somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

স্বর যন্ত্র
নিশ্চয় বিভক্তি ভেঙ্গে বিশ্বাসের বিন্যাস দেশপ্রেম কে বিন্যস্ত করবে নগরের আনাচে কানাচে।গুমোট বাতাসে শীতের ক্লান্তি বসন্তের জানান দেবেই।

মানুষ তার পূর্ণ জীবনচক্রের যে কোনও পর্যায়ে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ তার পূর্ণ জীবনচক্রের যে কোনও পর্যায়ে যখন বড় ধরনের সংকটকাল অতিক্রম করে, তখন তার জীবনধারা দুই পথের কোনও একটা পথে পরিচালিত হয়, একটি হল নেতিবাচক পথ অন্যটি হল ইতিবাচক পথ।কেউ কর্মমুখী হয় কেউ কর্ম বিমুখ হয়, আমি ভীষণ কর্মমুখী একজন মানুষ, জীবনের অপরিহার্য সংকট উত্তরন ও নেতিবাচক পথ পরিহারের প্রয়োজনে আমি আমার কাজের মাঝেই প্রান খুজে পাই, কাজই আমাকে শারীরিক সীমাবদ্ধতা ও মানসিক অশান্তির কথা ভুলে থাকতে সাহায্য করে,আমার কাজটি সৃজনশীল কাজ,তাই পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে প্রকল্পের খুঁটি নাটি বিষয়গুলি সুচারু ও পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার মাঝেই আমার জীবনের উচ্ছ্বাস নিহিত থাকে, যেহেতু বিজনেস করি তাই সময়ের সদ্ব্যবহার ও যৌক্তিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমাকে প্রয়োজনের অধিক সময় কাজের মাঝে আবদ্ধ রাখে,এবং এভাবেই আমি অভ্যস্থ।অপরপক্ষে যে সকল মানুষ গুলো তার জীবনকে ফেসবুকিও চৌহদ্দির মাঝে কিংবা একটা নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমে নিজেকে বিবেচনা করে, তাদের কাছে আমার জীবন ধারা অনেকটা অস্বাভাবিক ও অপ্রয়োজনীয় মনে হয়,আমাদের বাঙ্গালীর প্রথাগত অভ্যাসের কারনেই তারা ধরে নেয় আমি যা করছি সেটা জগত সংসারের অনেক বড় একটা ক্রাইম,ব্যাপারটা কিছুটা এমন যে আমার নিজের কাজে এভাবে মগ্ন থাকার কোনও অধিকার আমার নেই, তারা মনে করে তারা যা করছে এটাই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ম ও উৎকৃষ্ট পন্থা, এভাবেই জীবন চালাতে হবে আর আশেপাশের মানুষ নিয়ে অকারন ও নোংরা সমালোচনায় ব্যস্ত থাকতে হবে।এই মানুষ গুলোকে কোনও ভাবেই বুঝাতে পারিনা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা মানুষের জীবন দর্শন ও কার্যবিধি একদম আলাদা অর্থ আবিস্কার করতে পারে, এই পৃথিবীর অনেক মানুষ আছে যারা মৃত্যু অবধি জীবনের ভিন্ন রকম মানে খুজে পায়, যারা তার জীবন কে কাজ কম আর গল্প বেশী করে কাটাতে অভ্যস্থ নয়।বেশিরভাগ সময় সামনের মানুষ টাকে তার মতো করে না ভেবে আমাদের নিজেদের মতো করে ভাবি, আমরা মনে করি আমি এখন ফ্রি সময় পার করছি আমার সামনের মানুষটাও নিশ্চয় আমার মতো চাকচিক্যে মোড়ানো আলগা সুতোর ঘুড়ি হয়ে উড়ছে।এভাবে বোকার স্বর্গে না থাকাই ভালো, এতে কষ্ট বাড়ে।এবার আসি রিলেশনশিপ গোল প্রসঙ্গে,অন্য সব মানুষের মতো আমিও বিশ্বাস করি যে প্রিয়জন,বন্ধু, আত্মীয় স্বজন সবাই কে সময় দেয়া প্রয়োজন,তবে সেটা দায়িত্ববোধ ও কর্মঘণ্টা কে পাশ কাটিয়ে নয়,অবশ্যই অবসর কিংবা কনভেনিয়েন্ত কোনও সময়ে।জীবন আমাকে শিখিয়েছে লাইভ লাইফে প্রতিটা মুহূর্তকে কাজে লাগানো কতটা জরুরী,ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে আমার আশেপাশের অনেক মানুষ কে হাহাকার করতে দেখেছি শুধু ডাই কারবাজিন কেনার টাকা জোগাড় করতে পারেনি বলে,আমি এমন অনেক কে জানি যারা তাদের পড়াশুনা ও সংসারের দায়িত্ব পালনের জন্য সময়ের অনেক আগে রোজগারে অভ্যস্থ হয়ে গেছে, জীবনের কঠিনতম সময়ে কেউ তাদের পাশে এসে দাড়ায়নি।তখন আমার কাছে মনে হয়েছে মানুষের জীবনে টাকার প্রয়োজন শুধু আরাম আয়েশের জন্য নয়,জীবন কে বাচিয়ে রাখার জন্য ও প্রয়োজন।আপনারা যারা দুইবেলা অফিস আর নিয়ম করে সারাবেলা ফেসবুকের মাঝে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে সামনের মানুষটির নিরলস জীবনযুদ্ধ কে উপেক্ষা করে তার গতিবিধি প্রশ্নবিদ্ধ করার অকারন চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে অন্যকে দোষারোপ না করে, নিজের চিন্তাশক্তি প্রসারিত করুন, মনের শুদ্ধতা আনুন,ভাবতে ও বিশ্বাস করতে শিখুন যে আপনিও ভুল করতে পারেন, আপনারও শুদ্ধতা প্রয়োজন।যদি কাওকে প্রিয়জন কিংবা বন্ধু ভেবে থাকেন তবে তার সব সীমাবদ্ধতা আগে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

বিঃদ্রঃ আমিও মানুষ, আমার মাঝেও আবেগ,ভালবাসা, স্বপ্ন ও ঘৃণা কাজ করে, কিন্তু জীবন আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে একা চলতে হয়, কিভাবে বিরুদ্ধ বাতাসে প্রান ভরে না হলেও অর্ধ প্রান নিঃশ্বাস নিয়ে বেচে থাকতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×