আপনারাই এর বিচার করুন - বাংলাদেশ প্রতিদিন আমার "আলু চপ (কিমা চপ) " এই রেসিপিটি ছেপেছে তাদের আজকের সংখ্যায় , কিন্ত কোন এক ইসরাত জাহানের নামে।
একে কি চৌর্যবৃত্তি বলব?
আপনারা যদি আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন দেখেন এই লিঙ্কে দেখবেন আমার আলু চপ (কিমা চপ) রেসিপিটি সেখানে ছাপা হয়েছে কিন্তু অন্য কারো নামে। এমনকি সামহ্যোয়ারইনে রেসিপিটি আমি যে বানানটা ভুল করেছি সেই ভুল বানানসহ পত্রিকায় ছেপেছে। প্রমাণের জন্যই এইটুকু বললাম। আমার লেখায় ভুল করে ভেরেস্তা লেখা হয়েছিল। আমি যতদুর জানি আসলে শব্দটা বেরেস্তা। এই ভুল ভেরেস্তা শব্দটাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওই লেখাটায় রেখে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যিনি আমার রেসিপিটি তাঁর নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন উনি এই ভুলটুকুও খেয়াল করেননি, সবটাই নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। ছবিটাও আমার ব্লগের, আমার ছেলে চবিটি তুলেছে আরো অনেকগুলো একই রকম ছবি আছে।
আপনারাই দেখুন-
অনলাইনে বাংলাদেশ প্রতিদিন -এর অন্দর মহল পাতা, যেখানে অন্য কারো নামে আমার রেসিপিটি
সামহ্যোয়ারইনে প্রকাশিত আমার আলু চপ (কিমা চপ) রেসিপিটি
একই রেসিপিটি আমি আমার ব্লগস্পটের সাইটেও দিয়েছি। এই লিঙ্কে দেখুন
ব্যাপারটা আমার ভাল লাগেনি। যিনি রেসিপি (লেখা) কপি করেছেন, তাঁর ভাবা উচিত ছিল যে - আমার রেসিপিগুলো অনলাইনে সামহ্যোয়ারইনের মত একটা ব্লগে প্রকাশিত হচ্ছে, নিশ্চয়ই কারো না কারো চোখে পড়বেই। আমার এক পাঠকই আজ রেসিপিটি ওই পত্রিকায় দেখে ফোন করে জানিয়েছেন। বিকেলে আমার ছেলে পত্রিকাটা দেখার পর বাংলাদেশ প্রতিদিনের অন্দর মহল পাতার সম্পাদককে ফোন করেছিলেন, ওনারা বললেন যিনি রেসিপিটি দিয়েছেন তাকে জিজ্ঞেস করবেন।
আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সেই সাথে আমি আশা করব বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা দায়িত্ববোধের পরিচয় দেবেন এবং এ ব্যাপারে একটা সন্তোষজনক সমাধান বাতলে দেবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
একই ব্যাপারটা আমি পত্রিকার অন্দর মহল পাতার সম্পাদককে ইমেইলেও জানিয়েছি।
এই রেসিপির অন্য যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোও আপনাদের দেখার জন্য দিয়ে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:০৬