একবার এক পাগল মহিলাকে বাজারের কিছু বখাটে ছেলেপুলে মিলে ধর্ষণ করল,
এতে ধর্ষিত মহিলা বাজারে হেটে হেটে ওই ছেলেগুলোর নাম বলতে লাগল আর তারা যে তাকে ধর্ষণ করেছে, এই কথাটিও বলতে লাগল।
বখাটে দলের প্রধান ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল, সে তার কৃতকর্মে লজ্জিত হতে লাগল, আর তখনি তার মাথায় বুদ্ধিটি আসল।
সে তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের আবার সেই মহিলাটিকে ধরে আনতে বলল।
তারা ধরে নিয়ে আসল ঠিক, তবে এবার নেতা তাকে ধর্ষণ না করে পেছন দিকে লাথি মেরে ছেড়ে দিল। আর মহিলা ধর্ষণের কথা বেমালুম ভুলে গেল, এবার সে বাজারে হেটে হেটে বলতে লাগল অমুক লোক আমাকে লাথি মেরেছে।
এবার মুল কথায় আসি, আমরা বাঙালিরা এভাবে প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছি আর পরমুহুর্তে তা ভুলে আবার নতুন ভাবে ব্যাবহৃত হওয়ার পথে চলছি।
উদাহরণ চান?
শাহবাগের আন্দোলনই ধরুন, (দূঃখিত, আমার কথা গুলো অনেক কঠিন, আমাকে কেউ ছাগু ট্যাগ দিলে নির্ধিদায় দিতে পারেন, তবুও আমি গর্ভের সাথে বলব, আমি আর সবার মত ধর্ষিত নই)
আমরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ফায়দা হাসিলের জন্য শাহবাগে জয় বাঙলা বলে গলা ফাটালাম( যদিও পরের জয় বঙ্গবন্ধ বললেই স্লোগানের যতার্থতা পুর্ণ হত), তবে একবারও চিন্তা করলামনা, এরা যদি সত্যিকারভাবে রাজাকারে্র বিচার চাইত, তবে বিতর্কিত ব্যাক্তিদের আগে তাদের দলের অভ্যন্তরিণ খাটি রাজাকার গুলোর বিচার করে নজির সৃষ্টি করত।
প্রমাণ দিতে হবে শাহবাগ সরকারেরই প্ররিকল্পনার একটি অংশ?
তাহলে জেনে নিন, আপনি আমি সরকারি ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব, আর সরকার আমাদের প্রটেকশনের জন্য পুলিশ পাহারা দিবে? সরকারী রায়ের বিরুদ্ধে চিৎকার করব, এতে একজন মারাও যাবে, আর সরকারের লোক তাকে শহীদ বলে ঘোষণা দিবে?
এবার পরেরবার লাথি খাওয়ার কাহিনীটাও শুনে যান।
আমার দেখা শাহবাগে রাজাকারের ফাসী চাই বলে গলা ফাটানো অনেককেই এখন নাস্তিকদের আড্ডাখানা(!!!) শাহবাগে যাওয়ার বিরোধিতা করে গলা ফাটাতে শুনতে পাচ্ছি।
একবার কি ভেবে দেখেছেন শাহবাগে যারা যাচ্ছে তারা কি আসলে সবাই নাস্তিক?
আসলেই কি নাস্তিকদের উৎসাহিত করতে এই শাহবাগের গণজাগরণ?
নাহ, ভাবিনি। কারণ আমরা বাঙালী ধর্ষিত হতে ভালবাসি।
ওহে বাঙালী, হুজুগে সভাব ছাড়, নাহয় আমাদের পরিত্রাণ কখনোই আসবেনা।