১। কোনো একদিন অন্ধকারে চলতে চলতে আমি তোমার কাছে পৌছাতেও পারি, অথবা অন্ধকারই হতে পারে আমার প্রকৃত জন্মস্থান। আমার শরীরের প্রতিটি রক্ত প্রবাহের ধারায় জীবনানন্দের বিষন্ন ট্রামগুলো চলাচল করে কিনা, জানিনা; তবে এতটুকু জানি আমি আসলে মৃত মানুষ। এখন তোমরা যাকে দেখতে পাও সেতো আমি নই আমার ছায়া মাত্র।
২। মেয়েদের ঘর সংসার ছাড়া আর কিছু করার নেই ? ছেলেদের বিয়ে করা আর মেয়েদের বিয়ে করা কিন্তু এক ব্যাপার নয় । ছেলেদের বিয়ে করা অনেকটা আনন্দের ব্যাপার, একটু ভারমুক্ত হওয়ার ব্যাপার । কারণ তাকে দেখাশোনা করার একজন আসছে । কিন্তু মেয়েদের বিয়ে করার মানেই হচ্ছে ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা । নিজের পরিবার ছাড়তে হবে, সন্তান ধারণ থেকে আরও অনেক কিছুর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। এবং তার পরে সংসার ছাড়া তার আর কিছু করার থাকবে না ।
কোনো পুরুষই কখনও মেয়েদের সত্যিকারের কষ্ট বুঝতে পারে না । সিপপ্যাথাইজার হতে পারে, বন্ধু হতে পারে, কিন্তু মেয়েদের আসল মস্যাটা শুধু মেয়েরাই টের পায় ।
ছেলেদের প্রবলেম গুলো কি মেয়েরা বুঝতে পারেব ?
ধারালো মেয়েরা আজকাল ইচ্ছা করেই ব্যক্তিত্বহীন আবুল টাইপ, জো-হুজুর মার্কা পুরুষদের পছন্দ করে । তাতে তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বজায় থাকে, যা খুশি করতে পারে, স্বামীকে ইচ্ছে মতো চালাতে পারে ।
আসলে মানূষের মন স্বভাবতই এলোমেলো । চিন্তাগুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজাতে পারে না বলে তার সিদ্দান্তে আসতে দেরী হয় বা কখনই আসতে পারে না।
৩। সমুদ্রের নীল পানি রাশির সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা অপার দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের দিকে অনেক্ষণ চেয়ে থাকলে মনটা দেখবেন বেশ শান্ত হয়ে যায় ।
নীল রঙ আমাদের মস্তিষ্কের উপর সরা সরি প্রভাব ফেলে – এবং কামিং হরমোন ( calming hormones ) গুলিকে নির্গত করতে উদ্দীপনা যোগায় । যা আমাদের মনটা কে অনেকটা শান্ত করে দেয় ।
৪। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিকে ইলেক্ট্রিক্যাল চেয়ারে বসানোর পর সে পুলিশকে জিঞ্জাসা করলঃ স্যার, খুব বেশী কষ্ট হইব?
পুলিশঃ আরে না !! অল্প একটু।
কিছুক্ষণ পর আসামি মাগো বাবাগো বইলা চিল্লাইয়া উইঠা বললঃ স্যার এত গরম লাগে কেন, জ্বলতাছে, মনে হয় পুইড়া যাইতাছে...!
পুলিশঃ চুপ কইরা বইসা থাকেন, কারেন্ট নাই, চেয়ারের নীচে মোমবাতি দিয়া মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হইতাছে...!!!
৫। প্রত্যেকটা মানূষের মধ্যেই লুকানো, অব্যবহৃত কিছু গুন আছে । সে হয়তো সারা জীবন নিজের সেই গুনটার কথা জানতেই পারে না । লোকে কত ভালোবাসার কথা বলে, কিন্তু ভালোবাসা কাকে বলে তা তাদের জানা নেই । প্রেমিক প্রেমিকারা কত ভালোবাসার কথা-টথা বলে বিয়ে করে- তারপর তাদের ঝগড়ার জ্বালায় বাড়ীতে কাকও বসতে পারে না ।
আপনি কি আরণ্যক উপন্যাসটা পড়েছেন ?
যে লোকটা জঙ্গলে নতুন নতুন গাছ লাগিয়ে বেড়াত । জঙ্গলটা তার নিজের নয়, গাছ লাগালে তা থেকে কোও লাভও হতো না । শুধু জঙ্গলটাকে সুন্দর দেখাবে বলে। এটাই হলো- ভালোবাসা । কেউ কি পারবে এই ভাবে ভালোবাসতে ?
আজকাল ইউনিভার্সিটি'র ভালো ভালো ছেলে-মেয়েরা চাকরির পরিধির বাইরে আর কিছু বুঝতে চায় না ।চাকরি ছাড়াও যে সাকসেস বলে আর একটা ব্যাপার আছে, তা তারা বুঝতেই পারে না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০