somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জুড়ি বোর্ডের স্বাক্ষর সমাচার ও তারিখবিহীন রহস্যময়তা !!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জুড়িবোর্ডে ছিলেন মোট ১২জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় স্বাক্ষর করেননি। তাঁরা হলেন অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল ও শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অবশিষ্ট নয়জন স্বাক্ষর করেছেন। সবচেয়ে মজার যে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখার ব্যাপার সেটি হলো, সেখানে পাঁচজন স্বাক্ষর করেছেন তারিখবিহীন। আমার বদ্ধমূল ধারণা, এই পাঁচজন হয় ২৩ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণার দিন স্বাক্ষর করেননি, বা তাঁদের থেকে পুরস্কার ঘোষণার আগেই ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছেন জনাব শামসুজ্জামান খান। অথবা তাঁরা মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম শুনে। কিন্তু এইা পাঁচজনের তারিখবিহীন স্বাক্ষর করার ভেতরেই বাংলা একাডেমি পুরস্কারের বিকর্তিত ঘটনার সূত্রপাত বলেই আমি মনে করি।

যে পাঁচজন তারিখ ছাড়াই স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সুব্রত বড়ুয়া ও এটিএম জাকারিয়া স্বপন। ওঁনারা কেউ স্বাক্ষরের পর তারিখ দেননি। এই তারিখ না দেওয়ার সুযোগটি নিয়েছেন খান সাহেব!

বাকি যে চারজন ২৩ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণার দিন স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মো. আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (সচিব, বাংলা একাডেমি) ও শামসুজ্জামান খান (মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি)।

অর্থ্যাৎ পুরস্কার ঘোষণার দিন বাংলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক ছাড়া জুড়ি বোর্ডের কেবল দুইজন সদস্য স্বাক্ষর করেছিলেন। এখন যদি বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক সত্যি সত্যি সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সুব্রত বড়ুয়া ও এটিএম জাকারিয়া স্বপন সাহেবদের কাছ থেকে আসল তথ্য বের করে আনতে পারেন, ওঁনারা কবে কখন স্বাক্ষর করেছিলেন, তালিকায় নাম না দেখেই স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা, তাহলে খান সাহেবের আাসল মুখোশটি নিশ্চিত ধরা পড়বে।

কিন্তু ওই পাঁচজন হয়তো এখন আর এই বিষয়ে খান সাহেবের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মত দুঃসাহস দেখাবেন না। এটা প্রায় ৯৯.৯ ভাগ সত্য। অর্থ্যাৎ খান সাহেব ১২ সদস্যে জুড়ি বোর্ডেই বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণায় যে কারিশমা দেখিয়েছেন, সেখানেই সন্দেহের বীজটি সুস্পষ্ট রয়েছে। তাই জুড়ি বোর্ডের ওই পাঁচজন ভোট দিক বা না দিক, খান সাহেব তাঁদের যথাযথভাবে ব্যবহার করেছেন। এটাই আসল সত্য!

প্রশ্ন হলো, জুড়ি বোর্ডের এই পাঁচজন কী এতটা নাবালক যে এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে তারিখবিহীন স্বাক্ষর করে খান সাহেবদের সুযোগ করে দেবেন? আর যদি সত্যি সত্যি তাঁরা নাবালক হন, তাহলে তাঁরা জুড়ি বোর্ডের সদস্য হন কীভাবে? নাকি ওঁনাদের তারিখ ছাড়াই স্বাক্ষর করার পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল?

এই সুযোগে একটি কথা বলে রাখি, নিয়াজ জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। খুব ভালো ইংরেজি লেখেন। সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তিনি জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সময় নানান কিসিমের সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। তিনি যে ডক্টরেট করেছেন ওটা ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে আর সেটা জেনারেল এরশাদের কৃপায়।

এতক্ষণ যারা চোখ ছানাবড়া করেছেন, তাদের জন্য বলছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করার পর যিনি প্রথম বহির্বিশ্বে খুনিদের বেশ সুনাম ও কৃতিত্ব দিয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেছিলেন, তিনিই এই নিয়াজ জামান। এইটুকু তথ্য যারা জানেন, তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে খান সাহেবের উদ্দেশ্য ভালো করে আবিস্কার করতে পেরেছেন।

সবচেয়ে দুঃখ লাগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রশংসাকারী নিয়াজ জামানকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি পুরস্কার গলায় পড়াবেন! আর পাশে দাঁড়িয়ে খান সাহেব তখন খুশিতে হাতে তালি দেবেন। সাধু সাধু!!

..............................
২৫ জানুয়ারি ২০১৭

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×