somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংখ্যায় সংখ্যায় সাদা বাঘেদের অর্জন

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নভেম্বরের ১০ তারিখ বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পনেরো বছর হবে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ও পূর্ণ সদস্য দলগুলোর মাঝে সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের বয়সও ১৫ বছর পূর্ণ হবে।

১৫ বছরে বাংলাদেশ খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ না খেললেও বেশ কিছু টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছে। সেগুলো নিয়েই একটি লেখা এটি। আমাদের বাঘেদের সাদা পোশাকে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খেলা সব ম্যাচের কিছু তথ্য নিয়ে সাজিয়েছি লেখাটা।

মোট খেলা ম্যাচঃ ৯৩
জয়ঃ ৭
পরাজয়ঃ ৭১
ড্রঃ ১৫


মোট খেলা সিরিজঃ ৪৭
জয়ঃ ৩
পরাজয়ঃ ৪০
ড্রঃ ৪


প্রথম যত কিছুঃ

প্রথম ম্যাচ - বিপক্ষ ভারত, ভেন্যু - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা।
প্রথম ওপেনিং জুটি - শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেন
প্রথম বল খেলা ব্যাটসম্যান - শাহরিয়ার হোসেন (জাভাগাল শ্রীনাথ ছিল বোলার)
প্রথম রান - মেহরাব হোসেন
প্রথম ৫০ - হাবিবুল বাশার (বিপক্ষ ভারত, ২০০০)
প্রথম ১০০ - আমিনুল ইসলাম বুলবুল (বিপক্ষ ভারত, ২০০০)
প্রথম ১৫০ - মোঃ আশরাফুল (বিপক্ষ ভারত, ২০০৪)
প্রথম ২০০ - মুশফিকুর রহিম (বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৩)
প্রথম অধিনায়ক - নাইমুর রহমান দুর্জয়
প্রথম বোলার - হাসিবুল হোসাইন শান্ত (বিপক্ষ ভারত, ২০০০)
প্রথম উইকেট - নাইমুর রহমান দুর্জয় (ব্যাটসম্যান শিভ সুন্দর দাস) (বিপক্ষ ভারত, ২০০০)
প্রথম পাঁচ উইকেট - নাইমুর রহমান দুর্জয় (বিপক্ষ ভারত, ২০০০)
প্রথম দশ উইকেট (ম্যাচে) - এনামুল হক জুনিয়র (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৫ সালে)
প্রথম হ্যাট্রিক - অলক কাপালি (বিপক্ষ পাকিস্তান, ২০০৩)
প্রথম জয় - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৫ সালে।
প্রথম পরাজয় - ভারতের বিপক্ষে, ২০০০ সালে।
প্রথম ড্র - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০১ সালে।
প্রথম দেশের মাটিতে জয় - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৫ সালে।
প্রথম দেশের মাটিতে পরাজয় - ভারতের বিপক্ষে, ২০০০ সালে।
প্রথম দেশের মাটিতে ড্র - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০১ সালে।
প্রথম বিদেশের মাটিতে জয় - ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০০৯ সালে।
প্রথম বিদেশের মাটিতে পরাজয় - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০১ সালে।
প্রথম বিদেশের মাটিতে ড্র - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৪ সালে।
প্রথম সিরিজ জয় - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৫ এ ঢাকায়।
প্রথম বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয় - ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০০৯ সালে।


প্রথম ম্যাচ শুরুর আগের ছবি

সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম দলীয় রানঃ

সর্বোচ্চ রান - ৬৩৮ [১৯৬ ওভার] (বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৩, গল টেস্ট)
সর্বনিন্ম রান - ৬২ [২৫.২ ওভার] (বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০০৭, কলম্বো টেস্ট)

সর্বোচ্চ অন্যান্য কিছুঃ

সর্বোচ্চ মোট ব্যক্তিগত রান - তামিম ইকবাল, ৩১১৮ রান (৪২ ম্যাচ, ৮০ ইনিংস, গড় - ৩৯.৪৬)
সর্বোচ্চ মোট উইকেট - ১৪৭ উইকেট (৪২ ম্যাচ, ৬৮ ইনিংস, গড় - ৩৩.৩১, ইকোনমি - ৩.০০)
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান - ২০৬, বিপক্ষ পাকিস্তান, ২০১৫.
এক ইনিংসে সেরা বোলিং - ৩৯ রানে ৮ উইকেট [১৬.৫ ওভার, ৭ মেইডেন, ইকোনমি - ২.৩১]
সর্বোচ্চ সেঞ্চুরী - ৭, তামিম ইকবাল।
সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরী - ২৭, হাবিবুল বাশার।
সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট - ১৪, সাকিব আল হাসান।
সর্বোচ্চ দশ উইকেট(ম্যাচে) - ১, সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক জুনিয়র।
সর্বোচ্চ ডাক বা শূণ্য - ১৬, মোঃ আশরাফুল।
সর্বোচ্চ পার্টনারশীপ - ৩১২, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস জুটি, বিপক্ষ পাকিস্তান, ২০১৫ সালে।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ - ৬১, মোঃ আশরাফুল।
অধিনায়ক হিসেবে সব চেয়ে বেশি ম্যাচ - ২৪, মুশফিকুর রহিম। [এখনো খেলছে]
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ (আউটার ফিল্ডার) - ২৮, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ (উইকেট কিপার) - ৭৮, খালেদ মাসুদ পাইলট।
সবচেয়ে বেশি স্ট্যাম্পিং - ১১, মুশফিকুর রহিম।
সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল(উইকেট কিপার) - ৮৭, খালেদ মাসুদ। ৮৬, মুশফিকুর রহিম।

গত পনের বছরের প্রতি বছরে পরিসংখ্যানঃ

২০০০ সাল
-----------
ম্যাচ - ১
জয় - ০
পরাজয় - ০
ড্র - ০
মোট রান - ৪৯১
মোট যাওয়া উইকেট - ২০
বিপক্ষে মোট রান - ৪৯৩
মোট পাওয়া উইকেট - ১১
মোট সেঞ্চুরী - ১
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১
মোট পাঁচ উইকেট - ১

২০০১ সাল
-----------
ম্যাচ - ৮
জয় - ০
পরাজয় - ৭
ড্র - ১
মোট রান - ২৭৬১
মোট যাওয়া উইকেট - ১৬০
বিপক্ষে মোট রান - ৩৭৬৯
মোট পাওয়া উইকেট - ৬৩
মোট সেঞ্চুরী - ২
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৪
মোট পাঁচ উইকেট - ১

২০০২ সাল
-----------
ম্যাচ - ৮
জয় - ০
পরাজয় - ৮
ড্র - ০
মোট রান - ২৬৭৭
মোট যাওয়া উইকেট - ১৬০
বিপক্ষে মোট রান - ৪০৮৬
মোট পাওয়া উইকেট - ৭১
মোট সেঞ্চুরী - ০
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১০
মোট পাঁচ উইকেট - ০

২০০৩ সাল
-----------
ম্যাচ - ৯
জয় - ০
পরাজয় - ৯
ড্র - ০
মোট রান - ৩৬৫৭
মোট যাওয়া উইকেট - ১৮০
বিপক্ষে মোট রান - ৪৩০১
মোট পাওয়া উইকেট - ৯৪
মোট সেঞ্চুরী - ২
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৪
মোট পাঁচ উইকেট - ৩

২০০৪ সাল
-----------
ম্যাচ - ৮
জয় - ০
পরাজয় - ৬
ড্র - ২
মোট রান - ৩৪০৫
মোট যাওয়া উইকেট - ১৫৯
বিপক্ষে মোট রান - ৩৯৩০
মোট পাওয়া উইকেট - ৭০
মোট সেঞ্চুরী - ৪
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১১
মোট পাঁচ উইকেট - ১

২০০৫ সাল
-----------
ম্যাচ - ৬
জয় - ১
পরাজয় - ৪
ড্র - ১
মোট রান - ২৫৩৭
মোট যাওয়া উইকেট - ১১৪
বিপক্ষে মোট রান - ২৮৫২
মোট পাওয়া উইকেট - ৬৪
মোট সেঞ্চুরী - ১
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১২
মোট পাঁচ উইকেট - ৫

২০০৬ সাল
-----------
ম্যাচ - ৪
জয় - ০
পরাজয় - ৪
ড্র - ০
মোট রান - ২০১১
মোট যাওয়া উইকেট - ৮০
বিপক্ষে মোট রান - ২০৯৪
মোট পাওয়া উইকেট - ৪৩
মোট সেঞ্চুরী - ২
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ৮
মোট পাঁচ উইকেট - ২

২০০৭ সাল
-----------
ম্যাচ - ৫
জয় - ০
পরাজয় - ৪
ড্র - ১
মোট রান - ১৭২৪
মোট যাওয়া উইকেট - ৯২
বিপক্ষে মোট রান - ২৬২৫
মোট পাওয়া উইকেট - ৩৫
মোট সেঞ্চুরী - ১
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ৮
মোট পাঁচ উইকেট - ০

২০০৮ সাল
-----------
ম্যাচ - ৯
জয় - ০
পরাজয় - ৮
ড্র - ১
মোট রান - ৩৩৩৯
মোট যাওয়া উইকেট - ১৭০
বিপক্ষে মোট রান - ৩৭৮০
মোট পাওয়া উইকেট - ১০৩
মোট সেঞ্চুরী - ১
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৩
মোট পাঁচ উইকেট - ৫

২০০৯ সাল
-----------
ম্যাচ - ৩
জয় - ২
পরাজয় - ১
ড্র - ০
মোট রান - ১৩৯৮
মোট যাওয়া উইকেট - ৫৬
বিপক্ষে মোট রান - ১৬৬৫
মোট পাওয়া উইকেট - ৫৬
মোট সেঞ্চুরী - ১
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ৪
মোট পাঁচ উইকেট - ২

২০১০ সাল
-----------
ম্যাচ - ৭
জয় - ০
পরাজয় - ৭
ড্র - ০
মোট রান - ৪১১২
মোট যাওয়া উইকেট - ১৪০
বিপক্ষে মোট রান - ৪৬১৩
মোট পাওয়া উইকেট - ৮৪
মোট সেঞ্চুরী - ৭
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ২০
মোট পাঁচ উইকেট - ৪

২০১১ সাল
-----------
ম্যাচ - ৫
জয় - ০
পরাজয় - ৪
ড্র - ১
মোট রান - ২০৭৮
মোট যাওয়া উইকেট - ৯২
বিপক্ষে মোট রান - ২৯১৪
মোট পাওয়া উইকেট - ৬০
মোট সেঞ্চুরী - ১
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৫
মোট পাঁচ উইকেট - ৩

২০১২ সাল
-----------
ম্যাচ - ২
জয় - ০
পরাজয় - ২
ড্র - ০
মোট রান - ১৩৯৭
মোট যাওয়া উইকেট - ৪০
বিপক্ষে মোট রান - ১৪৭৮
মোট পাওয়া উইকেট - ২৩
মোট সেঞ্চুরী - ২
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ৮
মোট পাঁচ উইকেট - ১

২০১৩ সাল
-----------
ম্যাচ - ৬
জয় - ১
পরাজয় - ২
ড্র - ৩
মোট রান - ৩৪০১
মোট যাওয়া উইকেট - ৯৬
বিপক্ষে মোট রান - ৩৭৫৯
মোট পাওয়া উইকেট - ৮৫
মোট সেঞ্চুরী - ৬
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৩
মোট পাঁচ উইকেট - ৪

২০১৪ সাল
-----------
ম্যাচ - ৭
জয় - ৩
পরাজয় - ৩
ড্র - ১
মোট রান - ৩৮৮৬
মোট যাওয়া উইকেট - ১২৪
বিপক্ষে মোট রান - ৪২৮০
মোট পাওয়া উইকেট - ১০৮
মোট সেঞ্চুরী - ১০
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৯
মোট পাঁচ উইকেট - ৭

২০১৫ সাল
-----------
ম্যাচ - ৫
জয় - ০
পরাজয় - ১
ড্র - ৪
মোট রান - ২১৬২
মোট যাওয়া উইকেট - ৬৪
বিপক্ষে মোট রান - ২১৫১
মোট পাওয়া উইকেট - ৪০
মোট সেঞ্চুরী - ২
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১০
মোট পাঁচ উইকেট - ১

১৫ বছরের সব যোগ করে,

ম্যাচ - ৯৩
জয় - ৭
পরাজয় - ৭৩
ড্র - ১৭
মোট রান - ৪১০৩৬
মোট যাওয়া উইকেট - ১৭৪১
বিপক্ষে মোট রান - ৪৮৬৯০
মোট পাওয়া উইকেট - ১০১০
মোট সেঞ্চুরী - ৪৩
মোট হাফ সেঞ্চুরী - ১৮০
মোট পাঁচ উইকেট - ৪০


প্রতি দলের বিপক্ষেঃ

১. জিম্বাবুয়ে
ম্যাচ - ১৪
জয় - ৫
পরাজয় - ৬
ড্র - ৫

২. ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ম্যাচ - ১২
জয় - ২
পরাজয় - ৮
ড্র - ২

৩. ভারত
ম্যাচ - ৮
জয় - ০
পরাজয় - ৬
ড্র - ২

৪. নিউজিল্যান্ড
ম্যাচ - ১১
জয় - ০
পরাজয় - ৮
ড্র - ৩

৫. পাকিস্তান
ম্যাচ - ১০
জয় - ০
পরাজয় - ৯
ড্র - ১

৬. দক্ষিন আফ্রিকা
ম্যাচ - ১০
জয় - ০
পরাজয় - ৮
ড্র - ২

৭. শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ -১৬
জয় - ০
পরাজয় - ১৪
ড্র - ২

৮. ইংল্যান্ড
ম্যাচ - ৮
জয় - ০
পরাজয় - ৮
ড্র - ০

৯. অস্ট্রেলিয়া
ম্যাচ - ৪
জয় - ০
পরাজয় - ৪
ড্র - ০

অধিনায়ক ছিলেন যারাঃ

নাইমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্যাপ্টেন।



মোট সাতটি ম্যাচে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১ ড্র সহ ৬ হার তার অধিনায়কত্বের পরিসংখ্যান। যদিও পরিসংখ্যানে কিছুই বলা যায় না। কারণ, তার সময়ে দলটাই ছিল একদম নতুন। তার ঐ পারফমেন্স যথেষ্টই।

খালেদ মাসুদ পাইলট, বাংলাদেশের উইকেট কিপিং-এর স্তম্ভ ছিলেন। খেলতেন লোয়ার অর্ডারে।



তিনি মোট ১২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১২টিতেই হেরেছেন। তার সময়েও দলটা খুবই তরুন ছিল। এই জন্যই এই অবস্থা। তবে তিনি দুই মেয়াদে অধিনায়ক ছিলেন। প্রথমে ২০০১ এ অধিনায়ক হন। পরে ২০০৪-এও হাবিবুল বাশারের অনুপস্থিতিতে ডেপুটি হিসেবে অধিনায়ক হোন।
ক্যাপ্টেন হিসেবে ভালই ছিলেন তিনি। শুধু দলটার অভিজ্ঞতা কম ছিল।

খালেদ মাহমুদ সুজন, অলরাউন্ডার।



৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৯টিতেই হার।
তার মাঝে একটা জয় থাকতে পারতো। সেই হাহাকার স্মৃতির মুলতান টেস্ট। তার নেতৃত্বের ধারেই পাকিস্তান খেলায় হারতেই বসেছিল। কপাল খারাপ ছিল সেই দিন বাংলাদেশের।

হাবিবুল বাশার সুমন।



মি. ফিফটি নামে খ্যাত। ক্যারিয়ারে ২৪টা অর্ধ-শতক সাথে ২টা শতক। সেটাও প্রায় আরো বছর দশেক আগেই বলতে গেলে। যেই দলটা টেস্ট খেলতেই পারে না - সেই দল থেকে এক ব্যাটসম্যানের ২৭ টা ফিফটি খুবই চমকপ্রদই।
অধিনায়ক হিসেবেও বাংলাদেশের সেরা অধিনায়কই তিনি। তার সময় থেকেই ভয়-ডরহীন ভাবে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। আজকের দেশের সব তারকা ক্রিকেটাররাই তার অধীনে থেকে খেলা শুরু করেছে।
রেকর্ডে অবশ্য বলছে, তিনি ১৮ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে হেরেছেন ১৩টি, ড্র ৪টি, জয় ১টি।
সেই জয়টা বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়।
৪ ড্রয়ের মাঝে একটা শুধু তার প্রখর অধিনায়কত্ব ও ব্যাটের ধারেই এসেছে। কোন বৃষ্টির সহায়তা ছাড়া বড় দলের বিপক্ষে পাঁচদিন মাঠে থেকে ড্র করা ম্যাচের অধিনায়ক এই বাশারই।

মোঃ আশরাফুল।



একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাসের নাম। আশার ফুল হয়েই এসেছিল দলটাতে। যতদিন ছিল ততদিন আশার ফুল হয়েই ছিল। অধারাবাহিক এক ট্যালেন্ট সে। যদি ধারাবাহিক ভাবে খেলত তাহলে আশরাফুল বিশ্বের সবচাইতে ভয়ংকর ও স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান থাকতো। কিসের গেইল, কিসের ম্যাক্সওয়েল - আশরাফুলের ব্যাট হাসা শুরু করলে ওরাও মুগ্ধ হয়েই ওখানেই তাকিয়ে থাকতো। অল্প বয়সেই তাকে অধিনায়ক করা হল। ফলাফল যা হওয়ার তাই ই। হারিয়েই গেল।
১৩ ম্যাচের অধিনায়কত্বে ১টি ড্র, ১২টি হার।

মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ইনজুরীর অপর নাম।
দুর্ভাগ্যের অপর নাম।
অনুপ্রেরণার অপর নাম।
পাগলামীর অপর নাম।



বাংলাদেশের একমাত্র মানুষ সে, যাকে কেউ ঘৃণা করে না। সবচেয়ে বেশি ভালবাসা পাওয়া মানুষটাই সে।
সে জন্যেই আশরাফুলকে সরিয়ে তাকে অধিনায়কের পদে আনা হয়। কিন্তু একদিনই মাত্র অধিনায়ক ছিলেন। সেটাও মাত্র ১৫ ওভারের জন্য। যদিও ঐ ম্যাচে অধিনায়ক সে ই নথিপত্রে, কিন্তু ম্যাচটাতে আসলে সে থাকতেই পারেবনি।
আর মাশরাফি এক যাদুকরী মানুষই বলা যায়। টেস্টে ভরাডুবি খেতে থাকা দল ক্যারিবিয় অঞ্চলে গিয়ে তাদেরকেই টেস্টে হারিয়ে ফেলে ঐ ম্যাচটাতেই। মাশরাফি ভাগ্যই বলতে হবে এটাকে। তার মত অধিনায়ক আমি আর দেখিনি। এখন টেস্টে নেই ম্যাশ। আশা করি আবার ফিরবে। ঐ নেতা হয়েই। ঐটাই মানায় তাকে। ওয়ানডেতে দলটাকে যেমন বানিয়েছে - টেস্টেও সে ই এরকম বানাতে পারবে।

সাকিব-আল-হাসান।
গোল্ডেন বয় অফ বাংলাদেশ।



একাই একশো বলে একটা কথা আছে। সাকিবের ক্ষেত্রে ঐ কথাটা পুরোপুরি মিলে যায়। দলে আসলো। থিতু হল। অধিনায়ক হল। ঐদিকে আইসিসির সব ডিপার্টমেন্টেই চূড়ান্তে উঠলো।
বাংলাদেশ দলকে বুঝালো চাইলেই পারা যায়।
তখন সে একা পারফর্মার ছিল। দিন যত গেল, পারফর্মার বাড়তেই থাকলো। এখন দলে ১১জনই পারফর্মার থাকে। সাকিব সবাইকেই শিখিয়েছে।
আক্রমনাত্নক মেজাজের অধিনায়ক। রেকর্ডে বলছে, ৯ ম্যাচের অধিনায়কত্বে সে জিতেছে মাত্র ১ বার। কিন্তু অনেকবারই দলকে জয়ের কাছেও গেছে তার সময়েই। বাংলাদেশ দলকে পুরোপুরি দাঁড়ই করালো সে। শুধু মনোযোগ আর চর্চা এই দুটো ভাল থাকলেই - সাকিবের অধিনায়কত্বে আরো বেশি ম্যাচ জিততো।

মুশফিকুর রহিম।



ওকে আসলে অধিনায়কের চেয়ে ব্যাটসম্যান হিসেবেই বেশি ভাল লাগে।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছে সে।
২৪ টেস্ট।
জিতেছেও সবচেয়ে বেশি চারটি। ড্র ৯টি। বাকি এগারোতে হার।
এই সময়ে বাংলাদেশ অনেক ভাল খেলেছে। শুধু সমস্যাটা হল সে একটু রক্ষণাত্নক ধরনের। এই জন্যেই অনেকগুলো ম্যাচে আমাদের হারতে হয়েছে। নাহলে, তার ২৪ এর মাত্র ৫-৭টি খেলা সে হারতো। জয় নয়তো ড্র - দুইটার একটার পাল্লাটা ভারী থাকতো।
বর্তমান সাদা পোশাকের দলের ক্যাপ্টেনও সে ই। আশা করি, এই সংখ্যাটা ৫০ ছুবে এবং জয়ের পাল্লাও ভারী হবে।

ব্যাটিং রেকর্ডঃ

সর্বোচ্চ রান (সেরা পাঁচ)
----------

১. তামিম ইকবাল - ৩১১৮ রান, ৪২ ম্যাচ ৮০ ইনিংস, গড় ৩৯.৪৬
২. হাবিবুল বাশার - ৩০২৬ রান, ৫০ ম্যাচ ৯৯ ইনিংস, গড় ৩০.৮৭
৩. সাকিব-আল-হাসান - ২৮২৩ রান, ৪২ ম্যাচ ৭২ ইনিংস, গড় ৩৯.৭৬
৪. মোঃ আশরাফুল - ২৭৩৭ রান, ৬১ ম্যাচ ১১৯ ইনিংস, গড় ২৪
৫. মুশফিকুর রহিম - ২৬৫০ রান, ৪৮ ম্যাচ ৮৮ ইনিংস, ৩২.৩১

এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান (সেরা পাঁচ)
---------------

১. তামিম ইকবাল - ২০৬, বিপক্ষ পাকিস্তান, ২০১৫
২. মুশফিকুর রহিম - ২০০, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৩
৩. মোঃ আশরাফুল - ১৯০, বিপক্ষা শ্রীলঙ্কা, ২০১৩
৪. মমিনুল হক - ১৮১, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ২০১৩
৫. মোঃ আশরাফুল - ১৫৮(অপরাজিত), বিপক্ষ ভারত ২০০৪

সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি
-------

১. তামিম ইকবাল - ৭
২. মোঃ আশরাফুল - ৬
৩. মমিনুল হক - ৪
৪. মুশফিকুর রহিম - ৩
৫. সাকিব আল হাসান -৩

সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরী বা ৫০+ ইনিংস
-----------------

১. হাবিবুল বাশার - ২৭ (২৪ হাফ সেঞ্চুরী, ৩ সেঞ্চুরী)
২. তামিম ইকবাল - ২৫ (১৮ হাফ সেঞ্চুরী, ৭ সেঞ্চুরী)
৩. সাকিব আল হাসান - ২২ (১৮ হাফ সেঞ্চুরী, ৩ সেঞ্চুরী)
৪. মুশফিকুর রহিম - ১৮ (১৫ হাফ সেঞ্চুরী, ৩ সেঞ্চুরী)
৫. মোঃ আশরাফুল - ১৪ (৮ হাফ সেঞ্চুরী, ৬ সেঞ্চুরী)

পার্টনারশীপসমূহঃ

রানের ভিত্তিতে সেরা দশ
--------------------

১. ৩১২ - তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস, বিপক্ষ পাকিস্তান ২০১৫
২. ২৬৭ - মোঃ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০১৩
৩. ২৩২ - শামসুর রহমান ও ইমরুল কায়েস, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০১৪
৪. ২২৪ - তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ২০১৪
৫. ২০০ - তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী, বিপক্ষ ভারত ২০১০
৬. ১৯১ - মোঃ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০০৭
৭. ১৮৭ - শাহরিয়ার নাফিস ও হাবিবুল বাশার, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ২০০৬
৮. ১৮৫ - তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস, বিপক্ষ ইংল্যান্ড ২০১০
৯. ১৮৪ - মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আবুল হাসান, বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১২
১০. ১৮০ - শাহরিয়ার নাফিস ও সাকিব আল হাসান, বিপক্ষ পাকিস্তান ২০১১

প্রতি উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশীপ
-------------

১ম উইকেট - ৩১২ - তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস, বিপক্ষ পাকিস্তান ২০১৫
২য় উইকেট - ২৩২ - শামসুর রহমান ও ইমরুল কায়েস, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০১৪
৩য় উইকেট - ১৫৭ - তামিম ইকবাল ও মমিনুল হক, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ২০১৩
৪র্থ উইকেট - ১৬৭ - নাইম ইসলাম ও সাকিব আল হাসান, বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১২
৫ম উইকেট - ২৬৭ - মোঃ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০১৩
৬ষ্ঠ উইকেট - ১৯১ - মোঃ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০০৭
৭ম উইকেট - ১৪৫ - সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
৮ম উইকেট - ১১৩ - মুশফিকুর রহিম ও নাইম ইসলাম
৯ম উইকেট - ১৮৪ - মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আবুল হাসান, বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১২
১০ম উইকেট - ৬৯ - মোহাম্মদ রফিক ও শাহাদাত হোসেন

বোলিং রেকর্ডঃ

সর্বোচ্চ উইকেট (সেরা পাঁচ)
------------------

১. সাকিব আল হাসান - ১৪৭ উইকেট, ৪২ ম্যাচ ৬৮ ইনিংস, গড় - ৩৩.৩১
২. মোহাম্মদ রফিক - ১০০ উইকেট, ৩৩ ম্যাচ, ৪৮ ইনিংস, গড় - ৪০.৭৬
৩. মাশরাফি বিন মর্তুজা - ৭৮ উইকেট, ৩৬ ম্যাচ ৫১ ইনিংস, গড় - ৪০.৫২
৪. শাহাদাত হোসেন - ৭২ উইকেট, ৩৮ ম্যাচ ৬০ ইনিংস, গড় - ৫১.৪১
৫. এনামুল হক জুনিয়র - ৪৪ উইকেট, ১৫ ম্যাচ ২৬ ইনিংস, গড় - ৪০.৬১

ইনিংসে সেরা বোলিং (সেরা পাঁচ)
---------------

১. তাইজুল ইসলাম - ৮/৩৯, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১৪
২. সাকিব আল হাসান - ৭/৩৬, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ২০০৮
৩. এনামুল হক জুনিয়র - ৭/৯৫, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০০৫
৪. শাহাদাত হোসেন - ৬/২৭, বিপক্ষ দক্ষিন আফ্রিকা, ২০০৮
৫. এনামুল হক জুনিয়র - ৬/৪৫, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০০৫

ম্যাচে সেরা বোলিং (সেরা পাঁচ)
--------------

১. এনামুল হক জুনিয়র - ১২/২০০, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০০৫
২. সাকিব আল হাসান - ১০/১২৪, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১৪
৩. তাইজুল ইসলাম - ৯/৮১, বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১৪
৪. শাহাদাত হোসেন - ৯/৯৭, বিপক্ষ দক্ষিন আফ্রিকা, ২০০৮
৫. সাকিব আল হাসান - ৯/১১৫, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ২০০৮

সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট
---------

১. সাকিব আল হাসান - ১৪
২. মোহাম্মদ রফিক - ৭
৩. শাহাদাত হোসেন - ৪
৪. তাইজুল ইসলাম - ৩
৫. এনামুল হক জুনিয়র - ৩
৬. সোহাগ গাজী - ২
৭. রবিউল ইসলাম - ২

সর্বোচ্চ দশ উইকেট
-------------

১. এনামুল হক জুনিয়র - ১ (১২ উইকেট ম্যাচে)
২. সাকিব আল হাসান - ১ (১০ উইকেট ম্যাচে)

হ্যাট্রিকঃ

বাংলাদেশের দুইজন বোলার টেস্টে হ্যাট্রিক তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে।

প্রথম হ্যাট্রিক - অলক কাপালী, ২৯ আগস্ট, ২০০৩ সাল। বিপক্ষ পাকিস্তান।
শিকার - শাব্বির আহমেদ, দানিশ ক্যানেরিয়া, উমর গুল। [এটি টেস্ট ইতিহাসের ৩২ তম হ্যাট্রিক]

দ্বিতীয় হ্যাট্রিক - সোহাগ গাজী, ১৩ অক্টোবর, ২০১৩ সাল। বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
শিকার - কোরি অ্যান্ডারসন, বিজে ওয়াল্টিং, ডাগ ব্রেসওয়েল। [ইতিহাসের ৪০ তম হ্যাট্রিক। এটির জন্য সাকিব একটি অসাধারণ ক্যাচ নেয়।]

ফিল্ডিং:

টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদশের হয়ে উইকেট কিপিং করেছে মোট আটজন। এর মধ্যে খালেদ মাসুদ, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস ছাড়া কেউ ই জেনুইন কিপার নন। সময়ে একটু কাজ করে দিয়েছে। এই যা।

সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল খালেদ মাসুদের। ৮৭ টি। যার মাঝে ক্যাচ নিয়েছেন - ৭৮ টি ও স্ট্যাম্পিং ৯ টি।
কাছাকাছিই আছে মুশফিকুর রহিম। তার সংখ্যা ৮৬ টি। যার মাঝে ক্যাচ - ৭৫ ও স্ট্যাম্পিং - ১১টি।

আর এমনিতে উইকেট কিপার ব্যতিত হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৮টি।
কাছাকাছি রয়েছে আশরাফুল ২৫টি। [যার মাঝে একটি ঐতিহাসিক কারণ ঐটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের শেষ পথের কাঁটা তুলে নেওয়ার ক্যাচ। এরপরই শুরু হয় উল্লাসের।]

কিছু ছবিঃ


প্রথম টেস্ট শুরুর আগের ছবি।


প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর আমিনুল ইসলাম বুলবুল


সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুল


প্রথম টেস্ট জয়ের পর


প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়র


টেস্টের প্রথম হ্যাট্রিকের পর অলক কাপালি



একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাট্রিক করা একমাত্র ক্রিকেটার সোহাগ গাজি


বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ১০০ উইকেট নেওয়া স্পিনার মোহাম্মদ রফিক



দেশের হয়ে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরির পর মুশফিক



টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা তামিম ইকবাল ও সবচেয়ে উইকেট পাওয়া সাকিব আল হাসান


দশে নেমে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান আবুল হাসান রাজু


হাসিবুল-মঞ্জু-দুর্জয়দের দ্বারা শুরু করা সাদা পোশাকের পেস বোলিং ইউনিটের নতুন নেতা মুস্তাফিজুর রহমান


কয়েকটা ভিডিও আছে। বেশির ভাগই সরিয়ে নিয়েছে। আমার কাছে ছিল - কিন্তু এখন আবার আপ্লোড হচ্ছে না।
ভিডিও লিঙ্কঃ

১. বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস
২. প্রথম টেস্টের কিয়দংশ
৩. মুশফিক ও আশরাফুলের গলের সেই ঐতিহাসিক পার্টনারশীপ
৪. অলক কাপালির হ্যাট্রিক
৫. সোহাগ গাজীর হ্যাট্রিক
৬. মুশফিকের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরী
৭. তামিমের ডাবল সেঞ্চুরী
৮. মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই দক্ষিন আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেওয়া

এখন সব সংখ্যার পর দুইভাবে ভাবা যায়।
৯৩ টেস্টে মাত্র ৭ জয়। খুবই খারাপ।
আবার, ১৫ বছরে মাত্র ৯৩ টেস্ট। এই সংখ্যাও কম।
অনেক অধিনায়কই ৩০ এর কম ম্যাচে অধিয়ানকত্ব করে এর থেকে বেশি ম্যাচে দলকে জিতিয়েছে। অনেকে তো একাই দলকে এর থেকে বেশি জিতিয়েছে।
আবার, কুমার সাঙ্গাকারা, মাইকেল ক্লার্কের মত খেলোয়াড়রা - বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের পর খেলা শুরু করেও ১০০ এর বেশি ম্যাচ খেলেছে। সেইখানে এখনও আমাদের ১০০ ই হয়নি। আগামী ১ বছরেও সংখ্যাটা ১০০ ছুঁয়ে দেখবে না।

দায়টা উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের। আমাদের বোর্ড খেলা আদায় করতে পারেনা। প্রথম দিকে বছরে ৮-৯ টি টেস্ট পেত। সেটা ঐ সময়ের অনুযায়ী ঠিকই ছিল। এরপর থেকে যখনই একটু একটু ভাল করা শুরু করলো - হারছিলো কিন্তু ফাইট করেই হারতো, তখন থেকে সংখ্যাটা কমে গেছে। বছরে গড়ে ম্যাচের সংখ্যা, মাত্র ৬। এভাবে তো টেস্টের মত অভিজাত আঙ্গিনায় নিজেদের প্রমাণ করা যাবে না।
আর, ১৫ বছরের প্রতি বছরই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে - ঘরোয়া পর্যায়ে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ বাড়ানো হবে, একটা নিয়মের মাঝে আসা হবে। কিন্তু সেইটা প্রতিবারই প্রতিশ্রুতিই থাকে। এইবারও একই ঘটনা ঘটবে। আমাদের খেলোয়াররা যদি বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে অভ্যস্ত না ই থাকে তাহলে টেস্টে কিভাবে সফল হবে? প্রতি বছর ফার্স্টক্লাস ম্যাচই পায় মাত্র ১০-১২ টি। এতে করে উন্নতিটা কিভাবে হবে? অন্তত ঘরোয়া ভাবে সংখ্যাটা তো ২০-২৫ এর উন্নীত হওয়া দরকার। তাহলেই তো টেস্টে ভাল খেলবে। পারফর্মার আরো বাড়বে, জয়ের সংখ্যাও বাড়বে।
আর তাতে টেস্টের সংখ্যাও প্রতি বছর বেড়ে ১২-১৩ তে চলে যাবে।

প্রথম ১৫ বছর চলে গেল। ২৫ বছরের মাথায় যে এই পরিসংখ্যানটা বের করবে তার জন্য খুব বেশি কষ্ট করা লাগে - এমনই এক পরিসংখ্যান খেলোয়াররা রেখে যাবে - এই আশাই করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×