দেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য বহুমুখীকরণ, পণ্যের মানোন্নয়ন, নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি এবং সেগুলো বাজারজাত করতে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে ব্যবসাবান্ধব সরকার। তারা দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। ব্যবসায়ীদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে। তাই পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য বিশ্বে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা আছে তা বিশ্লেষণ করতে হবে। সে অনুযায়ী রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনে দৃষ্টি দিতে হবে। এসব করতে পারলে বাংলাদেশ ২০৫০ সালে পশ্চিমা দেশগুলোকেও উন্নয়নে ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। বাঙ্গালি বিজয়ী জাতি। মাথা উঁচু করেই তারা নিজেদের গড়ে তুলব। এজন্য আরও ব্যবসা-শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। আগে এ দেশ ছিল ঘূর্ণিঝড়, দুর্যোগের দেশ; কিন্তু এখন অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো করছে, সেটা বিশ্বদরবারেই বলা হচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশকে এক সময় যারা কটাক্ষ করতো, এখন তারা ভালো আখ্যা দিয়ে প্রশংসা করছে। উন্নয়নের দিক দিয়ে বাংলাদেশ ২০৫০ সালে পশ্চিমা দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে। গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২