আমি খুব ফুর্তিবাজ মানুষ।
যতদিন বেঁচে থাকব হাসি আনন্দ নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। আচ্ছা, আমি যদি হুট করে মরে যাই? তখন মানুষ আমার বিচার করবে- লোকটা ভালো ছিল, কেউ বলবে লোকটা বদ ছিল। মৃত্যু ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত! সব প্রিয় মানুষ ছেড়ে কোথায় চলে যাব কে জানে! মৃত্যু চিন্তা তো খুব স্বাভাবিক চিন্তা। এই চিন্তাই তো মানূষকে জীবনের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
আমার মৃত্যুর পরের অবস্থাটা নিয়ে আমি খুব চিন্তা করি। আমার মা আর সুরভি খুব কাঁদবে। পাগলের মতো হয়ে যাবে শোকে। সুরভি আমার মৃত দেহ নিয়ে যেতে দিবে না, খাট ধরে চিৎকার করে কাঁদবে। তবে এই তীব্র শোক এক সময় কেটে যাবে। চোখের পানি মুছে একসময় হেসে উঠবে। এক সময় আমার কথা আর তার মনেই থাকবে না। এমনকি আমার বাবা মা ভাই তাদের কাছেও আমার অভাবটা মুছে যাবে।
মৃত্যুর পর আমি কি ভূত হয়ে যাবো? নাকি শুধু মাত্র আত্মা হয়ে ঘুরে বেড়াবো। যেভাবেই হোক আমি আমার প্রিয় মানুষদের সাথে থাকতে চাই। প্রিয় মুখ গুলো না দেখে থাকতে পারব না।
একটা মানুষ জন্মায়, বড় হয়, লেখা পড়া শিখে, রোজগার করে, বিয়ে করে, সন্তান হয়, টাকা জমায়, বাড়ি করে, তারপর বুড়ো হয়ে মরে যায়। এই সামান্য কর্মকান্ডের জন্য আমাদের জন্মানোর খুব দরকার ছিল না। জন্মালাম কেন? কে আমাকে বুঝিয়ে দিবে অর্থহীন এই জীবনের প্রকৃত মানে?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫০