একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে দক্ষিন আফ্রিকা। আফ্রিকার মানুষরূপী কালো জানোয়াররা খুব সহজেই যেখানে ইচ্ছে সেখানে হামলা চালায়। এদের হামলার শিকার বেশির ভাগই বাংলাদেশী নাগরিক। আমরা বাংলাদেশীরা বাহির দেশে অনেকটা দুর্বল, আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় আফ্রিকার কালোরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশীরা ছোট ছোট দোকানপাট গড়ে তুলে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে বাংলাদেশীরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে বাংলাদেশী শ্রমিক খুবই কম। যে কোন সময় সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশী দোকানদারের কাছে এসে চাঁদা দাবী করে, আর চাঁদা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে হামলা চালানো হচ্ছে। হামলার পাশাপাশি হত্যাও করছে দুর্বৃত্তরা। কিছুদিন আগে এদের হামলার শিকার হয়েছিল আমার দুই ফুফাতো ভাই ইসমাইল ও ইব্রাহিম। সেই হামলায় নিহত হন ইব্রাহিম ভাই। অপর সহোদর ইসমাইল ভাই গুরুতর আহত হন। দেশটির রাজধানী প্রিটোরিয়ার সোসাংগবি এলাকায় তাদের দোকানে হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। তারা দোকানে গিয়ে দুই ভাইয়ের হাত-পা বেঁধে বেদম মারধর করে। এছাড়া টাকা পয়সা ও মালামাল লুটপাট করেও নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় দুই ভাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে ভর্তির পরে মারা যায় ইব্রাহিম ভাই।
এভাবে প্রায় প্রতিমাসেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে কোন না কোন বাংলাদেশী নিহত হচ্ছেন। শুনেছি দেশটির পুলিশও এইসব হামলার সাথে জড়িত আছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশীদের সেখানে যাওয়ার লোভ, বেশি বেশি টাকা কামানোর লোভ কিছুতেই কমছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪