somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

চারটা সিনেমার কাহিনি সংক্ষেপে

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। তিন কন্যা'ই ভয়াবহ।
তাদের মনে কোনো মায়া-মমতা নেই। বরং তিন জন'ই খুব হিংস্র। তারা তিন জন'ই পরিবার থেকে বিতারিত। তিন জন তিন পরিবারের সন্তান। ঘটনা চক্রে তাদের দেখা হয়ে যায়। এরপর থেকে তারা এক সাথেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।। সমস্ত শহর ঘুরে-ঘুরে শিকার সংগ্রহ করে। তিনটা মেয়েই খুব রুপসী। যে কোনো পুরুষ তাদের দেখলেই কাঁত হয়ে যায়। তাদের পোষাক-আশাক, চলন-বলন আর কথা পুরুষদের মুগ্ধ করে। তারা তাদের রুপ দিয়ে পুরুষদের আটকে ফেলে। তারপর সেই পুরুষদের করুন মৃত্যু হয়। করুন মৃত্যুর দুই একটা উদাহরন দিচ্ছি- ছুড়ি দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলা। ধারালো ছুড়ি দিয়ে জিব কেটে দেওয়া, শরীরের চামড়া তুলে নেওয়া। অন্ডকোষ কেটে ফেলা। ভয়াবহ এইমুভি দেখলাম। রক্ত হিম করা মুভি। টান টান উত্তেজনা। এরকম বীভৎস মুভি না দেখাই ভালো। মনের উপর খুব চাপ পড়ে। আমি ভুলে দেখে ফেলেছি। দেখা উচিত হয়নি।

২। বিশাল সমুদ্রের গভীরে রহস্যের শেষ নেই।
মানুষ আজও সমুদ্রের সব রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর কোথাও না কোথাও বিশাল সমুদ্রে রহস্যময় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কেউ'ই আজ পর্যন্ত এসব রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। সমুদ্রের উপর দিয়ে ''কিছু বিশেষ সময়ে'' উড়োজাহাজ উড়ে গেলেও দূর্ঘটনা ঘটে। বিশাল সমুদ্রে উড়োজাহাজ ঢুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজের আর কোনো খোজ খবর পাওয়া যায় না। প্রতিটা যাত্রীর করুন মৃত্যু। অসংখ্য ডুবুরী তথ্য তালাশ করতে গিয়ে মারা পড়েছে। আসমানে যত রহস্য আছে সমুদ্রের গভীরে তার চেয়ে বেশি রহস্য আছে। যুগ যুগ ধরে মানুষ এই সব রহস্য গুলোতে লালন করে আসছে। অথচ সমুদ্র কিন্তু পৃথিবীর সব মানুষের বন্ধু। দারুন একটা মুভি। মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। একবারও মনে হয়নি সময় অপচয় করা হলো। বিশাল সমুদ্রকে ভালোবাসুন। সমুদ্র তার বিশালত্ব দিয়ে আপনাকে ভালোবাসবে।

৩। ভবিষ্যৎ পৃথিবী পোকাদের দখলে থাকবে।
মানুষ অসৎ এবং লোভী। পোকা জগতে কোনো পোকা লোভী বা অসৎ নয়। পোকারা অলরেডি পৃথিবী দখল করতে শুরু করেছে। উত্তর মেরুর কাছে তিনটা অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। প্রতিটা পোকা অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের শরীরে বিষ এবং ভয়াবহ এক ভাইরাস আছে। প্রতিটা পোকা দেখতে মৌ মাছির মতোন। একবার কোনো মানুষকে দংশন করতে পারলে- মৃত্যু নিশ্চিত। সেই মৃত মানুষকে এক ঘন্টার মধ্যে সৎকার না করতে পারলে ভয়াবহ বিপদ আসন্ন। ভাইরাস অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। মাইলের পর মাইল মানুষ মুহুর্তের মধ্যে মারা পড়ে। বুদ্ধিমান পোকা একটা আপেল-এ ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। আপেল গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ে। সেই আপেল এক ছোট্র বাচ্চা কুড়িয়ে নেয়। আপেলে কামড় দেয়। সাথে সাথে মৃত্যু। মুখ দিয়ে প্রথমে ফেনা বের হয় তারপর রক্ত। হিষ্টেরিয়া রোগীর মতোন ছটফট করতে করতে মৃত্যু। বুদ্ধিমান বোকা এবং সৃষ্টির সেরা জীবনের মধ্যে লড়াই। এই মুভি দেখার পর পোকাদের জন্য আপনার ভালোবাসা জন্মাবে।

৪। তিন বছর প্রেম করার পর তাদের বিয়ে।
তারা ঠিক করে তাদের হানিমুনটা তারা চমৎকার ভাবে কাটাবে। অন্য দশজন যেভাবে হানিমুন করে তারা সেভাবে করবে না। তারা কিভাবে করবে? তারা জাহাজে করে এক দূর্ঘম দ্বীপে যায়। দ্বীপে নামিয়ে দিয়ে জাহাজ চলে যায়। জাহাজ সাতদিন পর এসে তাদের নিয়ে যাবে। সাত দিনের খাবার নিয়ে তারা সুন্দর একটা দ্বীপে নেমে পড়লো। চমৎকার একটা দ্বীপ। চারপাশে নীলজল- দিগন্ত! চারপাশ এত সুন্দর যে মন খুশিতে ভরে যায়। নব বিবাহিত দম্পতিরা খুব খুশি। তারা সীমাহীন আনন্দে শিশুদের মতোন ছোটাছুটি করছে। এই দ্বীপ আসলে খুব রহস্যময়। অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় নব দম্পতির। নিত্য-নতুন সমস্যায় তাদের জীবন-যাত্রা আর চিন্তা ভাবনা সব বদলে যায়। পুরো মুভিতে ভয় আছে, থ্রিলার আছে, টেনশন আছে, আছে রহস্য। ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আপনি মুগ্ধ হয়ে থাকবেন। মুভি দেখতে দেখতে হয়তো বেশ কয়েকবার আপনাতেই আপনার দম বন্ধ হয়ে আসবে।

(ভাই দয়া করে কেউ মুভির নাম জিজ্ঞেস করবেন না। মুভির নাম আমার মনে থাকে না। ভাববেন না ঢং করছি। আসলেই মুভির নাম আমার মনে থাকে না। আর আমি নাম দেখে মুভি দেখি না। আমার কয়েকজন বন্ধু আছে। এরা ভয়ানক মুভিখোর। এদের কাছে দুইটা ৩২ জিবি পেনড্রাইভ নিয়ে যাই, মুভি নিয়ে আসি। দেখি। মুগ্ধ হই। তবে মুভি না দেখাই ভালো। মুভির চেয়ে বই পড়া হাজার গুন বেশী ভালো।)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
১২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×