতে আত্মা বের হয়ে যাওয়ার পূর্ণ বিশ্বাস হয়ে যায়। অথচ তার আত্মা বের হতে আমরা দেখিনি ।যখন আমরা ঘরের মধো বিদ্যুতের সুইস ওন করি , তখন পুরো ঘর আলোকিত হয়ে যায় । তখন আমাদের আলো যে বিদ্বমান পুরোপুরি তার বিশ্বাস হয়ে যায় । অতপর যখন ঐ সুইসকে অপ করি তখন আলো চলে যায় । অথচ আমরা তাকে আসতে ও যেতে নিজের স্বচোক্ষে দেখিনি । ঐ ভাবে আমরা হাওয়ার অস্তিত্ব শুধু অনুভব করি তাকে দেখি না ।
বাস্তবতা এটা যে যেমন ভাবে আমরা আত্মা , বিদ্যুত , বাতাস ইত্যাদি দেখা ছাড়া এদের অস্তিত্বে পুরাপুরি বিশ্বাস হয়ে যায় , এভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব তার নিশানাসমূহ দেখে যেমন -: পৃথিবী - আকাশ (অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



