আমার গল্পের নায়ক দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক পশ্চাদ সারির ছাত্র। উহার সেমিস্টার ফাইনাল নামক বিভীষিকা সমাগত। ইহা লইয়া উহার মষ্তিকে ঘন্টায় 300 হইতে 400 km বেগে ঝড় চলিতেছে। পুরনো দিনের বহু লাঞ্চনা গঞ্জনার কথা মনে হইতে লাগিল, এইবার সে পণ করিয়া ধনুক ভাঙ্গিতে প্রস্তুত, সকল কিছুর সদুত্তর একখানা রেজাল্ট দিয়া দিবে। সে যে একখানা জিনিস ইহা প্রমান করিবেই করিবে। এইবার "মন্ত্রের সাধন অথবা শরীরের পতন "। আবেগের অত্যধিক তাড়নায় চোয়াল শক্ত হইয়া থাকে, ভাত চর্বণ কিংবা প্রেশণ দায় হইয়া পরে। .....এমন করিয়া কয়েক খানা দিবা রাত্রি অতিক্রান্ত হইয়া গেল .........
এই বার সে স্থীর করিল পড়িতে বসিবে। বসিল বটে কিন্তু টেবিল খানা বেজায় অগোছালো বলিয়া তাহার নিকট ঠেকিল। ব্যাস সে টেবিলের গোষ্ঠী উদ্ধারে লাগিয়া গেল। অতঃপর এহেন সুন্দর টেবিল তাহার শ্রী হীন আস্তাবল রুপ রুমে বেজায় বেমানান ঠেকিল ব্যস এবার রুমের গোষ্ঠী উদ্ধারে লাগিয়া দিন খানার ইতি টানিল।
এইবার হৃষ্ট চিত্তে চেয়ারে বসিয়া বহি খোলা মাত্র উহার মনে হইল গায়ের জামাখানি আজি একমাস যাবৎ জলস্পর্শ না করার দরুন গন্ধ উদগীরণ করিতেছে। এমনকি হঠাৎ জাঙ্গিয়া খানার কথা মনে পড়িতেই গা গুলাইয়া উঠিল। এইবার কাপড়ের সৎকারে লাগিয়া গেল। এইবার অনেক সময় নষ্ট হইয়াছে ভাবিয়া নিজেকে গালি দিয়া সে পড়িতে বসিল। দুপাতা পড়িতেই উহার ঘাম ছুটিয়া গেল। একটু বিনোদনের আসায় এইবার ফেইসবুকের কথা মনে পড়িল ব্যাস একাডেমিক বুক লাটে চড়িল। ...........
এমন করিয়া উহার পরীক্ষার পুর্ব রাত্রীতে নিজেকে ফাসির আসামি আর পরীক্ষার হল ফাসি কাষ্ঠে এবং শিক্ষকদিগকে জল্লাদ মনে হইতে লাগিল। .........
সারা রাত্রি পরিয়া অবশেষে সে ভাবিতে লাগিল ইস আর একটু সময় পাইলেই ......!!!!
পরীক্ষার হলে নিজেকে পৃথিবীর সবচাইতে অসহায় ব্যক্তি হিসেবে আবিষ্কার করিল। কোন মতে সময় পার করিয়া কলম ভাঙ্গিয়া লেখিয়া খাতা জমা দিয়া সে আবারো পণ করিল, "এইবার যাহা হইয়াছে তাহা নেহায়েতই কপালের দোষ, আগামীবার এই ভুলের বদলা লইবে "।
বলা বাহুল্য, তাহার এই আগামীবার টি বিরোধীদলের আগামী ঈদের পরের আন্দোলনের মত, যাহা আর কোন দিনও হইয়া ওঠে না!.........!!!
এইভাবে উহার পরীক্ষা চক্র চলিতে থাকে। .....
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০