তোমাকে নিয়ে যখন হাহাকারগুলো জেগে উঠতো তখন টিএসসির ভীড় দেখতাম। ভীড় ঠেলে হেঁটে যাওয়া যুগলদের দেখে তোমাকে মিস করতাম। ঢাকা শহরের বিস্তীর্ণ জ্যাম জুড়ে বসে থাকার সময় সবাই হাঁসফাঁস করতো আর আমি উদাস মনে ভাবতাম তোমাকে। এবাও মেলেনা, দোবাও মেলেনা, এভাবে ভাবতে ভাবতে জ্যামের ভেতর তোমার অসুখে ভুগতাম। মাঝেমাঝে মানিকমিয়া এভিনিউ-সংসদ ভবন-বিজয় স্মরণী হয়ে মিরপুর পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে তোমার জন্য জমানো দীর্ঘশ্বাসগুলো গুণে রাখতাম।
তোমার চোখ আর কোনদিন দেখবো না এই দুঃখ মেনে নিয়ে চোখ বুজে স্মৃতিগুলো মনে করার চেষ্টা করি, মনে পড়ে কাঁচকাটা অন্ধকারে কতবার স্বেচ্ছামৃত্যুকে বরণ করতে চেয়েছি। শেষবার যখন স্বপ্ন দেখেছিলাম তখন নির্বাসনে যাবো বলে ইচ্ছাদেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম তোমাকে জড়িয়ে কাঁদবার ইচ্ছেটুকু।
ঈশ্বরকে বলেছিলাম এসব অশ্রুগাথা বিষাদলিপি মুছে ফিরিয়ে দাও একটুকরো জীবন, যে জীবনে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। যে জীবনে অনুভব করেছিলাম তোমার চুম্বন, আঙুলের স্পর্শ। ঈশ্বর সে কথা শোনেননি বলে আমি হলাম ঈশ্বরবিমুখ। তার দেয়া আত্মাকে অস্বীকার করে লেপ্টে গিয়েছি অন্ধকারের অনন্ত দেয়ালে। দেয়ালে লেগে থাকা নিঃশ্বাসগুলো খুলে নিয়ে তাতে জলছাপ এঁকেছি ম্যাগপাই লাশের।
তারপর একদিন পূর্বজন্মের আততায়ী আর্তনাদগুলো পুড়ে গিয়ে ছাইভস্মের জাদু টোনায় সৃষ্টি হলো নীলকন্ঠ পাখি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৮