রাত ৯টা বাজে। রাস্তায় অনেক জ্যাম। বাসের ভিতর চুপচাপ বসে আছি। বউ ফোন দিয়ে ছিল। বললাম বাইপাইলে আছি আসতে সময় লাগবে। বাসে চুপচাপ বসে থাকার একটা মজা আছে। আশপাশের লোকজনের কথাবার্তা শুনা যায়। বাস যখন জামগড়ায় আসলো তখন দুইজন যাত্রী বাসে উঠলো। একজন ট্র্যাফিক পুলিশ আর তার পিছে একটা ছেলে যার বয়স বেশি হলে ১৬ হবে। আমার ঠিক পিছনের সিটে তারা বসলো। কথাবার্তা শুনে মনে হলো তারা দু'জন দু'জনকে চেনে।
ছেলেটি কিছুক্ষণ পর পুলিশকে জিজ্ঞেস করলো:
ছেলে: স্যার আপনিতো যাতায়াত করেন আপনারতো টাকা দিতে হয় না, তাইনা?
পুলিশ চুপ করে থাকলো কিছুই বললো না।
ছেলে: স্যার আমিতো এই বাসে উইঠা পরসি আমার কাছেতো কোন টাকা নাই। আপনে এক কাম করেন, কন্ডাকটারের কাছ থেকে টাকা নেন, ৩০ টাকা, সেই টাকা আমারে দেন, আমি সেখান থেকে ভাড়া দেই।
বুঝা গেলো, ছেলেটা বেশ ভালো ভাবেই জানে যে পুলিশরা যে টুকটাক টাকা নেয় বাস-ট্রাকদের কাছ থেকে।
পুলিশ তাও চুপ রইলো।
ছেলে: কন্ডারকট আসতেসে, ওর কাছ থেকে নেবেন টাকা স্যার?
পুলিশ: চুপ থাক ব্যাটা। তোর কি মনে হয় আমি টাকা নেই! কত বড় কথা তুই কস! আমারে শিখাস যে লোকটার কাছ থেকে আমি টাকা নেই আর সেই টাকা আমি তোরে দেই যাতে তুই ভাড়া দিতে পরোস!
কথাটি বলেই পুলিশ কয়েকটা গালি দিল।
ছেলে: তাইলে স্যার আপনি নিজে টাকা দেন। আপনার ভাড়াতো লাগতেসে না। আমারটা আপনি দেন।
পুলিশ: ঐ ব্যাটা, তোরে আমি চিনি তুই যে আমার কাছে থেকে টাকা চাস?
ছেলে: দেন স্যার কিচ্ছু হইবো না।
বাস কন্ডাক্টর যখন তার কাছে আসলো, পুলিশ তখন নিজেই ছেলেটার ভাড়া দিয়ে দিল।
(ঘটনা সত্যিকারের)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭