দুখুমিয়া, ছোট্ট বেলায়
সূয্যিমামা জেগে ওঠার আগে আলস্য জয় করে
খুব সকালে ভেঙেছি ঘুম তোমার কবিতায়।
কত ছুটেছি কাঠ বিড়ালীর পিছু
পেয়ারা তোমায় দেয়নি বলে রাগ করেছি মিছু।
সময়ের পরিক্রমায় ,দেখলাম তোমার কবিতায়
সাম্যের গান গেয়ে বলেছো তুমি হিন্দু-মুসলিম শ্রেণীভেদ ভুলে যেতে
তোমার অমূল্যবানী মেনে নিয়েছি মাথা পেতে।
অতপর বসন্তের যৌবনে
প্রলয় নৃত্য দেখেছি তোমার অবাক চোখে চেয়ে,
ভগবানের বুকে কেমনে তুমি এঁকে দিলে পদচিহ্ন,
বিদ্রোহী হলে রণতূর্যে প্রেমী হলে বাঁকা বাশরী হাতে,
তুমি চেতনা হলে বাঙালীর জাগরণে,
সব প্রভুরা পালিয়ে গেছে চেতনার আগ্রাসনে।
শেকল ভাঙার শেকল পরার ছলে
মুক্তি সুধার প্রেরণা সব মেলে।
তোমার উদ্দীপ্ত সব বানী
আজও আমাদের উজ্জীবিত করে জানি
আলোর দিশারী হয়ে ,
আজও আমাদের দেখাও যে পথ
শত বাধা জয় করে
প্রেমে বিদ্রোহে সাম্যের কলতানে ,
বাংলার বুলবুলি তুমি চির উন্নত প্রাণে।