somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"নাস্তিকেরা" বোকা হয়, অার "জঙ্গীরা" ধোকা খায়। (১ম পর্ব)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা বিষয় সবাই লক্ষ্য করবেন-অনেকে নিজেদের খুব বুদ্ধিমান মনে করেন - এরা কথায় কথায় যুক্তি খুঁজেন এবং খানিকটা ঘাড়ত্যাড়া স্বভাবেব হয় এবং অনেকসময় অহংকারী একটা মুড তার কথাবার্তায় প্রকাশ পায়।
এগুলো এডুকেডেট বেয়াদব। অাবার, গন্ডমূর্খ কিছু শ্রেনী অাছে যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত শ্রেনী থেকে "কম বুঝি" কথাটা মানতে একদমই নারাজ।
বিষয়বস্তু অামার এটি নয়-
ধরুন, অাপনি জন্মের পর থেকেই মঙ্গল গ্রহে বসবাস করেন । পৃথিবী সম্পর্কে কোন ধারনা অাপনার নেই।
হঠাৎ একদিন একজন লোক অাপনার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে গেলেন মঙ্গল গ্রহে।
(১) কিছু অাপেল (২) কিছু মালটা (৩) কিছু বেদানা (৪) একটি ক্যামেরা (৫) একটি ঘড়ি।

অাপনি ভাবছেন, এগুলো অাবার কি?
অাগুন্তুক ব্যক্তিটি অাপনাকে এক এক করে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বললেন, এগুলো পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে তোমার জন্য পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলগ্রহবাসীঃ সে বুঝলাম, তবে, এই ক্যমেরার গায়ে লেখা অাছে, মেড ইন চায়না। ঘড়ির গায়ে লেখা অাছে, মেড ইন থাইল্যান্ড। কিন্তু বাকীগুলোর গায়ে কোন কিছু লেখা নেই কেন?
অাগুন্তুকঃ এগুলো এমনি তৈরী হয়েছে। কেউ তৈরী করি নাই। অাসলে, অামি ঠিক বলতে পারবোনা।
মঙ্গলগ্রহবাসীঃ মহা চিন্তার কথা!
উনি চিন্তা করতে অাছেন.............................
অাসুন নাস্তিক প্রসঙ্গে-
"যাহারা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করে, কেবল প্রত্যেক পাপিষ্ঠ সীমালঙ্ঘনকারীরা ইহা অস্বীকার করে; উহার নিকট অামার অায়তসমূহ অাবৃত করা হইলে সে বলে, ইহা পূর্ববর্তীদের উপকথা। কখনও নয়, বরং উহাদের কৃতকর্মই উহাদের হৃদয়ে জং ধরাইয়াছে। (৮৩ঃ ১০-১৪)
"মানুষ কি মনে করে যে, অামি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করিতে পারিবো না? বস্তুত অামি তার অঙ্গুলির অগ্রভাগ ( অাঙ্গুলের ছাপ) পূর্নবিন্যাস্ত করিতে সক্ষম" (৭৫ঃ ৭৪-৭৫)
" মানুষ কি মনে করে যে, নিরর্থক তাকে ছাড়িয়ে দেয়া হইবে? সে কি স্থলিত শুক্রবিন্দু ছিল না? অতপরঃ সে অালাকায় পরিনত হয় এবং তারপর তাহার অাকৃতি দান করেন এবং সুঠাম করেন। অতঃপর তিনি তাহা হইতে সৃষ্টি করেন যুগল নর-নারী। তবুও কি সেই স্রষ্টা মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নন?" (৭৫ঃ ৩৬-৪০)
" অাল্লাহ তিনি যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন, অাবার ওকে ফিরিয়ে অানবেন( মৃর্ত্যুর পর পুনরায় সৃষ্টি করবেন)। এটা তার নিকট অতী সহজ"-(৩০ঃ২৭)
নাস্তিক মহাশয় একটু গোফের নিচে হাসবেন। এগুলো তাদের নিকট কোন যুক্তি-বিবেচনায় অাসে না।
ওহে নাস্তিক, অনেক বিষয় অাছে যা মানুষের জ্ঞানে-বুদ্ধিতে অাসেনা।
# উত্তর দিন, প্রথম কাঠাল গাছটি কিভাবে তৈরী হলো?
এভাবে প্রথম অামগাছ, জামগাঠ, লিচুগাছ, নারকেল গাছ, অাপেলগাছ, অাঙ্গুরগাছ অারো শত শত ফলের গাছ কিভাবে তৈরী হলো জবাব দিন।
# বিভিন্ন অাইটেমের প্রানীর প্রথম জোড়া কিভাবে তৈরী হলো?
প্রানীর ক্ষেত্রে একটা থিউরী অাপনারা খাড়া করতে পারেন-যদি ক্লিয়ার না করি।
প্রথম কোষকে অাদি কোষ হিসাবে চিহ্নিত করে এই অাদি কোষ থেকে বহুকোষের উৎপত্তি হয়েছে জীববিজ্ঞানীরা বলে থাকেন।
অর্থাৎ অ্যামিবা নামক এককোষী এক জীব থেকে বহুকোষী জীবনের উৎপত্তি।
বিষয়টি বহু জীববিজ্ঞানী কর্তৃক প্রত্যক্ষ্যাত।
যুক্তির খাতিরে যদি বিষয়টি মেনে নেই। তাহলে ব্যাপারটি এমন হবে এমন-একটা স্থানে কিছু বালি, পানি, ইট, সিমেন্ট রেখে দিলেন। হঠাৎ একদিন দেখলেন সেখানে বিল্ডিং তৈরী হয়ে গেছে।
অাবার যদি প্রশ্ন করি, প্রথম মানুষ কিভাবে তৈরী হলো ?
নাস্তিকদের উপায় হবে ডারউনের বিবর্তনবাদের সরনাপন্ন হওয়া। যে তত্ত্ব সস্পর্কে উনি নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।
যেহেতু নাস্তিকরা যুক্তি ছাড়া কিছুই বোঝেন না-সুতরাং বলতেই হবে।
বানর বিতর্তিত হয়ে যদি মানুষ হয় তবে বান্দরও নিশ্চই একটা বিবর্তিত প্রানী । তো বান্দর বিবর্তনের পূর্বে তারা কি ছিলো ?
এখন পৃথিবীতে বান্দর অাছে না নাই? এবং বিবর্তন প্রক্রিয়া কি থেমে গেছে?
তাহলে, কেন এখন দেখা যায়না যে দু'একটা বান্দর বিবর্তিত হয়ে মানুষের মত রুপ হয়ে যাচ্ছে?
অার অামরা মানুষ ভবিষৎতে বিবর্তিত হয়ে কি রুপ হয়ে ধারণ করবো তার একটা ব্যাখ্যা দাড় করান।

অাপনি কেমন বুদ্ধিমান মি. নাস্তিক?
সূর্যটা অালো না দিলে বা স্থান পরিবর্তন করলে কয়েকদিনের মধ্যে এমনকি মিনিটের মধ্যে পোকার মত মরে পড়ে থাকবেন।
সূর্যকি নিজ দায়িত্বে অাপনার জন্য কাজটি করে যাচ্ছে?
চন্দ্র যেখানে অাছে তার থেকে উপরে অথবা নীচে নেমে গেলে বন্যা অথবা খরায় সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
এটা কি চন্দ্র নিজ দায়িত্বে মানুষের জন্য করে যাচ্ছে?
গাছ লক্ষ লক্ষ টন অক্সিজেন সরবরাহ করছে-মানুষের জন্য এবং লক্ষ-লক্ষ টন শস্য এবং ফল প্রডাকশন দিচ্ছে মানুষের জন্য । এটাও কি নিজ দায়িত্বে করছে?
মাটির গভীরে কোটি-কোটি গ্যালন বিশদ্ধ পানি মাটি কি নিজ দায়িত্বে মানুষের জন্য বিশুদ্ধ করছে?
সুমুদ্র থেকে লোনা পানি বাষ্পিত হয়ে বৃষ্টির মাধ্যমে বিশুদ্ধ মিষ্টি পানি অাকারে পৃথিবীকে পুনুরুজ্জিবীত করছে-বসবাসের উপযোগী করছে এটা কি নিজ দায়িত্বে হচ্ছে?
মাটির গভীরে গ্যাস, কয়লা, সোনা, তেল কি নিজ দায়িত্বে মানুষের প্রতি দয়া বশতঃ উৎপাদিত হচ্ছে?
পৃথিবী না ঘুরলে দিন-রাত হতোনা? (তথ্য-প্রযুক্তির কথা বাদ দিলাম)দিন-রাত না হলে কি হতো তা অার বুঝিয়ে বলতে হবেনা।
তো, মানুষের জন্য দিন এবং রাত দরকার তাই পৃথিবীকে ঘুরতে হবে। তো এই বস্তুপিন্ডটি অাপনা অাপনি কিভাবে ঘুরতে শুরু করলো। অার থামেই বা না কেন?
এভাবে হাজার হাজার প্রশ্ন তোমাদের করতে পারবো -কিন্তু উত্তর দিতে পারবা না।
তোমাদের হিসাব একটাই। না দেখে বিশ্বাস করি কি ভাবে!
তুমি যে গ্রহটায় বাস করো তাকেই মহাবিশ্বে খুজতে গেলে অনুবিক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হবে। অার তার ভীতর তুমি অতী থেকে অতী ক্ষুদ্র একটা প্রানী চাও সেই মহাবিশ্বের স্রষ্টা অাল্লার অস্তিত্ব সরেজমিনে বের করতে!! এত মর্যাদাবান তুমি হলে কিভাবে?
চতুর্দিকে অন্তর দৃষ্টি নিয়ে তাকও।
কিছু মানুষ চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্টতর : আল্লাহ রব্বুল আলামিন মানুষের নিজের শরীরের মধ্যে তার অস্তিত্বের বহু নিদর্শন রেখে দিয়েছেন। বিস্মিত হতে হয় যখন কেউ গভীরভাবে তার নিজস্ব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর চিন্তা করে। সামান্য একটি অঙ্গকে বিশ্লেষণ করলেই সে স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে। এসব কথা ভাবলে কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ছাড়াও যে কোন বিবেকবান লোক অনায়াসেই আল্লাহর অস্তিত্বের বিশ্বাসী হতে বাধ্য।

আমি অনেক জিন ও মানুষকে দোজখের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্তর রয়েছে, তারা তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা তারা দেখে না আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শুনে না, তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত, বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। (সুরা আরাফ:১৭৯)

চলবে..................

















সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×