somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে....মনে মনে....

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে .........
ফুলে ফলে, ডালে ডালে পাতায় পাতায় রে..........
আড়ালে আড়ালে কোনে কোনে ..............


ঠিক তাই! বসন্তের ঝিরিঝিরি হাওয়ায় দোদুল্যমান ফুলে-ফলে, বনে-প্রান্তরে যেমনি লেগেছে বসন্ত হাওয়া, রঙ লেগেছে প্রতিটি সবুজ পাতায়, তেমনি বুঝি আজ রঙ লেগেছে আমার মনের আনাচে কানাচে, প্রতিটি কোনে কোনে।আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তাই বুঝি মন গেয়ে চলে গান .....
ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে

আজ ফাগুনের প্রথম দিন। মনের মাঝে গুন গুনিয়ে ওঠে কতশত গান! এক অকারণ ভালো লাগায় ভরে ওঠে মন! ইচ্ছে করে এই বাসন্তী হাওয়ায় মন পবনের নাও ভাসিয়ে ভেসে যাই, হারিয়ে যাই দূর অজানায় সকল বাঁধন ছিন্ন করে। বাঁধন খুলি আজ সকল বন্ধনের। মন ভেসে যাক যেথায়
খুশী সেথায়।
ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
আমার বাঁধন ছেড়া প্রান আমার ........


Click This Link

টিভিটা অন করতেই সাদী মোহাম্মদ আর রেজোয়ানা চৌধুরীর কন্ঠ গাইছে কোন বিরহিনীর বাণী! এত সুন্দর একটা ভোর! মন ভালো করে দেওয়া কিছু সময়, কিছুক্ষন। তবুও মনটা হুহু করে ওঠে সে সঙ্গীতে। কোন সে অজানা বেদনায়? কোন দুখিনীর বাণী ঝরে আজ এই সুখের দিনে!
দুখিনী নারীর নয়নের নীর......
সুখী জনে যেনো দেখিতে না পায় .....
...........
কেনো কাছে আসো ,কেনো ভালোবাসো?
কাছে যে আসিতো, সেতো আসিতে না চায় ...
আহা আজি এ বসন্তে........

হৃদয়ের মাঝে অজানা তন্ত্রীতে চিনচিনে এক ব্যাথা। কোনো দুখিনী নারীর সমব্যাথী হয়ে নাকি সে আমার নিজেরই মনের অচেনা ব্যাথা! এত হাসি, এত আনন্দের দিনেও বুঝি মনে পড়ে যায় কোন সে না পাওয়ার অজানা বেদন!
আহা আজি এ বসন্তে

হলুদ, কমলা শাড়ী আর খোঁপায় ফুলের মালায় যেন সেজেছে পুরো শহর। একটুকরো বসন্ত উঠে এসেছে আজ শহুরে রাস্তায় , অলিতে গলিতে, পুরো শহরটা জুড়ে।আমি খুঁজে পাইনা ফুল, বসন্ত আর রমনীর রমনীয় সৌন্দর্য্যে কোনো পার্থক্য আজ । একেকটি ফুল, একেকজন নারী যেন একেকটির চাইতে, একেক জনের চাইতেও যেন বেশী সুন্দর, মোহনীয়! বাতাসে ছড়িয়ে দেই মনের মাঝে ভেসে আসা সুর গুন গুন!

তুমি কোন কাননের ফুল, কোন গগণের তারা?
তোমায় কোথায় দেখেছি তুমি কোন স্বপনের পারা?
তুমি কোন কাননের ফুল কোন গগনের তারা

পড়ন্ত বিকেলে হলুদ সবুজ গেরুয়া রঙ পান্জাবীতে কিশোর বালক।মনে পড়ে সে কোন জনমে হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা এক বালক বীরের স্মৃতি।
বালক বীরের মতন তুমি করলে বিশ্বজয়
সে কি গো বিস্ময়!
অবাক আমি তরুণ গলার গান শুনে।

সত্যিই সে ছিলো এক বিস্ময়! কিশোরী হৃদয়ের পরম বিস্ময়!
Click This Link


প্রতি বসন্তের আগমনে ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বয় মৃদুবায়। প্রতিটি মনে ও বনে আসে বসন্ত। প্রজাপতিমন হয় চন্চল! তবুও দীর্ঘশ্বাস! চলে যায় বসন্তের দিন। হৃদয় কাতর হারানোর বেদনায়। প্রতি বসন্ত উপহার দেয় আনন্দ সঙ্গীত, অনাবিল পুস্প সৌন্দয্য , হাস্যজ্বল আনন্দময় মুখ আর ভালোবাসার বন্যা ছড়িয়ে দেয় মনে .... প্রকৃতিতে আসে নতুন বসন্ত পুঃনশ্চ ও পূনর্বার। পুরোনোকে ভুলে গাই নতুনের জয়গান। তবুও .....

তবুতো ফাল্গুন রাতে এ গানের বেদনাতে
আঁখি তব ছলো ছলো
এই বহু মানি।
দিয়ে গেনু বসন্তের এই গানখানি।
দিয়ে গেনু বসন্তেরো এই গান খানি



ভালোবাসি....... এই সুরে কাছে দূরে জলেস্থলে বাঁজায় বাঁশী.....


প্রথম বসন্তের ভালোলাগার রেশ পুরো হৃদয় জুড়ে। মন উতাল বসন্ত সমীরণে! এরি মাঝে মনে উঁকি দেয় ভালোবাসা দিনের সঙ্গীত। সব সঙ্গীত হটিয়ে হৃদয়ের অলিন্দে বাজে একটিই সুর। যে সঙ্গীত ছাড়া ভালোবাসা হয়না। ভালোবাসা যায়না। যুগ যুগ ধরে হৃদয়ে ধারণ করি সেই গান।

ভালোবাসি ভালোবাসি
সেই সুরে কাছে দূরে জলেস্থলে বাঁজায় বাঁশী।
ভালোবাসি ভালোবাসি

ভালোবাসার মানুষটিকে বুঝি বলতে ইচ্ছে করে অমর সেই বাণী........
আমারও পরাণ যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো.........
তোমা ছাড়া মোর এ জগতে কেহ নাই ,
কিছু নাই গো ............
আমারো পরানো যাহা চায়

প্রেমিকের চোখে প্রেয়সীই সর্বশ্রেষ্ঠা! অতুলনীয়া। ভ্যুলোক ছাড়িয়ে তার তুলনা বুঝি চলে শুধু ঐ অসীমের সৌন্দর্য্যের সাথেই।
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা
তুমি আমার সাধের সাধনা......
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা

আজও যারা দেখা পায়নি সেই অমূল্য রতন দুস্প্রাপ্য বস্তু ভালোবাসার দেখা। যারা আজও খুঁজে পায়নি সেই অমোঘ প্রশ্নটির উত্তর। তাদের হৃদয়ে এই বিশেষ দিনেও বুঝি প্রশ্ন জাগে।

ভালোবাসা কারে কয়?
ভালোবাসা কারে কয়

আর আমার যে সকল ভাইয়া, আপুনিরা আজও বলতে পারেনি হৃদয়ের কথা তাদের প্রিয় মানুষটির কাছে, তাদেরকে বলছি। আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল শুধাইলো না কেহো। এই গান যারা এত দিন গেয়েছেন । সব দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে তাদের সকলের হৃদয়ের গান হোক আজ...........
কতবারো ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া

সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও প্রথম বসন্তের বাসন্তী শুভেচ্ছা।:)
আর
বৃষ্টিভেজা সকাল ভাইয়ার জন্য এই ভালোবাসা দিনে আমার বিশেষ উপহার.....


একটি বৃষ্টি ভেজা সকাল ও হলুদ পরীর বিয়ে

তোর মেহেদী রাঙ্গা আঙ্গুলগুলি
যেদিন প্রথম ছুয়েছিলো আমায়
ঠিক সেদিন থেকেই তুই অন্যের
তোর চোখের জলের বানে
যেদিন প্রথম ভাসিয়েছিলাম ভেলা
আমার মন পবনের ঢেউ
ঠিক সেদিন হতেই তুই পর ।


মনে পড়ে সেই বৃষ্টি ভেজা সকাল
আমার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে তুই
ভোরের আলোয় তোকে দেখার
অনেকদিনের অপূর্ণ সাধ পূর্ণ তখন
প্রথম ও শেষ সজল সকাল
আমার ভালোবাসার পাখায় ভেসে
তুই বনে গেলি এক হলুদ পরী!


রাত্রী জাগা ক্লান্ত দুচোখ জুড়ে
দেখলাম তোকে শেষবারের মত
দেখলাম তোর পরী হয়ে যাওয়া
চেয়ে দেখা আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া
কিইবা করার ছিলো আর?
আমার ঝলমলে রং সবুজ পাতার পরী
নিঃস্ব করে আমায়
তুই হয়ে গেলি অনেক দূরের ।


সেদিন গোঁধুলীর স্বর্ণালী আভায়
দূর থেকে দূরে উড়ে উড়ে
হয়ে গেলি অদৃশ্য বিলীয়মান
চোখে ভেসে রইলো
তোর কমলা পাড় জরীর আঁচল
আর কপোলে তোর আঙ্গুলছোঁয়া
যা মুছাতে চেয়েছিলো চিরতরে
আমার অশ্রুজল।

সেই থেকে তুই পর
আমার বৃষ্টি ভেজা মেঘলা আকাশ পরী।
আমার তৃষিত দুচোখ আজও বর্ষমান
তোর প্রতীক্ষায়, তোর আঙুল ছোঁয়ার.....
তোর কারণে বর্ষা ঝরা দিন অবিশ্রাম

ভালো থাকিস আমার সূর্য্যমুখী পরী

পৃথিবীর সকল ভালো নিয়ে ভালো থাকিস তুই.........

Click This Link

ভালো থাকুক সবাই। আজকের এই দিনে পৃথিবীর যে যেখানে আছে ভালো কাটুক সবার । আনন্দে ভরে উঠুক পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
১৩৮টি মন্তব্য ১৪০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×