বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হিজাব নিষিদ্ধের নোটিশটি দেখে খুবই মর্মাহত হলাম। ৯০ শতাংশের অধিক মুসলমানের এদেশে শরীয়াতের একটি ফরজ বিধান নিষিদ্ধ খুবই ধৃষ্টতার সামিল। যারা জেনে বুঝে অথবা অজ্ঞতাবশঃত এই কাজ করেছে তাদের জন্য আল্লাহর হেদায়েত কামনা করছি। অনতিবিলম্বে এই বেআইনি নোটিশ বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্বাধীনতার এতো বছর পর হঠাৎ করে কেন অতি উৎসায়ী সেনা কর্তৃপক্ষ এই হঠকারী চিন্তা করলো তা অবশ্যই খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। আর কেনইবা এমন একটি সময়কে বেছে নেয়া হলো যখন দেশ কঠিন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে কি তুরস্কের সাবেক সেনাদের ভুত আমাদের সেনাবাহিনীর উপর সওয়ার হয়েছে? যদি তাই হয় তবে জেনে রাখুন তুরষ্কের জনগন সেই স্বৈর সেনাশাসকদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে ।
আমরা স্বভাবতই ধর্মভীরু, পর্দা আমাদের এদেশের নারীদের অলংকার। এখনও আমাদের মা বোনেরা বাড়ি থেকে কোথাও বের হলে বোরখা পরা ছাড়া বের হননা। তারা শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও তাদের প্রভুর ডাকে সাড়া দেয়। আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থা এখনও টিকে আছে আমাদের মা বোনদের ধর্মীয় অনুভূতি মনে জাগরুক রাখার কারনে। আমাদের মা বোনদের স্বেচ্চায় পর্দার বিধান পালনে বাধা সৃষ্টি করলে এদেশের তাওহিদী জনতা নিশ্চয়ই বসে থাকবেনা, তোমাদের আদর্শকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিবে তারা।
আপনাদের স্ত্রী কণ্যা উলঙ্গ হয়ে বেড়াক, নর্তকীর মতো জীবন যাপন করুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। তারা ধর্ষিত হলে আমরা নিন্দা জানাবো, ইভটিজিং এর স্বীকার হলে আমরা প্রতিবাদ জানাবো কিন্তু আমরা তাদেরকে শরীয়তের বিধান পালন করতে বাধ্য করতে যাবো না। নারী স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নোংরামি বেহায়াপনা করা যায় কিন্তু একজনের মেীলিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়া না। আশাকরি আপনারা সেটা করতে যাবেন না, এটা আপনাদের তথাকথিত বাকস্বাধীনতার আদর্শের সাথে বেমানান।
তাই বলছি আপনাদের আদর্শ আপনাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন, অন্যকে আপনার নোংরামীর আদর্শ পালনে বাধ্য করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। এতে হয়তো পিঠ রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে দেশে থাকার পাসপোর্ট। নয়তো তসলিমা নাসরিন, দাউদ ইবরাহীমদের ভাগ্য বরণ করতে হবে।
ইতিহাস কিন্তু সে কথাই বলে.....