সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজাকার ছিল নাকি মানবতাবিরোধী সেটা সরকার ও আদালত দেখবে। সে বিষয়ে কিংবা তার বিচার নিয়ে আমার বক্তব্য নয়। আমি কথা বলছি প্রথম আলো নামক পত্রিকাটির হলুদ সাংবাদিকতা নিয়ে।
প্রথম আলো নামের দালাল মিডিয়াটি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ পিটিশন নিয়ে ‘প্রতারণা করে শেষ রক্ষার চেষ্টা সাকার’ শিরোনামে একটি নাতিদীর্ঘ রচনা লিখেছে প্রথম পাতায়। এখানে শিক্ষা সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু এই গুলো সঠিক না বেঠিক এটা যাছাই করা হয়েছে এমন কোন তথ্য তারা দেয়নি। নিজেদের মত করে সাজিয়ে বলা হয়েছে প্রতারাণা। ধরে নেয়া যাক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রতারণাই করেছেন। তবে এটা কি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে যাছাই করে দেখা হয়েছে। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় কি অস্বীকার করেছে এই সনদ তারা ইস্যু করেনি। বলা হয়েছে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সত্যায়িত করেছেন। তাহলে কি পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তার সাথে তারা যোগাযোগ করেছিল!!! এরকম কোন তথ্য তারা দেয়নি। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সরাসরি লিখে দেয়া হয়েছে সাকা'র প্রতারণা।
পাকিস্তানের বিখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর হলেন তাদের প্রতিনিধি। হামিদ মীরের লেখা প্রায় প্রথম আলো গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। পাকিস্তানে কোন কিছু ঘটলে হামিদ মীরের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা সেটা প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এই তথ্য গুলো যাছাই করতে তারা কি হামিদ মীরের সাথে যোগাযোগ করেছে??? এমন কোন ইঙ্গিত প্রতিবেদনটিতে নেই। এই প্রত্রিকাটি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রাজনৈতিক চিন্তার গুরুতর বিরোধী। তাই তাদের এজেন্ডা হচ্ছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মত রাজনৈতিকদের চরিত্র হনন করা। মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক কাহিনী রচনার মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মত ভারতবিরোধী (এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকার কোন ব্যপার না) রাজনীতিকদের চরিত্র হননই যাদের এজেন্ডা তারা এই দালালি মিশ্রিত নিউজ পড়ে উল্লসিত। তাই সাফাই গাওয়া হয়েছে কোন যাছাই বাছাই ছাড়াই। প্রথম আলোর মত ইন্ডিয়াপন্থি হুলদ মিডিয়া গুলোর মূল এজেন্ডাই হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ইন্ডিয়ার কাছে অর্পন করা। তাদের এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে যারা প্রতিবন্ধক হতে পারেন তাদের চরিত্র হনন করে হেয় করাই হচ্ছে তাদের মেইন টার্গেট।
ইন্ডিয়ার জন্য সীমান্ত উম্মোক্ত করতে প্রত্রিকাটি একবার একটি বিশেষ সংখ্যা বের করেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১