somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

খালেদ সাইফুল্লা
কবে আসবে তুমি ভালোবাসা...আমারও পেতে ইচ্ছে করে তোমার স্পর্শ..ইচ্ছে হয় ভোরের শিশির হয়ে হারিয়ে যাই...মনের জমে থাকা কষ্টগুলো তোমায় বলতে ইচ্ছে হয়...ইচ্ছে হয় তোমার হাতটি ধরে অজানা কে পাড়ি দিতে,বলনা কবে আসবে??

ভরসা পাচ্ছিলাম না (রম্য)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কলিগে বিয়েতে গেলাম, একটু বেশিই ফিট-ফাট হয়ে, আমারও যদি একটা
গতি-তটি হয়ে যায়, কারণ আমিও অবিবাহিত।
গিফট বক্স আর পকেটে কয়েকটা প্রাইজ নিলাম গোপনে। গিফট বক্সটা রিচিপশনিষ্টে জমা দিলাম আর পকেটের গুলা সবার
অগোচরে কলিগের পকেটে ঢুকিয়ে দিলাম।

কলিগ : (হেসে বললো) আপনি আর ঠিক হলেন না।
আমি : কলিগ হয়ে যদি এতটুকু না বুঝি, তবে হবেনা।
কলিগ : আসছেন ভালই হলো, একা একা ভরসা পাচ্ছিলাম না।
আমি : আগে বলবেন না, আমিতো প্রস্তুতি নিয়ে আসি নাই।
কলিগ : প্রস্তুতি মানে?
আমি : আমিও শেরওয়ানী-পাগড়ী পরে আসতাম।
কলিগ : (মুচকি হেসে) আপনার লাগবেনা।
আমি : ঠিক আছে, তবে আপনাকে যে পেকেটগুলা দিয়েছি তার থেকে
দুই প্যাকেট আমারে দেন।
কলিগ : কেন?
আমি : লাগবে, এক বড় বলেছে এসময় নাকি এগুলা লাগে।
কলিগ : (হাসতে হাসতে) দু'প্যকেট দিয়ে বললো, সাধান কেউ
যেন না দেখে।
তার পর কনের বাড়ি গেলাম সবে। গেটে যেতেই মেয়েরা লাল-নীল হরেক রকম
সরবদ নিয়ে হাজির। লোভ সামলা পারছিলাম না, সরবদ দেখে নয় সরবদ
ওয়ালিদের দেখে। বর(কলিগ) সরবদ খাচ্ছিলোনা, আমি ভাবলাম যে, সে
বোধয় ভরসা পাচ্ছে না। তাই এক গ্লাস হাতে নিলাম, বড়ও আমার দিখে
চেয়ে এক গ্লাস হাতে নিলো, ভাবলাম ভরসা পেল সে। আমি তো এক
ঢুকে শেষ (ওমাগো গলা জ্ববলে গেলোগো)। চিৎকার করিনি লজ্জায়, এত
সুন্দর মেয়েদের সামনে প্রেস্টিজ পানচার করলাম না। না হয় চিৎকার কারে
কয় বুঝাইয়া দিতাম তাগোরে। ভাবলাম বিয়ের সরবদ বুঝি এভাবেই বানায়।
যাই হোক কলিগকেতো বাচাইয়া দিলাম। দুই গ্লাস খাইলে বিয়েতো পরে
নিশ্চিত হাসপাতালের কাম লাগতো। মনে মনে ভাবলাম সবকিছুর ভাগ
যখন পামু, নাহয় কষ্ট করলাম। দুই গ্লাস সরবদ খাইয়ে দাবি ৫০, ভাবলাম
৫০ টাকা যাক মরিচের কেজিও ৫০টাকার বেশি। পরে ২০ নির্ধারিত হলো।
আমিতো আরো অবাক, সুন্দরীরা এত ভাল কেন। ভাবলাম আমি ১০ টাকা
শেয়ার করবো, পকেটে হাতও দিলাম। পরে টাকা দিলো বি....শ হাজার।
খাইছে আমারে দুই গ্লাস মরিচের সরবদের দাম বিশ হাজার টাকা। তাও
ভালো করে বানাতে পারেনাই হলুদ-মরিচ অভার হইছে। বিশের ভয়ে
বিয়ের প্রতি অনীহা পয়দা হইলো।
অবশেষে বিয়ের পিড়িঁ নমে শুধু, আসলে চকির উপরে সাজানো ঘড়।
বরকে কনের একপাশে বসিয়ে দেওয়া হলো, আমিও বসে পরলাম
কনের অপর পাশে। মনে হলো সবাই অবাক, বড় বড় চোখে আমাকে
যেন কি বলতে চাইছে। আমি কারও কথা শুনতে রাজি না, কারণ
কলিগ আগেই বলেছে একা একা ভরসা পাচ্ছে না।
কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো আরাম্ব করেন.................... অবশেষে

কাজী : (কনেকে) বল মা কবুল
কনে : (চুপ)......
কাজী : বল মা কবুল
কনে : ক.......
কাজী : জোড়ে বল মা কবুল
কনে : কবুল।
সবাই অনেক খুশি, আমিও। কেন তা জানিনা।
কাজী : ( বরকে) জামাই বাবাজি বল কবুল।
বর : (হুট করেই) কবুল।

কলিগকে তো ভরসা দিতে হবে, তাই সাথে সাথে আমিও বললাম।
আমি যা বললাম তা শুনে সাবার খুশির বাধ ভেঙ্গেছে, অনেকেতো
জোড়ে হাসছে এমন কি বর-কনে সহ। ভাবলাম বিয়েটা বোধয়
অপূর্ণ ছিলো আমি বলাতে বুঝি পূর্ণ হল।
পরে বুঝলাম কথাটা তা না। আমার মুখ দিয়া যেটা সজোড়ে বের
হয়া গেছে সে সব্দটা হচ্ছে

বকুল....

কেমনে বের হইলো বুঝলামনা।

কনে নিয়া ফিরলাম। আমি রইলাম, কলিগকে ভরসা দিতে হবে না.?বাসর তো সাঁজানো আছে।
থাকবো তিন জনে কত আশা মনে মনে, কলিগকে ভরসা তো দিতে হবে।
রাতে খাওয়ার পরে কলগ নিয়ে গিয়ে এক রোমে,

কলিগ : আপনার বিচানা এই রোম, শুয়ে পরুন
আমি : (হতবাক হয়ে) কেন বাসর ঘর?
কলিগ : সেটা সাজানো আছে।
আমি : আপনি একা একা ভরসা পাবেন.?
কলিগ : একন আর একা নইতো, বউ আছে না.?
আমি : ও.. তাই.?
কলিগ : শুয়ে পরেন, আমি যাই।

এবার বুঝেছি কষ্টের ভাগ পাওয় যায় কিন্তু সুখের ভাগ পাওয়া যায় না।
আসলে সব কিছু যে ভাগ হয়না তা হারে হারে টের পাচ্ছি।
এবার আমি ভরসা হারিয়ে ফেলছি। পকেটের প্যাকেটগুলা বুঝি আর কাজে
লাগল না। একবার ভাবলাম যাই বাসর ঘরে কলিগকে দিয়ে আসি আবার
যে ঘরে আমার থাকতে দিলোনা আমি যাব কোন দঃখে।
কলিগের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে, আসলে ভরসা পাচ্ছে নাকিন পাচ্ছেনা।
নিজের চিন্তায় আসি, প্যাকেটগুলি ভাবলাম জানালা দিয়ে ফেলে দেই,
পকেটে হাত দিয়েও পারলাম না।
কারণ
ভরসা পাচ্ছিলাম না
পকেটে রাখলাম কিন্তু পারলাম না।
কারণ ভরসা পাচ্ছিলাম না।
পকেটেই রাখলাম কিন্তু সারারাত ঘুমাতে পারিনি ভয়ে কেউ যদি পকেটে
হাত মারে।

ভরসা পাচ্ছিলাম না।
আমার মৃত্যু নেই কারণ আমি মানুষ।
আল্লাহ মানুষকে অমর বানিয়েছেন তবে এ দেহের মৃত্যু হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×