প্রথমপর্ব। Click This Link । ও এবার নিজে ফোন করে। লাইন কেটে দেই। ম্যাসেজ অপশেন গিয়ে হাবিজাবি কি যেন লিখি আবার কেটে দেই। ও আমাকে ফোন দিতে থাকে। আমি কেমন যেন অস্থির হয়ে যাই। কিছুটা স্বার্থপর। ভাবি, আমাকে নিয়ে তুমি খেলছ। তুমি নারী্। বড় মায়াময়, নীহারীকা। পিছনের অনেক কিছু মনে পড়ে। এক একটা ছোট ছোট কষ্ট পাহাড়ের মত চেপে ধরে। ছোট ছোট অবহেলা গুলো আমাকে বিষিয়ে দেয়। ইচ্ছে করেই সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। আমাকে অবাক করে দিয়ে সে একদন চুপ করে বসে থাকে। যেন আমি বলে কেউ কোনদিন ছিলাম না!
আমাদের সম্পর্কটি যেন কেমন কেমন রয়ে গেল ২ বছর। বন্ধুদের প্রেমের থেকে অনেক দূর। কোন ছায়া নেই তাদের প্রেমের। রাহীর প্রেম দেখে মাঝে মাঝে হিংসা হয়। মিতুলকে ১দিন না দেখলে কেমন হয়ে ওঠে। ভার্সিটিতে সারাদিন আড্ডা। বিকেলে ঘুড়তে যাওয়া। রাতে ফোন। আমার হিংসে হয়। ওর সাথে মেলাতে গেলে কষ্ট লাগে। ও বলে তোমার পাশেই আছি, তুমি দেখতে পাওনা। আসলেই আমি অন্ধ। আমি দেখতে পাইনা ওকে। দেখার তৃষ্ণা জাগে। বলি চল আশুলিয়া থেকে ঘুড়ে আসি। ও আসে না। আজ না কাল কাল না পরশু। হঠাত একদিন ওরফোন। এখনই যেন শাহবাগ মোড়ে চলে আসি। আমাকে অবাক কের দিয়ে বলে চলো, আশুলিয়া থেকে ঘুরে আসি। খুব খুশি হই। জমে থাকা একটা কষ্ট বুক থেকে নেমে যেতে যেতেই তা বেড়ে দ্বিগুন হয়। আসাদগেট গিযে গাড়ি থামে। আমাদের পিছনের সীটটিতে ওর ভাই ও ভাবির জায়গা হয়। সে ভাললাগা নিয়ে গাড়িতে উঠি তা নিমিষেই উবে যায়।
ওর কিছু কিছু বিষয় ভাল লাগে, আবার লাগে না। আমার শার্ট ময়লা ওর চোখ এড়ায় না। চুল উসকোখুশকো ওর সয় না। সকালে বেশী ঘুম সহ্য করে না। আমার ২৪ ঘন্টাই ওর মেমেরীতে সেফ করা। কবে কোন ক্লাস। আমার চেয়ে ওর কাছে তার হিসেব বেশি। রাতে সারাদিনের ফিরিস্তি দিতে হয়। কখন কি করেছি তার জন্য নয়। কালকে কখন কি করবো তার ফিরিস্তি। আমাকে আমার ফ্যামিলি যে টুকু চেনে তার চেয়ে ওর ফ্যামিলি চেনে বেশি। বন্ধুদের দেখেছি তারা বন্ধুদের দেখিয়ে দেখিয়ে প্রেম করে কোন সমস্যা নেই। আত্মীয় স্বজনের সামনে পড়তে চায় না। যতদূরে থাকা যায় সেই চেষ্টা। ওর বেলায় সম্পুর্ণ ভিন্ন। আত্মীয় স্বজন দেখলেই যেন ও খুশি। রাস্তায় ফুচকার দোকানে মামার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ওর একটু লজ্জা হয় না। বরং আনন্দই পায়।
ওর প্রতি উদাসীনতা মাঝে মাঝে আমাকেই কষ্ট দেয়। আজকের শাড়ীটা কেমন, কালার ঠিক আছে? আমি অবাক হই। ওকে শাড়ীতেই সুন্দর লাগে এটা আমি জানি। ওর সৌন্দর্য দেখেছি, শাড়ীর সৌন্দর্য চোখে পড়েনি। কোন রংএর শাড়ি ছিল তাও মনে নেই। ও কষ্ট পায়। রাতে ফোন করে একথা সে কথা, আমার ঘুম আসে। ও লাইন কাটে না। আজ আরও কথা বলতে চায়। কেন? আমি বুঝি না। পরেরদিনও বুঝি না। রাতে যখন ফোনে কাদে তখন মনে মনে লজ্জিত হই। কষ্ট পাই। জন্মদিনটাই ভুলে গেছি। রাগ করে আমাকে মনে করিয়ে দেয়নি। ওর প্রতি এই উদাসীনতা ওর চোখে পড়ে। তদবীর করে ভাসিটিতে ভর্তি হয়েছি। হ্যান্ডসাম বলতে যা বুঝায় একদম তাও নই। তার পরেও আমাকে ভালবাসে? কেন ভালবাসে? নাকি বাসে না। সবই মায়া। জানতে চাইলে বলে জানি না। একটি বইয়ের পাতায় ও লিখে রেখেছে, ভিতরের মানুষকে সে ভালবাসে। আমার ভিতরে ওর সেই মানুষটি বাস করে? নাকি করে না।
আমার ভিতরের মানুষটা কে? আমি তাকে চিনি না। আমি ওকে কাছে চাই। আরও গভীর ভাবে কাছে চাই। গাঢ় এক চুমুতে আমি সুখ খুজি। আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে আরো নীবিড় হতে চাই। চোখের দেখা অনুভুতির ভাষাগুলো স্পর্ষে পড়তে চাই। উষ্ণতায় সাতার কাটতে চাই।
চলবে...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



