somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগের ভাষা বনাম কালের কন্ঠের ভাসা ভাসা রিপোর্ট

১৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৫ ই জুনে কালের কন্ঠের এই খবর টা অনেকেই দেখেছেন ঃ
যাচ্ছেতাই ভাষা বাংলা ব্লগে
* নিয়ন্ত্রণ বা সঞ্চালন নেই
* বিরূপ প্রভাব তরুণ প্রজন্মে
* দাবি উঠেছে নীতিমালার
সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশনকে পাশ কাটিয়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠছে ব্লগ। অনলাইনে ঘরে বসে মত প্রকাশের সুবিধা থাকায় ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে ব্লগের জনপ্রিয়তা। ইতিমধ্যে দেশে অনেক বাংলা ব্লগ চালু হয়েছে। সেখানে চলছে মননশীলতা ও সৃজনশীলতার মুক্ত চর্চা। তরুণ প্রজন্ম সুযোগ পাচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃজনীশক্তি বিকাশের অবাধ ক্ষেত্র। কিন্তু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্লগ নামের এই জনপ্রিয় মাধ্যমে ধীরে ধীরে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষার প্রয়োগ বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগের ফাঁকে চলছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্লগ ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্মের ওপর।
দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্লগ সাইটেই কার্যত কোনো মডারেটর (সঞ্চালক) নেই। কোনো কোনো ব্লগে মডারেটর টিম থাকলেও তাদের কার্যক্রম তেমন একটা চোখে পড়ে না। এ অবস্থায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিশিষ্টজনদের মন্তব্য, সময় এসেছে সংবাদপত্রের মতো ব্লগের জন্যও নীতিমালা প্রণয়নের। নইলে এই ব্লগ তরুণ প্রজন্মকে বিপথে চালিত করবে। তাঁরা বলছেন, ব্লগিংয়ের মাধ্যমে তারা সাংবাদিকতার ক্ষমতা ভোগ করবে অথচ কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না- এটা হতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের জন বার্জার প্রথম ওয়েবলগ শব্দটি ব্যবহার করেন ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তবে ব্লগ কথাটির জন্ম দেন পিটার মারহোলজ ১৯৯৯ সালে। এখন সারা বিশ্বে ২৫ কোটিরও বেশি ব্লগ রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লগিং শুরু হয়েছে ২০০৫ সালে। দেশে এখন অর্ধশতাধিক ব্লগ সাইট সক্রিয়। এর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত সাইটের মধ্যে রয়েছে সামহোয়্যার ইন ব্লগ, সচলায়তন, আমার ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, মুক্তমনা, শব্দনীড়, পেঁচালী, নির্মাণ ব্লগ, প্রজন্ম ফোরাম প্রভৃতি।
ব্লগগুলোতে চটুল লেখার পাশাপাশি গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়েও লেখা হচ্ছে। থাকছে দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়, সাহিত্য, গবেষণা ও নিরীক্ষাধর্মী লেখা। কিন্তু এরই পাশাপাশি থাকছে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই ভাষায় বিষোদ্গারও। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা এমন সব ভাষা ও গালিগালাজ সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'যারা ব্লগে অশ্লীল ও বিকৃত বাংলা ভাষা ব্যবহার করছে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা শব্দদূষণের মাধ্যমে বাংলা ভাষার ক্ষতি করছে। আমি মনে করি, ব্লগগুলোতে অবশ্যই কার্যকর সঞ্চালন এবং সরকারি একটা নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। ব্লগের ভাষার অপব্যবহারের ফলে তরুণ প্রজন্মের মাঝে এই চর্চা মাদকের আসক্তির মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি খুবই বিপজ্জনক একটি ব্যাপার হতে পারে।'
এ প্রসঙ্গে ব্লগ নির্মাতা, সঞ্চালক, ব্লগারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিনিয়তই বাংলা ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই ব্লগ সঞ্চালকদের উচিত হবে প্রতিটি ব্লগেরই ব্যক্তি আক্রমণ, যুক্তিহীন কুৎসা রটনা ও গালাগালির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রেখে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। তবে তাঁদের কারো কারো অভিমত, কিম্ভূত ভাষা ও অপশব্দের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই।
বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় ব্লগ সাইট সামহোয়্যার ইন ব্লগ ডটনেট। এর প্রধান পরিচালক জানা সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যক্তি আক্রমণ, কদর্য ভাষা ও অশ্লীলতা যেকোনো পরিবেশ বা পরিমণ্ডলে ব্যক্তির সার্বিক স্বাধীনতা হরণ করে। বিষয়টি দুঃখজনক এবং তা অবশ্যই সুস্থ ব্লগিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বাংলা ভাষার বিকৃত ব্যবহারও দুঃখজনকভাবে লক্ষণীয়। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সুষ্ঠু নীতিমালার আওতায় এই অপচর্চা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যুক্তি আনে চেতনা, চেতনা আনে সমাজ পরিবর্তন- এই স্লোগানের চিন্তাশীল ব্লগ সাইট মুক্তমনা ডটকম। এর নির্মাতা জর্জিয়া প্রবাসী অভিজিৎ রায় এক ই-মেইল বার্তায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ব্লগের জন্য একটা নীতিমালা আবশ্যক। কিন্তু সেটা যেন রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো কিছুতে পরিণত না হয়। ব্লগ এখনো উন্মুক্ত প্লাটফর্ম বলেই তা রাজনৈতিক, ধর্মীয় কিংবা যেকোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ধারাটা বজায় রাখতে হবে।' তিনি বলেন, 'অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ পেয়ে ব্লগগুলো অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ লেখার ভাগাড়ে পরিণত হোক, তা কাম্য নয়। তবে ব্লগ সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্সে পরিণত হোক, আমরা তাও চাই না।'
সঞ্চালনবিহীন একমাত্র বাংলা ব্লগ সাইট আমার ব্লগ ডটকমও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। এই সাইটের নির্মাতা লন্ডন প্রবাসী সুশান্ত দাশগুপ্ত। ই-মেইল বার্তায় তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলা ব্লগ একটি উদীয়মান মিডিয়া, যেখানে যেকোনো রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্যটা নির্দ্বিধায় প্রকাশ করা যায়। তাই বলে ব্লগে অশ্লীলতা, কুৎসিত ও কদর্য ভাষার ব্যবহারে কাউকে উৎসাহী করার সুযোগ নেই। ব্লগের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দরকার।'
উন্মোচন ডটনেটের অন্যতম উদ্যোক্তা আবু মুস্তাফিজ বলেন, 'ব্যক্তি আক্রমণ বা অশ্লীলতা করে কোনো ব্লগার কখনো বাহবা পেতে পারেন না। বরং অতি জনপ্রিয় ব্লগারও এসব করে তুমুল অজনপ্রিয় হয়েছেন। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং ব্লগে অশ্লীলতা, কদর্য ভাষা ব্যবহার বা ব্যক্তি আক্রমণের সুযোগ রয়েছে বলেই আমরা চট করে বাজে লোকটাকে পাকড়াও করতে পারি।'
ব্লগার ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অমি রহমান পিয়াল বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি ব্লগেই ব্যক্তি আক্রমণ ও অশ্লীল গালাগালির বিরুদ্ধে স্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এর পরও এমনটি ঘটতে পারে কেবল সংশ্লিষ্ট ব্লগের সঞ্চালন দুর্বলতার কারণে। তবে তিনি বলেন, "বিকৃত বাংলা বলে কিছু নেই। প্রমিত বাংলায় ব্লগ লিখতে হবে, এমন দিব্যি কেউ দেয়নি। অনেক সময় আমি নিজেও কথ্য ভাষায় ব্লগ লিখি। আবার অনেক সময় কিছু ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে ভুল বানান বা অপশব্দের প্রয়োগ হয়। 'মুঞ্চায়' (মন চায়) ধরনের কথাগুলো ব্লগে স্রেফ মজা করে ব্যবহার করা হয়। সিরিয়াস ব্লগ পোস্টে কখনো এ ধরনের বাংলা ব্যবহৃত হয় না।"
গবেষক ও লেখক রণোদীপম বসু মুক্তমনা ডটকম, সচলায়তন ডটকম, উন্মোচন ডটনেট ও ব্লগডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটনেটে নিয়মিত ব্লগিং করেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'যারা বক্তব্য বাদ দিয়ে বক্তাকে আক্রমণে এগিয়ে যায়, তারা আসলে পেশিবাজ। তাদের অবজ্ঞা ও বর্জন করাটাই যুক্তিসংগত। এ ক্ষেত্রে ব্লগার ও সংশ্লিষ্ট সঞ্চালকদের সক্রিয় হওয়া উচিত।'
আদিবাসীদের প্রথম বাংলা ব্লগ সাইট আদিবাসী বাংলা ব্লগ- ডাব্লিউফোরস্টাডি ডটকমের নির্মাতা ও প্রধান সঞ্চালক সমর মাইকেল সরেন বলেন, 'ব্লগিং যেখানে প্রগতিশীলদের একটি প্লাটফর্ম, সেখানে অশ্লীলতা কখনোই কাম্য নয়। আদিবাসী বাংলা ব্লগে তাই অশ্লীলতাবিবর্জিত মন্তব্য এবং পোস্ট প্রকাশ করা হয়।'
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বলেন, 'কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে বা অন্যের সম্মানহানি করলে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিটিআরসিতে অভিযোগ করতে পারে। তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সাইটটির হোস্টিং বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। দেশের বাইরে থেকে সাইটটি পরিচালিত হলেও এ দেশে এর প্রদর্শন বন্ধ করা যায়।'
এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের, আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার, নাট্যকার নজরুল ইসলাম প্রমুখ ব্লগে অশ্লীলতার চর্চা ও কুৎসিত ব্যক্তি আক্রমণে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মত প্রকাশ করে বলেন, এমন অবস্থা চলতে পারে না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি নীতিমালা থাকলে ভালো হয়। তবে অশ্লীল ভাষার ব্যবহার পুরোপুরি রোধে দরকার ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্ধশতাধিক সক্রিয় বাংলা ব্লগ সাইটের কয়েক লাখ ব্লগ লেখক ও পাঠক রয়েছেন। এই ব্লগ সাইটগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছে সৃষ্টিশীল ভাবনা। এর লেখক ও পাঠকের একটি বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম ও প্রবাসীরা। আবার অনেকে নিবন্ধিত না হয়েও নীরবে ব্লগ পড়েন।
চটুল বা হালকা লেখার পাশাপাশি বাংলা ব্লগগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার ইতিহাস, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার, সমসাময়িক ঘটনাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রচুর তথ্যবহুল লেখা হচ্ছে। পাশাপাশি থাকছে গল্প, ধারাবাহিক উপন্যাস, কবিতা, স্মৃতিকথা, ভ্রমণসহ নানা সৃজনশীল বিষয়ে ভাবনা ও মত প্রকাশ। এসব ব্লগপোস্টে পাঠকরা সরাসরি নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন, প্রাণবন্ত বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরাও নানা তথ্য, ছবি, ভিডিও বা অডিও ক্লিপিং যোগ করে ব্লগটিকে সমৃদ্ধ করছেন। এভাবে একেকটি লেখা জোগান দিচ্ছে অনেক রকম ভাবনা ও সম্ভাবনার।
এর পাশাপাশি যে অশ্লীল ও অরুচিকর ভাষার ব্যবহার চলছে, এর নমুনা সংগত কারণেই এ প্রতিবেদনে আনা গেল না। তবে ভাষার বিকৃত ব্যবহারের একটি নমুনা এখানে তুলে ধরা হলো। একটি বাংলা ব্লগে একটি মজার ফটো-ব্লগ পোস্ট দেখে একজন পাঠক মন্তব্যের ঘরে জানতে চাইলেন, 'এসব ফটুক পাইলেন কৈ? জানতে মঞ্চায়!'
পোস্টদাতার উত্তর : খোমাখাতা+গুগলাইয়া।
মন্তব্যদাতা : হাহামগে।
পোস্টদাতা : ডিজিএম!
মন্তব্যদাতা : আরো পোস্টান!
পোস্টদাতা : দিমুনে, অহন দৌড়ের উর্প্রে আছি।
যাদের অভিজ্ঞতা নেই, তাদের জন্য কথোপকথনটি 'অনুবাদ' করলে অনেকটা এ রকম দাঁড়ায়-
মন্তব্যদাতা : এসব ছবি কোথায় পেয়েছেন? জানতে মন চায়।
পোস্টদাতা : ফেসবুক ও গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে।
মন্তব্যদাতা : হাসতে হাসতে মরে গেলাম।
পোস্টদাতা : দূরে গিয়ে মর!
মন্তব্যদাতা : দয়া করে এ রকম আরো পোস্ট দিন।
পোস্টদাতা : পরে দেব, এখন খুব ব্যস্ত আছি।
---দৈনিক কালের কন্ঠ, ১৫ই জুন, ২০১২।


আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ব্লগ তেমন একটা লিখি না; তবে পড়ি ও কমেন্ট করি নিয়মিত। আমার কাছে ব্লগ মানে একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমি আমার চিন্তা ধারা অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারব, অন্যের মতামত জানতে পারব। এখানে সবাই স্বাধীন। ব্লগ কে পছন্দ করার কারন এটাই। আমি টিভি তে যেতে পারবো না, রেডিও তে যেতে পারব না—কারণ আমার টাকা নেই। সুতরাং আমাকে ব্লগেই থাকতে হবে।
ব্লগের দোষ টা কোথায়?
ব্লগের অনেক “দোষ”। যেমনঃ
১. ব্লগে অনেক অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হয়
২. ব্লগে অনেক নায্য কথা বলা হয়
আর সবচেয়ে বড় দোষ হলঃ ব্লগে স্বাধীন ভাষা ব্যাবহার হয়।
ভাষা নিয়ে এত সমস্যা করার মানে কি? ঐ রিপোর্টার কি ভাষার ধারক বাহক? আমি তো মনে করি এফএম এ যে ভাষা ব্যাবহার হয় তার চাইতে ব্লগের ভাষা অনেক অনেক শুদ্ধ।
রিপোর্টার উপরের কথোপকথন কে বিকৃত বলে আখ্যায়িত করলেন। ভাষার নিয়মই নাকি পরিবর্তন হওয়া। কারো কাছে যদি ঐ পরিবর্তন/বিকৃতি ই একটু ভালো লাগার কারণ হয় তবে ক্ষতি কি?
আমাদের কে কি এখন থেকে কিতাবি ভাষা ব্যাবহার করতে হবে? রম্য রচনার মুলেই থাকে অপরকে আনন্দ দেয়া। রম্য রচনা যদি গুরুগম্ভীরই হয় তবে রস কি মাটি থেকে যোগান দেবেন লেখক??
হাজার হাজার মানুষ আঞ্চলিক ভাষা ইউজ করেন। তাতে সমস্যা হয় না। অথচ কোন লেখক/কমেন্ট কারী নিজের রসবোধ থেকে নিজে আনন্দ পাবার জন্য এবং অপরকে আনন্দ দেবার জন্য নিজস্ব ভাষারীতি ব্যাবহার করলেই ভাষা গণধর্ষিত হয়!! হাউ ফানি!
এফএমের ভাষা নিয়ে কথা বলতেই পারি, কারন ওরা কর্পোরেট। অদের উদ্দেশ্য টাকা কামাই করা। ব্লগিংএর উদ্দেশ্য কিন্তু তা নয়।
বিশিষ্ট জনরা আরো বলেছেন, ব্লগিংয়ের মাধ্যমে তারা সাংবাদিকতার ক্ষমতা ভোগ করবে অথচ কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না- এটা হতে পারে না। মানে কি?? কোন খবর অন্যকে জানাতে হলে তাকে সাংবাদিক হতে হবে এমন কথা চিন্তা করার সাহস হয় কিভাবে?
যাই হোক, আমার দেখা মতে প. আলু আর বালে* কন্ঠ কুত্তার মত মাংস নিয়ে কামড়া কামড়ি করে। এসব হলুদ জোচ্চোর সাংবাদিকতার চাইতে ব্লগকে অনেক উপরে রাখব। কর্পোরেট চুতি* দের গদাম।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×