সেই ১৯৯১ সালে আমার এক বড় ভাই বিদেশ থাকেন । তার কর্মক্ষেত্রে চাকুরীর প্রয়োজনে এস এস সি পরীক্ষার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়েছে । কিন্তু সার্টিফিকেট মুদ্রনে তার নামের বানানে ভূল হয়েছিল। কাজেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে তার নামের বানান ঠিক করতে হবে । উনার বাড়ি থেকে শিক্ষা বোর্ড অনেক দুর । উনার বাবা বৃদ্ধ তাই আমাকে বললেন শিক্ষা বোর্ড থেকে নামটা সংশোধন করে দিতে, আমিও করে দিয়েছিলাম । পরবর্তীতে আমার এলাকায় আরও কয়েকজনের এই রকম ভূল হওয়ায় আমাকেই সংশোধন করতে হয়েছিল শিক্ষাবোর্ড থেকে ।
সম্প্রতি আমার এলাকার এক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, অষ্টম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীতে উঠেছে । জে এস সি সার্টিফিকিটে তার নামের বানানে ভূল হয়েছে । অবিভাবক বলতে তার কেউ নেই । তার পক্ষে শিক্ষা বোর্ড থেকে নাম সংশোধন করিয়ে আনা প্রায় অসন্ভব কাজ । বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নানা রকম ভাতা দেন । সুতরাং নামের সংশোধন করা তার জন্য খুবই জরুরী ।
ঘটনাটি জেনে আমি ছেলেটিকে বললাম তোমার নামের সংশোধনীটি আমি করিয়ে দেব । তাই একদিন গেলাম শিক্ষা বোর্ডে । সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম:
ক) ফি বাবদ সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে সচিব, মাধ্যমিা ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর অনুকুলে ৪০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট
খ) পিতা মাতা জীবিত না থাকলে আইনানুগ অভিভাবক কর্তৃক ১ম শ্রেণীর মেজিস্ট্রেট/নোটারী পাবলিকের নিকট করা এফিডেভিটের মুলকপি ।
গ) পত্রিকার প্রকাশিত নাম সংশোধন সংক্রান্ত বিগ্ঞপ্তি ।
ঘ) আবেদনকারীর পরীক্ষা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি ।
ঙ) নাম সংশোধনের সপক্ষে প্রামাণ্য রেকর্ডপত্র ।
চ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান অথবা প্রথম শ্রেণীর গেজে্টেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি ।
শিক্ষকদেের অজ্ঞাতসারে এধরনের ভূল অহরহই ঘটে থাকে ।
অভিভাবকহীন একজন প্রাইমারী ও হাইস্কুলের ছাত্রের সার্টিফিকেটে এই ধরনের ভূল হলে উপরোক্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সার্টিফিকেটের সংশোধন করা প্রায় অসম্ভব । সমস্যাটি দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি গোচরে আনার চেষ্টা করছি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪