somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরিচ্ছন্ন রাজধানী থিম্পু - ছবি ব্লগ

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


থিম্পু ভুটানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেশটির রাজধানী শহর। শহরটি হিমালয় পর্বতমালার একটি উঁচু উপত্যকায় অবস্থিত। থিম্পু শহরটি আশেপাশের উপত্যকা এলাকায় উৎপাদিত কৃষি দ্রব্যের একটি বাজার কেন্দ্র। এখানে খাবার ও কাঠ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। থিম্পু দেশের অন্যান্য অংশ এবং দক্ষিণে ভারতের সাথে একটি মহাসড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত। তবে শহরটির সাথে বিমান যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। থিম্পুতে ভুটানের রাজপ্রাসাদ এবং দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধমন্দিরগুলির একটি অবস্থিত। অতীতে থিম্পু দেশটির শীতকালীন রাজধানী ছিল (পুনাখা ছিল গ্রীষ্মকালীন রাজধানী)। ১৯৬২ সালে শহরটিকে দেশের স্থায়ী প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত করা হয়।

থিম্পুতে দুইদিন সারাদিন ঘুরেছি। ছবির মতো সুন্দর ভুটানের রাজধানীর কিছু ছবি নিয়েই আমার আজকের ছবি ব্লগ।


(২) থিম্পুতে ঢোকার আগেই এই তোরণ সবাইকে স্বাগত জানায়।


(৩/৪) ক্লক টাওয়ার বা টাইম স্কয়ার, এটা থিম্পুর প্রাণকেন্দ্র। বিভিন্ন উৎসবে এখানে অনুষ্ঠানাদি হয়।




(৫) থিম্পুর চ্যাংলিমিথ্যাং স্টেডিয়াম।


(৬/৭) পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে উঁচু নিচু রাস্তাগুলো অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন।




(৮) এটা থিম্পুর একমাত্র বাসষ্টপেজ।


(৯/১০) পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত বিশালাকার এই বৌদ্ধ মূর্তিটি থিম্পুর প্রায় সব স্থান থেকেই দেখা যায়।।




(১১) বিশালাকার বৌদ্ধ মূর্তিটি যে পাহাড়ে স্থাপিত ওখানে থেকে থিম্পু শহরটার সব কিছু ছবির মতো দেখা যায়। চুড়া থেকে পুরা থিম্পু শহরটিকে অপূর্ব লাগে, শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে থিম্পু নদী। চারি দিকে দাঁড়িয়ে আছে ঘন সবুজ রঙের পাহাড়, তাদের মনে হয় এই শহরটির অতন্দ্র প্রহরী।


(১২) পাহাড়ের উপড় দাঁড়িয়ে দেখা রাতের থিম্পু।


(১৩) থিম্পুর একটি সিনেমা হল।


(১৪/১৫) টাইম স্কয়ারে কবুতরকে খাবার দিচ্ছেন একজন মহিলা, আর হাজারো কবুতর উড়ে আসছে সেই কাবার খেতে।




(১৬) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কোন ধর্মগুরু গাড়িতে করে আসছিলো আর রাস্তার পাশে শত শত লোক দাঁড়িয়ে ওনার জন্য অপেক্ষা করছিল।


(১৭/১৮) একটি বাগান থেকে তোলা কিছু ফুল ও একটি পপি ফল।




(১৯) স্বচ্ছ জলধারার (থিম্পু চু) থিম্পুর পাথুরে নদী।


(২০) থিম্পুর একমাত্র ট্রাফিক পুলিশ। থিম্পুতে ট্রাফিক পুলিশ আদৌ দরকার আছে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে যে, আমরা রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, কোন ট্যাক্সি ড্রাইভার তা বুঝতে পারলে গাড়ি দাড় করিয়ে আমাদেরকে আগে যেতে দিয়েছে।


(২১) থিম্পুর আর্চারি গ্রাউন্ড। তীরন্দাজদের ১৫০/২০০ মিটার দূরের নিশানা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আর্চারি ভুটানের জাতীয় খেলা।


(২২) অনেক তো ঘুরা হল, এবার একটু জিরিয়ে নেই :D
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
৩২টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×