তিনি কিছু জানেন না তা তো হতেই পারে না। তিনি এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন এ কথা বুঝেই যে বাংলাদেশে থাকার জন্য তাঁকে যে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে তা কিঞ্চিৎ পুষিয়ে নেবেন এভাবে। সাংবাদিকরা বা অন্য কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন - কই আমি তো কিছু জানি না, ও সব গুজব। দুদেশের সুসম্পর্কে যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করতে চায় এটা তাদের তৈরী মনগড়া অপবাদ। আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার ষঢ়যন্ত্র। রাজাকার শব্দটা তিনি ব্যবহার করবেন না, নিষেধ আছে, কিন্তু তাঁর সাথে কেউ কেউ এই মওকা ছাড়বেন না।
আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু - কাগজে কলমে, সরকারী ভাষ্যে।
একেবারে ফ্রী ভিসা। কত ভালো!
কিন্তু পাবেন না। অনেক্ষণ চেষ্টায় ফর্ম আপ্লোড করলেন। তারপর তারিখ চাইলেন সাক্ষাৎকারের। না, পাবেন না। সকালে নয়, দিনে নয়, সন্ধ্যায় নয়, মাঝরাতে নয়, কখনো না। কারণ বন্ধ করা আছে।
তারপর যোগাযোগের পালা। জানতে পারবেন, ব্যবস্থা হবে, শুধু তিনহাজার টাকা দিতে হবে। না রশীদ নেই, পকেটে যাবে, তাঁর ওপরে, আরো ওপরে। অনেককে দিতে হবে তো, তিন হাজার টাকা ভাগ হয়ে কতটুকু হয়ে যাবে।
আবার প্রতিদিন হাজার হাজার আবেদন। তিন হাজার টাকার ছোট্ট ভাগটা আবার বাড়তে থাকবে , হাজার গুণ।
জানে সবাই। সাংবাদিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দূতাবাসের আপনার বন্ধুও। কিছুই করার নেই। হেঁ হেঁ, এটাই সিস্টেম।
তেমন সাঙ্ঘাতিক প্রয়োজন না থাকলে না-ই গেলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১