somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ জন্মদিন গৌতম বুদ্ধ!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল শান্তির বার্তা নিয়ে। তার নিরামিশাষী জীবন আর নির্বিরোধ চেতনা দুনিয়াতে এতটা প্রসিদ্ধ হয় যে তিনি তার ধর্ম পরচিয়কে ছাপিয়ে যান।

যদিও আজকের মিয়ানমারের দিকে তাকালে আমরা বুদ্ধের আদর্শের প্রতি চোখ রাঙানি দেখি। কিন্তু আর যাইহোক এর দায়ভার বুদ্ধের কাঁধে যায় না।
পৃথিবীতে ধর্মের আগমন ছিল শান্তির বার্তা নিয়ে। মানুষ আসলে নানা আশ্রয়কে কেন্দ্র করে জীবন ধারণ করে, আমার কাছে ধর্ম আশ্রয়ের প্রধানতম আঁধার। ধর্ম কাউকে কখনো কলুষিত করে না, কিন্তু আমরা মানুষেরা ধর্মকে কলুষিত করি।
ফলে আজকের সমাজে আমরা দেখি ধর্মের নির্মম রাজনৈতিক ব্যবহার। ধর্ম হয়ে যায় জাতিগত দাঙ্গার হাতিয়ার। ধর্ম চলে যায় মাজারে, ব্যবসার একটি পণ্য হয়ে। যাই হোক এসবের জন্য আমরা ধর্মকারী স্বার্থপর, হীণমন্য মানুষেরা দায়ী। এই যে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা চলছে এ জন্য ধর্মকে দায়ী করার সুযোগ আছে কি!
গৌতম বুদ্ধ একটি ধর্মের প্রবর্তক। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ভাষায় যাকে নবী বলা হয়। শুনেছি কবিরা আর নবিরা নাকি পবিত্র হয়। নবিরা যেমন শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেন তেমনি কবিরাও। ইসলাম ধর্মমতে মুসলামদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)। সুতরাং আর কোন নবী এ পৃথিবীতে আসার সুযোগ নেই। কিন্তু কবিদের জন্য পথ খোলা আছে অনন্তকালের…
এজন্যই হয়তো আমরা যুগে যুগে গৌতম বুদ্ধের মতো নির্বিবাদী মানুষদের দেখা পাই। পাই শান্তিকামী কবির দেখা। যারা আসলে সবকিছু ভুলে শান্তির জন্য কাজ করে। তাদের কেউ কখনো হয়তো আবদুল্লাহ আবু সাঈদ নামে, কেউবা জোছনা জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ নামে বা কবিতার দু:খী ছেলে হেলাল হাফিজ হয়ে।
তারা আসেন। যুগে যুগে। কালে কালে। আজ (১৫ ডিসেম্বর) একজন তরুণের জন্মদিন। ৯০ এর দশকের গোড়ায় যার জন্ম। তিনি ধর্মগতভাবে ইসলামের অনুসারী। তবে তার জীবন পদ্ধতিটা বুদ্ধের মতো। বুদ্ধরা মাটির মতো নরম হন। তাদের কাছে কেউ কিছু চাইলে ফেরৎ যান না। আমাদের এ যুগের কবির কাছ থেকেও কেউ কিছু চেয়ে ফেরৎ যান না। সুতরাং তিনি একটি দানবাক্সের মতো সবার কাছে প্রিয়।
তবে গৌতম বুদ্ধের সাথে তার প্রধানতম পার্থক্য হচ্ছে গৌতম বুদ্ধ কবি ছিলেন না, তিনি কবি। ফলে বুদ্ধ হয়তো তার কোন বন্ধুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেও কবিতা লেখতেন না, কিন্তু তিনি চট করে একখান কবিতা লেখে ফেলেন। সে কবিতা পড়ে বন্ধুরা অবাক হয়ে যান। তারিফ করেন। তাকে দূরদেশ থেকে তরুণীরা ফোন করেন। ফুল, ফলে প্রেম নিবেদন করেন। বুদ্ধকে অন্তত কবিতা লেখার জন্য কোন তরুণী প্রেম নিবেদন করেছিল বলে আমরা শুনিনি।
এই যেমন, এক বন্ধুর জন্মদিনে তিনি কবিতা শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন এভাবে, আমি জাগি, তুমি কেন জাগো?/আমি বাঁধি, তুমি কেন বাঁধো?/আমি কাঁদি, তুমি কেন কাঁদো?/আমি হাসি, তুমি কেন হাসো?/বন্ধু, তুমি এতো ভালোবাসো? অফিসের সহকর্মীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, এখানে কেউ চলতে দে' না/পেছন মারে টান,/পথ বানানোর পথে বাঁধায়/স্বপ্ন ভেঙে খান!/হতাশ করার জীবনপথে/মেলে আলো তার,/এ জনমের আসিফ আজিজ /চাইবো বারেবার! এভাবে চট করে কবিতা লিখে ফেলতে পারেন বলেই হয়তো কবিদের ভক্ত হয় বেশি, বন্ধু জোটে অনেক। তারা মনজয়ী, মনের মানুষ হন।
কবিতা লিখতে জানার এসব সুবিধার কথা ভেবে গৌতম বুদ্ধ কখনো মন খারাপ করতেন কি না কে জানে। আমার কিন্তু এ যুগের বুদ্ধের কবিতা প্রতিভা দেখে ঈর্ষা হয়। ভাবি কবিতা লেখতে জানলে হয়তো এতটা বছর একা কাটাতে হতো না। কেউ অন্তত কবিতার জন্য প্রশংসাপত্র নিয়ে কাছে আসত। যাই হোক, যা নাই তা নিয়ে দু:খ করে কী হবে। ভাবি তার কবিতা থেকেও আমার পাওয়ার আছে, সামান্য কিছু হলেও।
তিনি যেমন গত বন্ধু দিবসে বন্ধুদের নিয়ে দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কবিতা লিখেছেন, এই এখানে গল্প থাকে এই এখানে গান/এই এখানে দুঃখ ও সুখ, মান ও অভিমান/এই এখানে ভীতি থাকে, এই এখানে রাত/এই এখানে ভোরের আলো রাঙা সুপ্রভাত/এই এখানে অশ্রু থাকে এই এখানে হাসি/এই এখানেই হয় না বলা—বন্ধু ভালোবাসি! আমি তার বন্ধু না হই। বন্ধু সমেত পরিচিত মানুষদের একজন অন্তত। সুতরাং ভালোবাসামাখা কবিতা পড়ে আমিও আনন্দিত হই। ভেবে পুলকিত হই, অন্য চেনা মানুষদের জন্য আমার জন্যেও হয়তো তার হৃদয়ে ভালোবাসা আছে।
এই যে আজ এতদিন পর কলম হাতে নিলাম সেতো আজকের দিনে তার জন্মদিন বলে, আজ যে বহুদিন পর অনেক ক্লান্তি নিয়ে খানিক হাসছি তাও কিন্তু তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পারছি বলে। ব্যস্ততায় ভরা দূর পরবাস থেকে শুভ জন্মদিন কবি হুসাইন আজাদ। ভাল থাক কবিতায় ও কলমে। তোর কবিতায় মানুষ খুজেঁ পাক আল মাহমুদের সোনালী কাবিনের মোহ, তোর মাঝে খুজেঁ নিক নির্মলেন্দু গুণের প্রেম ও দ্রোহ। ভালোবাসার এক হাজারটা গোলাপ, চার হাজার মাইল দূর থেকে…
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×