২০ জুলাই ১৯৭৬ বিকেলে কর্নেল তাহেরকে জানানো হয় যে, ২১ তারিখ সকালে তার মৃত্যুর দন্ডাদেশ কার্যকর করা হবে।
মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী এবং মহাবীর ভাইদের উদ্দেশে বলেন, 'এইভাবে যদি জীবনকে উৎসর্গ করা না যায় তাহলে সাধারন মানুষের মুক্তি আসবে কীভাবে?
রাষ্ট্রীয় হত্যার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হাইকোর্টে এক রীট পিটিশন করা হয়। পিটিশনে বলা হয় কর্নেল তাহেরের বিচার ছিল অবৈধ। তাহেরকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল।
জেনারেল জিয়াকে তাহের হত্যাকান্ডের জন্যে দায়ী করা হয়। রায়ে বলা হয়, জেনারেল জিয়া বেঁচে থাকলে তাহের হত্যাকান্ডের জন্য তার বিচার হতো। উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরের বন্ধু ছিলেন।
আজ লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের ৭৬ তম জন্মদিন। তিনি একজন বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা এবং বামপন্থী বিপ্লবের নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন ১১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার।
তিনি ১১নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। কলেজ জীবনে তিনি বিপ্লবী সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক ছিলেন। সেনাবাহিনীর সাধারণ সদস্যের মধ্যে কর্ণেল তাহেরের সাংগঠনিক এবং আদর্শিক অবস্থান যদি ব্যাপক এবং শক্তিশালী হতো, তাহলে ৭ নভেম্বর এর পরবর্তি ঘটনাগুলো যে ভাবে ঘটছে সেভাবে না ঘটে অন্য রকম হতো এবং কর্ণেল তাহেরকে ধরে ফাঁসি দেয়া এত সহজ হত না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২