আমার বাড়ি দোহার উপজেলায় বটিয়া গ্রামে। আমার কাছে দোহার পৃথিবীর সব চেয়ে সেরা জায়গা। সেই জায়গায় আমার অজস্র স্মৃতি। আমার শৈশব, কৈশর, তারুণ্যময় দিনগুলোর অনেক আনন্দ বেদনার কাব্য সবই দোহারকে কেন্দ্র করে।
জয়পাড়ার হাসপাতাল রোডের আমাদের ছোট ভাই আজকের এই গল্পটি বলেছিল। তার বলার স্টাইলটি ছিল অনেক মজার।
পাশের গ্রামের এক মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছিল। খবর পাওয়া গেল পাশের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এক সুপাত্র আছে।
কন্যার বিয়ে বলে কথা। সরেজমিনে ছেলের খোঁজ নিতে হবে। সব ঠকাই শেষ পর্যন্ত কভার করা যায়। বিয়ে ঠকায় একবার ঠকলে তা আর শোধরাবার কোন উপায় থাকে না। তাই খোঁজ নেবার জন্য টিম তৈরী হয়ে গেলে।
শেষ পর্যন্ত এক জন বয়স্ক মুরুব্বীকে নিয়ে মেয়ের এক চাচাতো ভাই হোন্ডা নিয়ে ছুটল নবাব গঞ্জের দিকে। খোজ নিতেই হবে।
হবু পাত্রের সাথে মেয়ে বাড়ির প্রতিনিধির অনেক কথাই হয়েছে। তবে সব চেয়ে মজার অংশটুকু পাঠকের বিবেচনার জন্য তুলে ধরা হলোঃ
মেয়ে পক্ষের মুরুব্বীঃ মিয়া সাব, আপনার নাম কি?
পাত্রঃ মোঃ আঃ রহমান।
মুরুব্বীঃ কি করেন?
পাত্রঃ বিএনপি করি( ঘটনাটি ২০০৩-এর। এখনকার দিনে হলে পাত্র হয়তো বলতে পারতঃ আওয়ামীলীগ করি! ২০---- সালের পর আবার হয়ত বলবে- বিএনপি করি)
মুরুব্বীঃ অফিস কোথায়?
পাত্রঃ নবাবগঞ্জে।
উপসংহারঃ
( পরে আরো বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছিল পাত্র আসলে তেমন কিছুই করে না। তবে নবাবগঞ্জের উপজেলা বিএনপি অফিসে দিনের বেশীর ভাগ সময় সে বসে। আড্ডা-ফাড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেয় বেশীর ভাগ সময়। মনের মধ্যে আশা নেতা হবার। নেতা হলে আর যা কিছু না হোক কন্ট্রাক্টরী আর ধান্ধাবাজি করে তো অনেক টাকা কামানো যাবে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২০