প্রেম, ভালবাসা, প্রণয়, LOVE । এগুলো শুধু কতগুলো অক্ষরের সমাবেশ নয় । এ এক অনুভূতি । বহুমাত্রিক আবেগের সংমিশ্রণ । প্রেমের সাথে মনের বা হৃদয়ের জোরালো correlation আছে বলে মনে করা হলেও বৈজ্ঞানিকদের মতে মানুষের প্রেম বা ভালবাসার জন্ম হয় মাথা বা মস্তিষ্ক থেকে , হার্ট বা হৃদয় থেকে নয় । তারপরও আমরা কাউকে বলার সময় বলি “আমি তোমাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসি” ... কখনই বলি না “ আমি তোমাকে মাথা দিয়ে ভালোবাসি”(একথা বললে মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না”
প্রেম যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতিতে, যে কারো সাথে হতে পারে । আমাদের দেশে সাধারানত স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতে পড়ার সময় প্রেমে পড়ার ঘটনা বেশী । স্কুলের প্রেম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকেনা । কারন আমার মতে এসময় মানুষের maturity কম থাকে । অবশ্য এর ব্যতিক্রমও আছে । কলেজের প্রেম টেকার সম্ভাবনা আরও কম । কারন এসময় পড়ার প্রচন্ড চাপ অধিকাংশ সময় এই প্রেমের মাঝে বাধা হুয়ে দাঁড়ায় । একজন আরেকজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে খুবই কম । ফলে জন্ম নেয় অভিমান । এবার আসি ভার্সিটির প্রেমের প্রসঙ্গে । আমি যখন ছোট ছিলাম তখন চিন্তা করতাম, বড় হয়ে ভার্সিটিতে যাব, আর ভার্সিটিতে গিয়ে প্রেম করব
সাধারণত সব মেয়েরাই প্রেমিক হিসেবে তার চেয়ে কিছুটা বয়সে বড় ছেলে পছন্দ করে । আর ছেলেরা করে বয়সে ছোট মেয়েদের । তবে আমি দেখেছি সমবয়সী বা ক্লাসমেটদের মধ্যে প্রেম হওয়ার probability যেন একটু বেশী । এর কারনও রয়েছে কয়েকটি ।
১. ক্লাসের মেয়েদের সাথে তুলনামূলক সময় বেশী কাটানো হয় যার ফলে ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পায় ।
২. ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা একে অপরের সাথে সময় বেশী কাটানোর ফলে একজন আরেকজনের ব্যপারে বেশি জানতে পারে । একে অন্যের দোষ-গুণ সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত থাকে ।
৩. মেয়েরা যত ভাল স্টুডেন্টই হোক না কেন, নোটের ব্যপারে তারা ছেলে বন্ধুদের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল (কারন মেয়েরা মেয়েদের নোট সাধারনত দিতে চায় না, **ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। তাই ঘনিষ্টতা তো বাড়বেই ।
৪. ক্লাস, পরীক্ষা, নোট ইত্যাদির কারনে একে অপরের উপর নির্ভরশীলতা চলে আসে । আর এই নির্ভরশীলতা থেকেই একসময় ভালবাসা জন্ম নেয় ।
….. এরকম আরও অনেক কারন আছে । আর ক্লাসমেটের সাথে প্রেম করার কিছু সুবিধাও আছে । যা আমার মতে কিছুটা লোভনীয় । যেমনঃ
১. প্রেমিক বা প্রেমিকা ক্লাসমেট হলে তারা একসাথে কাটানোর মত প্রচুর সময় পায় । আলাদা করে সময় বের করার দরকার হয় না । ক্লাসই হতে পারে উত্তম ডেটিং স্পট । স্যারের বিরক্তিকর লেকচারের সময় যদি একটু ঘাড় ফিরিয়েই প্রিয় মুখখানি দেখতে পারেন তাইলে আর কি লাগে ?
২. একসাথে পড়াশোনা তো হয়ই । আর দেখা যায় সে আপনাকে পড়া বুঝিয়ে দেবে, অনেক আন্তরিকতার সাথে আর পড়া মনেও থাকবে ভাল ।
৩. পড়াশোনার খাতিরে তাকে ঘনঘন বাসায় নিতে পারবেন, ফলে আপনার পরিবারের কাছে সে ঘনিষ্ট হতে পারবে । আর বাবা- মাকে impress করার এমন সুযোগ আর পাবেন না ।(২টা ফ্রি টিপস দেই, প্রেমিক-প্রেমিকার বাসায় গিয়ে তার বাবার শরীরের খোঁজখবর নিলে, আর মায়ের রান্নার প্রশংসা করলে তারা অনেক খুশি হয় ... বুদ্ধিটা কাজে লাগাতে পারেন )।
৪. একসাথে সময় অনেক পাচ্ছেন, তাই সময়টাকে উপভোগ করার সাথে সাথে ব্যবহারও করতে পারেন । একে অন্যের পরিবার সম্পর্কে বেশ ভাল আইডিয়া করা যায় । ক্লাসমেটদের মধ্যে এক লাফেই প্রেম হয়ে যায় না সাধারনত । প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম । তাই sharing জিনিসটা অনেক বেশী থাকে ।
বেশি বোরিং লাগছে ? তাহলে আজ থাক । কাল বা পরশু ক্লাসমেটদের মধ্যে প্রেমের কিছু সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব । তবে একটা কথা হল, সমস্যা ও সমাধান পরিবার ভেদে ভিন্ন হতে পারে । আবার একই সমস্যার সমাধান একেক পরিবারে একেকভাবে করতে হবে । তাই সমাধানগুলো সবার পছন্দ নাও হতে পারে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




