৩জুলাই,রাত ৩টা
লেখাটা ৫মিনিট আগে শুরু হতে পারতো,কেন ঘড়ির কাটা ধরে ৩টা সে তথ্য আমার জানা নেই।কেউ কি চাচ্ছে আমি ঘড়ির কাঁটা ধরে লেখা শুরু করি এবং শেষ করি?
আকাশ পরিষ্কার,চাঁদ আছে তবে তাঁরা নেই।কিছুটা মেঘও আছে,সেই মেঘ চাঁদকে ঢেকে রেখেছে।পুরোপুরি না।চাঁদের ৮০ভাগ হতে পারে।এটাও কি কারো ইচ্ছা?কেউ কি চাচ্ছে পূর্ণ চাঁদ রাতেও কিছুটা সময় পৃথিবী আলো বঞ্চিত থাকুক?কেন চাচ্ছে?এই চাওয়ার যৌতিকতা কি?
আমি অতিপ্রাকৃত কিছুতে ডুবে যাচ্ছি।অতিপ্রাকৃত বলেও হয়তো কিছু নেই।সবকিছুই কি উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা?নাকি আসলেই কিছু আছে?
কি নিয়ে লিখছি আমি জানি না,কেন লিখছি সেটাও না।লেখা কিসে পরিণত হবে,কোথায় শেষ হবে।কিছুই আমি জানি না।
পৃথিবীতে বসে আমরা যেমন অনন্ত নক্ষত্রবীথি দেখে মুগ্ধ হই ঠিক তেমনি অনন্ত নক্ষত্রবীথি থেকে কেউ কি আমাদের দেখে মুগ্ধ হচ্ছে?নাকি কেউ পৃথিবী নামক এই উদাসি গ্রহটাকে দেখতেই পারছে না?ব্যক্তিগত ধারণা দেখতে পাওয়ার কথা।পৃথিবীর নিজের কোন আলো নেই এটা ধ্রব সত্য কিন্তু সূর্য থেকে তো সে আলো পাচ্ছে।
সেই আলো পৃথিবীর বিশাল জলভাগে বাঁধা পেয়ে যে নক্ষত্রবীথিতে ফিরে যাচ্ছে না সে সম্পর্কে দ্বিমত তো থাকারই কথা।নাকি সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যকার সম্পর্কে কোন দ্বিমত থাকতে নেই।চাঁদকে অবহেলা করা কি ঠিক হবে?কে বলতে পারে সূর্যের বিকট আলোকে মিষ্টি আলোতে পরিনতা করা চাঁদের আলোও পৃথিবীর বিশাল জলভাগে বাঁধা পেয়ে অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে ফিরে গিয়ে অসম্ভব সুন্দর কোন মন্মুগ্ধকর দৃশ্যে পরিণত হচ্ছে না?
আর সেই আলো দেখেও মন্মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকছে না এই গ্রহের মতই অন্য কোন গ্রহের ৬৫০কোটি দো'পেয়ো জীব অথবা তার চেয়েও বেশী।
সেই গ্রহে কি দু'পেয়ো জীবদের আবার দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে?নামকরণও কি এই গ্রহের মত?নারী এবং পুরুষ?আবার এদের মধ্যেও কি এক জাতের শারীরিক গঠন এই গ্রহেরই একজাতের মত আকর্ষণীও?যেই আকর্ষণে লক্ষ বছর ধরে বাঁধা পরে আছে শক্ত সামর্থ্য আরেক বুদ্ধিমান জাত?
এটা কি কোন খেলা?এই খেলার শুরু কোথায় আর শেষ কোথায়?নাকি এই খেলা চলতে থাকবে যুগের পর যুগ ধরে?চেইন রিঅ্যাকশনের মত এই খেলা এগোতে থাকবে মন থেকে মনে,গ্রহ থেকে গ্রহে,গ্যলিক্সি থেকে গ্যালিক্সিতে?
আমি বাস্তবতায় ফিরে আসি।যার গন্ডি পাথরের দেয়াল সে গ্যালেক্সি নিয়ে কেন ভাববে?আমি সামান্য লজ্জিত বোধ করি,আমার মনে হতে থাকে প্রকৃতি আমাকে দেখে হাসছে।লজ্জিত মুখ নিয়ে আমি লেখা বন্ধ করি।বিছানায় শুয়ে রবীন্দ্র শুনতে ব্যস্ত হয়ে যাই।আমার ঘরের দেয়ালে সুরের প্রতিধ্বনি হয়।
"এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে॥"
বেঁচে থাকার আনন্দে আমি আনন্দিত হই,আনন্দেই আমার চোখ ভিজে ওঠে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৯