(খুন ধর্ষন রাহজানী ধর্মীয় সন্ত্রাস দূর্ণীতি সব কিছু নির্মূলে যুদ্ধঅপরাধ মুক্ত পবিত্র একটি অব্যর্থ দর্শন ও মেহনত)
সাহাবী আযমায়ীনরা রসুল (সাঃ) এর সান্নিধ্যে থেকে অনেক গুলো গুণে গুণান্বিত ছিলেন।মোটমুটি কযেকটা গুণের উপর মেহনত করে দিনের দ্বীনের চলা অতি সহজ।গুণগুলো হচ্ছে ঃ-
১)কালেমা ,
২)নামায ,
৩)এলেম ও জিকির,
৪)_একরামুল মুসলেমিন ,
৫)তাসিয়ে নিয়্যত আর
৬)খুরুস ফি সাবিলিল্লাহ তাবলীগ।
১)কলিমাঃ আমরা সবাই পড়েছি ক্বালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ।অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল।এই ক্বালিমা পাঠ করে অন্তরে এই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে আল্লাহ ছাড়া সব মাখলুক।আর মাখুলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর আর্লাহতায়ালা সব কিছুই করতে পারেন মাখলুক ছাড়া। আর একমাত্র রসুল (সঃ) তরিকায় দুনিযাও আখেরাতের শান্তি ক্বামিয়াবী আর সফলতা।যদি কোন ব্যক্তি এক্বিন ও এখলাসের সাথে একবার এই ক্বালেমা পাঠ করে তবে তার পিছনের জীবনের সমস্ত গুণাহ মাফ হযে যাবে।যদি কেও জাররা পরিমান ঈ্মান নিয়ে এই দুনিয়া ত্যাগ করে তবে তাকে আল্লাহ তায়ালা এই দুনিয়ার দশ দুনিয়ার সমান জান্নাত দান করবেন্।
এই ক্বালিমা বেশি বেশি পাঠ করা আর এই ক্বালিমার লাভ জেনে অপর ভাইকে দাওয়াত দেয়া।
২)নামায ঃ রসুল (সাঃ) যেভাবে নামায পড়েছেন আর যেই নামায সাহাবী আজমাইনদের শিক্ষা দিয়েছেন সেই ভাবে নামায পড়ার চেষ্টা করা।নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন ,যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন এখলাসের সহিত এইভাবে নামায পড়ে যে তাহার তকবীরে ওলা না ছুটে তবে সে দুইটি পরওয়ানা লাভ করিবে।-একটি জাহান্নাম হইতে মুক্তির ২য় টি মুনাফেকি থেকে মুক্ত হওয়ার। যে ব্যক্তি সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত নামায পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ জিম্মাদারীতে বেহেশেতে নিবেন।ফরয নামায গুলো জামাতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব ও সুন্নাতের পাবন্দি করা আর নফল নামায বেশি বেশি করে পাঠ করা।শরীরের জন্য মাথা যেমন দ্বীনের জন্য নামায তেমন।
৩) এলেমও জিকিরঃ আল্লাহ তায়ালার কখন কি আদেশ নিষেধ তা জেনে রসুল (সাঃ)তরীকা অনুযায়ী আমল করা। যে ব্যক্তি এলেম শিক্ষা করার জন্য ঘর থেকে বের হয় গর্তের পিপিলীকা থেকে সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত তার জন্য দোআ করতে থাকে।প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ঐ পরিমান এলেম হাসেল করা ফরয যে পরিমান এলেম দ্বীনের উপর চলার জন্য আবশ্যক।
হর হালতে বা সবসময় আল্লাহতায়ালার ধ্যাণ ও খেয়াল অন্তরে জারি রাখার নাম হলো জিকির।যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে তার জিহবাকে তরুতাজা রাখবে কাল সে হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো ক্বালেমা পাঠ করা।আফজাল জিকির হলো ক্বুরআন তেলাওয়াত করা।কাজের শুরুতে দুয়ায়ে মাসনুন পড়া।সকাল বিকাল তিন তজবীহ আদায় করা । ১০০ বার সুবহানাল্লাহি আলহামদুলিল্লাহি ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহুআকবার পাঠ করা,১০০ বার যে কোন দরূদ পাঠ করা।আর ১০০ বার এস্তেগবার পড়া।কে্উ একাধারে ৩ বছর এই আমল করলে আল্লাহর অলী না হয়ে সে কবরে প্রবেশ করবে না।
৪)একরামুল মুসলেমিনঃসকল মুসলমানের দাম বুঝিয়া ক্বদর করা।যদি কেউ কোন মানুষের একটা উপকার করে আল্লাহ তায়ালা তার ৭৩ টা উপকার করবেন।একটা দুনিয়াতে আর ৭২ টা আখেরাতে।আর কেউ কোন ভাইযের উপকার করার জন্য চেষ্টা করে তবে তা মসজিদে বসে ১০ বছর এতেক্বাফ করার চেয়ে উত্তম্ ।হযরত আবু বকর (রাঃ) যখন খলিফা ছিলেন দৈনিক ১০০ লোকের খেদমত করতেন।
খেদমতে খোদা মেলে ইবাদতে জান্নাত।
৫)তাসিয়ে নিয়্যাতঃ আমরা যখন কোন নেক আমল করবো আল্লাহতায়ালার রাজিখুশি করার জন্য করবো।আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশি করার জন্য যদি কেউ খুরমা খেজুরও দান করে তবে আল্লাহ ইচ্ছা করলে তা বাড়িয়ে পাহাড় পরিমান নেকি দান করবেন।হাশরের ময়দানের দিন ৩ ব্যক্তিকে অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলা হবে্ ।১জন ঐ ব্যক্তি যিনি অনেক বড় দাতা এমন কোন জায়গা নাই যেখানে তিনি দান করেন নাই অথচ এই জন্য করেছেন যে লোকে তাকে দাতা বলবে আল্লাহতাযালা তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলবেন।২য় জন এই ব্যক্তি যে নিজে এলেম শিখেছে এবং অপরকে এলেম শিখিয়েছে কিন্তু এইজন্য করেছে যে লোকে তাকে দাতা বলবে । তাকেও অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলবে। ৩য় জন ঐ ব্যক্তিতে যিনি অনেক বড় বড় যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন কিন্তু আল্লাহর জন্য হন নাই। তাকেও অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলা হবে(মিশকাতঃ মুসলিম)।তাই এখলাস ওয়ালারা ভাগ্যবান।
আর সর্বশেষ
৬)খুরুজ ফি ছাবিলিল্লাহ তাবলীগঃ আল্লাহর দেয়া জান মাল ও সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হযে জানও মালের সহিহ ব্যবহার শিক্ষা করা ।যদি কে উ আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে নিজের প্রয়োজণে ১ টাকা খরচ করে তবে তা ৭ লক্ষ টাকা ছদকা করার চেয়ে উত্তম আর যদি কেউ একবার ছোবহানাল্লাহ বলে তবে তা ঘরে বসে ৪৯ কোটি বার ছোবানাল্লাহ বলার চেয়ে উত্তম।ইসলাম সন্নাসী হওয়া সমর্থন করে না। মক্কা শরীফে এক রাকাতে ১ লাখ রাকাত আর মদীনায মসজিদে নববীতে এক রাকতে ৫০ হাজার রাকাতের ছোয়াব পাওয়া যায়।তারপরও সাহাবীরা এইসব চেড়ে দূর দূরান্তে ছফরে গিযেছেন দ্বীনের দাওয়াতের জন্য।সোয়া লক্ষ সাহাবীর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার সাহাবীর কবর পাওয়া যায় মক্কা মদীনায় আর বাকী সবার কবর সারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে। তার দাওয়াত দেয়ার কারনে আমরা মুসলমান হতে পেরেছি। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবী কিয়ামত পর্যন্ত আসা সকল মানুষের উপর ।তাই তাদের কাছে দাওয়াত পৌছানোর জন্য সকল উম্মতের উপর জিম্মাদারী দিয়েছেন।পবিত্র কোর আনে আছে ঐ ব্যক্তির চেয়ে ভালো কথা আর কাহার হতে পারে যে মানুষকে মঙ্গলের দিকে ডাকে নিজে সৎ কর্ম করে আর বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্য হতে একজন(সুরা হা-মিম ছেজদা,আয়াত-১০)।আরও আছে তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি মানুষের মঙ্গলের জণ্য তোমাদের বের করা হয়েছে,তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ কর অসৎ কাজে বাধাপ্রদান কর আর আল্লাহর উপর ঈ্মান এনে থাকো(সুরা আল-ইমরান আয়াত-১১০)।এই কাজ সবাই করার জন্য তৈরি আছি না।জীবণের প্রথম সুযোগে ১২০ দিন সময় দিয়ে এইকাজ শিখতে হয় আর করতে হয় মৃত্যুর আগপর্যন্ত্ ।কোন কোন ভাই তৈরি আছেন্?
-----------------------------------------------------------------
অনেকেই না জেনে এর বিরুধিতা করেন।অধ্যাপক গোলাম আযম তিন চিল্লা দেয়া লোক তার যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারনে তিনি এই মেহনত থেকে দূরে সরে এখন নাম্বার-১ যুদ্ধ অপরাধী এবং অনেকের কাছে ঘৃণিত।তাই তার অনুসারী ছাগুরা এর বিরুধিতা করবে।মওদুদী পন্থীরা আর ভন্ড পীর পন্থিরাও ।উল্লেখ্য পীর শব্দ আরবিতে নাই।জ্ঞানী কাদিয়ানীরাও।ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ এই তিন দেশ ভাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ এই মেহনতের মাধ্যমে।
--------------------------------------------------------------------
* কস্টি পাথরে সত্য যাচাই হয়।লেখাটা হতে পারতো পৃষ্ঠা পর পৃষ্ঠা।খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে লিখা হলো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২