একদল মানুষ আছে যারা কোন কারণ ছাড়াই রাত জাগে। মেডিকেল সায়েন্স যাদের নাম দিয়েছে ইনসোমনিয়াক। বিষয়টা নেশার মত। ঘুম আসে তবু জেগে থাকে। অস্থিরতা কাজ করে, গান শুনে, রবীন্দ্রসঙ্গীতে চোখ ভাসায়। হটাত জেদ ওঠে না আর কাদব না আমি, চালিয়ে দেয় রকিং ডেথ মেটাল। সকলকে ভেঙ্গে খান খান করে দেব প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতায় এই চিন্তা নিয়ে শুরু করলেও জেদ কমে হতাশা আসে একটু পরেই। রাত তখন দুটো কিংবা তিনটা, জেদ এক সময় কমতে কমতে জীবনানন্দতে এসে থামে। বিছানায় শুয়ে বা সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা চলে কিছুক্ষন। কিন্তু ঘুম আসে না কারন পালস চালু নার্ভ মৃত। সে জানে ঘুমাবার মতন হৃদয় হারিয়ে ফেলেছে বহু আগেই তবুও চলে এই নিরন্তন চেষ্টা প্রতি রাতেই।
একটু পরেই চোখ খুলে কবর ফুড়ে উঠে আসা জীবন্মৃতয়ের মত অনুভূতিহীন হয়ে তাকিয়ে থাকে এক দৃষ্টিতে মোবাইলের দিকে। জানেনা কি খুজছে,কি দেখছে কি পড়ছে। খুজে বেড়ায় ইনবক্সের ইতিহাসে পড়ে থাকা অবহেলিত কথাগুলো। একদার স্বপ্নগুলো। হুট করে একফোটা জল গড়িয়ে পড়ে গাল বেয়ে। একটি ঝড়ের পুর্বাভাস। অভিমানের ঝড়।
অকারণে রাত জাগা ওই মানুষগুলোর পেছনের গল্পটা কি জানা আছে? কারণটা কিন্তু প্রচন্ড রোমান্টিক। একদা তারাও প্রথম দলের সদস্য ছিল যারা নীরবতায় প্রেম নিবদনের জন্য রাতকেই বেছে নেয়। তাদেরও কেউ ছিল, কথা ছিল ,একশোটা স্বপ্ন ছিল ,রাতজাগাটাও সুখের ছিল। আজ কেউ নেই কিন্তু,রাতজাগা আছে। রাতজাগার অভ্যেস ধরিয়ে কেউ চলে যায় , অভ্যেসটা কিন্তু ঠিকই রয়ে যায়...