somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তৃতীয় শক্তি আসছে!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের দিকে একটু চেয়ে দেখলে মনটা শান্ত হয়। স্বস্তি খুঁজে পায়। দ্বিতীয় বারের মত নিউজিল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ বা হোয়াইট ওয়াশ’ করার আনন্দে বুকটা ভরে যায়। বাঙালি, বাংলাদেশি বীরের জাতি হিসেবে মাথা উচু করে চিৎকার করতে ইচ্ছে হয়। নতুন করে দেশটা কে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে মনটা ব্যাকুল হয়।

তাবাদে কোথাও কোন সু-সংসবাদ নেই। সহিংসতা, হরতাল আর হত্যা দিয়ে গোটাদেশ অস্থির। নিরাপত্তাহীনতা ও বোমা-ককটেলের আতঙ্কে বেড়েছে হার্টবিট। আইন-আদালত, প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ বলে কিছু নেই তাই নিজের প্রতি স্বান্তনা এ যেন নষ্ট জন্মের কষ্টের দোলনা।

চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের উপর এতো ক্ষোভ এবং ক্রোধ দেখা দিয়েছে যে, বেহায়া রাজনীতিকরা সেটা বোঝেও না বোঝার ভান করেন, শোনেও না শোনার ভান করেন। শান্তি প্রিয় বাঙালি কোন কালেই সংঘাত ও সহিংসতা চায় নি। কিন্তু সে পথে যাওয়ার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন সময় বাধ্য করা হয়েছে। আর থোকা থোকা প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। এতো উদার গণতান্ত্রিক, মিডিয়া স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকার একটা সুস্থ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে নি। ক্ষমতার লোভে আরো একটা ‘ওয়ান এলিভেন’ যাতে না হয় সেই দোহাই দিয়ে তারা মনের মত সংবিধান সংশোধন করে নিয়েছে। অপরদিকে দীর্ঘ ৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার তীব্র-জ্বালা যন্ত্রনায় বিএনপি উন্মাদ হয়ে ওঠেছে ক্ষমতায় বসার জন্য। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় অকাতরে নির্বিচারে মানুষের যে প্রাণ যাচ্ছে সেটা কি নেতাদের বিন্দু পরিমাণ পীড়া দেয় না..? পীড়া দিক আর না দিক সেটা নিয়ে মায়া কান্নার সুযোগ আর নেই।

এই বিধ্বংসী নেতাদের উপর আর ভরসা করা যায় না। ‘ কে থাকে ঘুমে, কে থাকে ভেতরে, কে একা নি:সঙ্গ বসে আশ্রুপাত করে ’। ১১৮৯ সালের রংপুরের কৃষক নেতা নূরল দীনের মত করে জেগে ওঠার সময় এসেছে। ‘জাগো বাহে কনঠে সবাই’ এই শ্লোগানে শ্লোগানে বায়ুম-লকে ভারী করার সময় এসেছে। দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের জন্য কণ্ঠে আওয়াজ তোলার এই তো সু-সময়। এতে হয়তো কেউ কেউ চেঁচিয়ে ওঠবেন এবং বলবেন, ‘আবারো টু- মাইনাস থিয়োরি’র ষড়যন্ত্রকারীরা সোচ্চার হয়েছেন। মনে রাখা দরকার, খাল কেটে যদি কুমির আনার সুযোগ দেয়া হয় তাতে দোষ কার..?

তাই সময় নষ্ট না করে দলমতকে থোড়াই কেয়ার করে দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে তরুণ প্রজন্মের এক দফা এক দাবিতে মহাত্মা গান্ধী’র আহিংস চেতনায় রাজপথে নামতে হবে। * ‘হয় সমোঝাতার ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে, না হয় দুই নেত্রীকে দেশ ছাড়তে হবে। ’ সাধারণ মানুষের প্রাণ নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলতে পারে না। এটা অন্যায়। সেই অন্যায় এই থ্রিজি যুগের তরুণ প্রজন্ম বসে বসে শুধু দেখে যেতে পারে না। পারা উচিত নয়। গণমানুষের যে গণচেতনা, মুক্তিযুদ্ধের যে প্রেরণা জাতির আজ সংকট কালে তরুণ প্রজন্মের বসে থাকা মানেই অতীতের জ¦লজলে আন্দোলনের সেই ইতিহাস কে কোরবানি করার শামিল।

চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির পর শাহবাগী চেতনা যেভাবে গোটা দেশে সবশ্রেণীর মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল। সব চেতনায় না হোক অন্তত ঐক্যবদ্ধতার চেতনা কে কাজে লাগিয়ে হাসিনা-খালেদাকে বুঝিয়ে দেয়া উচিত আপনারা হাঙ্কি-পাঙ্কি করলে তরুণ প্রজন্ম বসে থাকবে না। তারা এই দেশের হাল ধরবে। দেশের মানুষের আলোর দিশারী হয়ে আলোর মশাল জ্বালাবে। বিজয়ের নতুন ঝা-া উড়াবে।

এখন শুধু অপেক্ষা কতিপয় তরুণের ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে উদ্যোগ গ্রহণ। সাহিত্যিক, সাংবাদিক আনিসুল হকের মত ‘অরণ্যে রোদন’ নয় বরং তারই আশা জাগানিয়া কবিতার মতন, ‘মানুষ কি জাগে নাই অন্ধকার তাড়ানিয়া সূর্য্যরে মতন/ জীবন কি জাগে নাই, মরণের আবরণ ভেঙ্গে.. ?’

এবার মরণের আবরণ ভেঙ্গে যারা জাগবে তারাই হবে এ দেশের প্রকৃত প্রিয় তৃতীয় শক্তি। সেই শক্তি নিয়ে তরুণ প্রজন্ম আসছে....!!



সজিব তৌহিদ



সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×